Dhaka ০৭:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতারণার অভিযোগে সমিতির ব্যবস্থাপকসহ গ্রেপ্তার ২

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৪২:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪
  • / ১০৮৭ জন সংবাদটি পড়েছেন

ভুয়া সদস্য তৈরি করে ঋণ উত্তোলন করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পাংশা উপজেলার হাবাসপুর কো অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের ব্যবস্থাপক শাজাহান আলী ও ক্রেডিট অফিসার ফারুক হোসেনকে সোমবার গ্রেপ্তার করেছে পাংশা থানার পুলিশ। শাজাহান ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে এবং ফারুক পাংশা উপজেলার হাবাসপুর এলাকার বাসিন্দা।

পাংশা থানা সূত্র জানায়, ৬১ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে গত ১০ মে তারিখে সমিতির জিএম শফিকুল ইসলাম পাংশা থানায় গ্রেপ্তার দুজনসহ চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। অন্য দুজন হলেন সমিতির মাঠ কর্মকর্তা রোকসানা পারভীন ও রুহিনা খাতুন। তারা পাংশা উপজেলার বাসিন্দা। মামলায় বাদীর অভিযোগ, গত এক বছর যাবৎ শাজাহান আলীসহ চারজন ৩১৬ জন ভুয়া সদস্য তৈরি করে। তাদের ঋণ দেওয়ার জন্য সমিতি থেকে মোট ৬১ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯ টাকা উত্তোলন করে। যার পুরোটাই তারা আত্মসাৎ করেছে। বিষয়টি তিনি বুঝতে পেরে গত ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর তারিখে যেসব সদস্যদের ঋণ দেওয়া হয়েছে তাদেরকে সমিতির কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য অভিযুক্তদের নির্দেশ দেওয়া হয়। পরদিন প্রধান অভিযুক্ত শাজাহান আলী পালিয়ে যায়। অপর তিনজন ঋণের টাকা ফেরত দেওয়ার শর্তে সমিতিতে চাকরি করতে থাকে। কিন্তু পর্যায়ক্রমে অপর তিন অভিযুক্তও পালিয়ে যায়।

পাংশা থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার জানান, সমিতির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঝিনাইদহ থেকে শাজাহান আলীকে এবং পাংশা থেকে ফারুককে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের আদালতে চালান করা হয়েছে। অপর দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

প্রতারণার অভিযোগে সমিতির ব্যবস্থাপকসহ গ্রেপ্তার ২

প্রকাশের সময় : ০৮:৪২:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

ভুয়া সদস্য তৈরি করে ঋণ উত্তোলন করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পাংশা উপজেলার হাবাসপুর কো অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের ব্যবস্থাপক শাজাহান আলী ও ক্রেডিট অফিসার ফারুক হোসেনকে সোমবার গ্রেপ্তার করেছে পাংশা থানার পুলিশ। শাজাহান ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে এবং ফারুক পাংশা উপজেলার হাবাসপুর এলাকার বাসিন্দা।

পাংশা থানা সূত্র জানায়, ৬১ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে গত ১০ মে তারিখে সমিতির জিএম শফিকুল ইসলাম পাংশা থানায় গ্রেপ্তার দুজনসহ চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। অন্য দুজন হলেন সমিতির মাঠ কর্মকর্তা রোকসানা পারভীন ও রুহিনা খাতুন। তারা পাংশা উপজেলার বাসিন্দা। মামলায় বাদীর অভিযোগ, গত এক বছর যাবৎ শাজাহান আলীসহ চারজন ৩১৬ জন ভুয়া সদস্য তৈরি করে। তাদের ঋণ দেওয়ার জন্য সমিতি থেকে মোট ৬১ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯ টাকা উত্তোলন করে। যার পুরোটাই তারা আত্মসাৎ করেছে। বিষয়টি তিনি বুঝতে পেরে গত ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর তারিখে যেসব সদস্যদের ঋণ দেওয়া হয়েছে তাদেরকে সমিতির কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য অভিযুক্তদের নির্দেশ দেওয়া হয়। পরদিন প্রধান অভিযুক্ত শাজাহান আলী পালিয়ে যায়। অপর তিনজন ঋণের টাকা ফেরত দেওয়ার শর্তে সমিতিতে চাকরি করতে থাকে। কিন্তু পর্যায়ক্রমে অপর তিন অভিযুক্তও পালিয়ে যায়।

পাংশা থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার জানান, সমিতির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঝিনাইদহ থেকে শাজাহান আলীকে এবং পাংশা থেকে ফারুককে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের আদালতে চালান করা হয়েছে। অপর দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।