Dhaka ১২:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে বিএনপির কালো পতাকা মিছিলে পুলিশের বাধা

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৭:০৭:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১১১১ জন সংবাদটি পড়েছেন

রাজবাড়ীতে জেলা বিএনপির কালো পতাকা মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। বাধা পেয়ে সেখানে একটি দোকানে দাঁড়িয়ে সমাবেশ করে তারা।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, অবৈধ সংসদ বাতিলসহ এক দফা দাবিতে মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় রাজবাড়ী জেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে কালো পতাকা মিছিল বের হয়। মিছিলটি আজাদী ময়দান পেরিয়ে রাস্তায় আসতেই পুলিশ বাধা দেয়। মিছিল নিয়ে সামনে যেতে না পেরে সেখানেই একটি দোকানে দাঁড়িয়ে সমাবেশ করে তারা। এসময় বক্তৃতা দেন জেলা বিএনপির আহŸায়ক সদ্য কারামুক্ত অ্যড. লিয়াকত আলী, সদস্য সচিব অ্যড. কামরুল আলম এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ। সমাবেশ পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক রেজাউল করিম পিন্টু।
সমাবেশে জেলা বিএনপির আহŸায়ক অ্যড. লিয়াকত আলী বলেন, ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচন হয়েছে সমস্ত বিশ^ এ নির্বাচনকে বয়কট করেছে। সমস্ত জাতি এ নির্বাচনকে বয়কট করেছে। মাত্র ১০ ভাগ ভোট পড়েছে বলেও পত্র পত্রিকায় এসেছে। এটা প্রহসনের নির্বাচন। আমি জেলখানায় বসে খবর পেয়েছি দুপুর ৩টা পর্যন্ত সরকারিভাবে বলা হয়েছে ১৭ ভাগ ভোট পড়েছে। অথচ এক ঘণ্টা পরে সেটি ৪০ ভাগ বলা হয়েছে। এই নজির কখনও কোথাও দেখা যায়নি। নির্বাচনের আগে সারা বাংলাদেশে ২৫ হাজার বিএনপির নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিএনপির মহাসচিব জেলখানায়। এভাবে নির্বাচন কখনও নিরপেক্ষ হতে পারেনা। বিএনপিকে বেঁধে রেখে, জেলে রেখে নির্বাচন করেন। এটা লজ্জা হওয়া উচিত। আমরা রাজপথের সৈনিক। আমরা জেল জুলুম ভয় পাইনা। আমরা কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করি নাই। ওই দিন (২৮ অক্টোবর) আমি পল্টনে ছিলাম। আমাকে বিনা কারণে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এক রাতের মধ্যে ২৫ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই বাংলার মাটিতে প্রহসনের নির্বাচনের বিচার হবে। বর্তমান সংসদে ৬৬৪ জন সংসদ সদস্য। এটা সংবিধান পরিপন্থী। আমরা এই অবৈধ সংসদ মানি না। আর এজন্য আপনাদের বিচার হবে। তিনি আরও বলেন, এখনও ১৬ হাজার নেতাকর্মী কারাগারে মানবেত জীবনযাপন করছে। তাদের উপর নির্মম নির্যাতন করা হচ্ছে। সকল রাজবন্দীর নিঃশর্ত মুক্তি এবং অবৈধ সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন করে নির্বাচনের দাবি করেন তারা।
রাজবাড়ী জেলা বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাজবাড়ীতে বিএনপির কালো পতাকা মিছিলে পুলিশের বাধা

প্রকাশের সময় : ০৭:০৭:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪

রাজবাড়ীতে জেলা বিএনপির কালো পতাকা মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। বাধা পেয়ে সেখানে একটি দোকানে দাঁড়িয়ে সমাবেশ করে তারা।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, অবৈধ সংসদ বাতিলসহ এক দফা দাবিতে মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় রাজবাড়ী জেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে কালো পতাকা মিছিল বের হয়। মিছিলটি আজাদী ময়দান পেরিয়ে রাস্তায় আসতেই পুলিশ বাধা দেয়। মিছিল নিয়ে সামনে যেতে না পেরে সেখানেই একটি দোকানে দাঁড়িয়ে সমাবেশ করে তারা। এসময় বক্তৃতা দেন জেলা বিএনপির আহŸায়ক সদ্য কারামুক্ত অ্যড. লিয়াকত আলী, সদস্য সচিব অ্যড. কামরুল আলম এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ। সমাবেশ পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক রেজাউল করিম পিন্টু।
সমাবেশে জেলা বিএনপির আহŸায়ক অ্যড. লিয়াকত আলী বলেন, ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচন হয়েছে সমস্ত বিশ^ এ নির্বাচনকে বয়কট করেছে। সমস্ত জাতি এ নির্বাচনকে বয়কট করেছে। মাত্র ১০ ভাগ ভোট পড়েছে বলেও পত্র পত্রিকায় এসেছে। এটা প্রহসনের নির্বাচন। আমি জেলখানায় বসে খবর পেয়েছি দুপুর ৩টা পর্যন্ত সরকারিভাবে বলা হয়েছে ১৭ ভাগ ভোট পড়েছে। অথচ এক ঘণ্টা পরে সেটি ৪০ ভাগ বলা হয়েছে। এই নজির কখনও কোথাও দেখা যায়নি। নির্বাচনের আগে সারা বাংলাদেশে ২৫ হাজার বিএনপির নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিএনপির মহাসচিব জেলখানায়। এভাবে নির্বাচন কখনও নিরপেক্ষ হতে পারেনা। বিএনপিকে বেঁধে রেখে, জেলে রেখে নির্বাচন করেন। এটা লজ্জা হওয়া উচিত। আমরা রাজপথের সৈনিক। আমরা জেল জুলুম ভয় পাইনা। আমরা কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করি নাই। ওই দিন (২৮ অক্টোবর) আমি পল্টনে ছিলাম। আমাকে বিনা কারণে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এক রাতের মধ্যে ২৫ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই বাংলার মাটিতে প্রহসনের নির্বাচনের বিচার হবে। বর্তমান সংসদে ৬৬৪ জন সংসদ সদস্য। এটা সংবিধান পরিপন্থী। আমরা এই অবৈধ সংসদ মানি না। আর এজন্য আপনাদের বিচার হবে। তিনি আরও বলেন, এখনও ১৬ হাজার নেতাকর্মী কারাগারে মানবেত জীবনযাপন করছে। তাদের উপর নির্মম নির্যাতন করা হচ্ছে। সকল রাজবন্দীর নিঃশর্ত মুক্তি এবং অবৈধ সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন করে নির্বাচনের দাবি করেন তারা।
রাজবাড়ী জেলা বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।