বহরপুর-রামদিয়া বেহাল সড়কে অসংখ্য খানাখন্দ, চরম ভোগান্তিতে মানুষ
- প্রকাশের সময় : ০৭:০০:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১১৯০ জন সংবাদটি পড়েছেন
জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বহরপুর-রামদিয়া সড়কটিতে দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশা বিরাজ করছে। সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের বেশিরভাগই খানাখন্দে ভরা। ফলে প্রতিনিয়তই দুর্ভোগে পড়ে এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের চালক ও সাধারণ মানুষ। এলজ্ইিডি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে খুব শীগগীরই সড়কটি সংষ্কার করা হবে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, রামদিয়া, ইসলামপুরসহ কয়েকটি গ্রামে ও মানুষ উপজেলা শহর অথবা রাজবাড়ী জেলা শহরে যেতে এই রাস্তাটি ব্যবহার করে থাকে। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দিয়ে ট্রাক, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, অচোরিক্সা, ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। সাড়ে চার কিলোমিটার লম্বা সড়কের প্রায় ৮৫ শতাংশই খানাখন্দে ভরা। বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙাচোড়া রাস্তার কারণে মাঝে মধ্যেই ঘটে ছোট বড় দুর্ঘটনা। নষ্ট হয়ে যায় যানবাহনের মূল্যবান যন্ত্রাংশ। এছাড়া একটু বৃষ্টি হলেই সেখানে পানি জমে যায়। তখন পায়ে হেঁটে চলাচল করাই দায় হয়ে পড়ে। ভারী পণ্য পরিবহনে বড়ই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এছাড়া কোনো অসুস্থ রোগীকে এ রাস্তা দিয়ে হাসপাতাল বা ডাক্তারের কাছে নেয়া দুরূহ হয়ে পড়ে। গাড়ির ঝাঁকুনিতে সে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। সময়মতো রোগীকে গন্তব্যে নিয়ে যেতে না পারায় অনেক অনাকাক্সিক্ষত ঘটনাও ঘটে।
পরিবহন চালকরা জানিয়েছেন, রামদিয়া থেকে বহরপুর যেতে স্বাভাবিকভাবে সময় লাগে ১৫ মিনিট। রাস্তার বেহাল দশার কারণে সেখানে ব্যয় হয় এক ঘণ্টা। সেই সাথে ঝাঁকুনিতো আছেই। বহরপুর-রামদিয়া সড়কটি দিয়ে গান্ধিমারা, বেলগাছী, সোনাপুর, বোয়ালিয়া, কালুখালী, পাংশাসহ অনেক জায়গার সাথে সংযোগ রয়েছে। এই সড়ক দিয়ে অতি দ্রুত জেলার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়। তাই এই সড়কটি দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন।
বহরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৃণাল কান্তি সিকদার বলেন, এই সড়কটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। সড়কটির পাশে অনেক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইসলামপুর ইউনিয়ন কমপ্লেক্স, বহরপুর উচ্চ বিদ্যালয়, বহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বহরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বহরপুর উচ্চ বিদ্যালয়, শহীদনগর আলীম মাদ্রাসা, বহরপুর ডিগ্রী কলেজ, জেলার ঐতিহ্যবাহী বহরপুর হাট অবস্থিত। এই সড়কটি দিয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও যাতায়াত করে। সড়কটির বেহাল দশা হওয়ায় অহরহ দুর্ঘটনা ঘটে। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি করেন তিনি।
স্থানীয় সোনার বাংলা সমাজ কল্যাণ ও ক্রীড়া সংসদের আহ্বায়ক এসএম হেলাল খন্দকার বলেন, মাঝে মধ্যেই ছোট বড় যানবাহন সড়কের গর্তে পড়ে দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। এসব দেখে আমরা এলাকার যুবকদের সাথে নিয়ে গর্তগুলো ইট, খোয়া দিয়ে ভরাট করেছিলাম। বৃষ্টির পানিতে আর যানবাহন চলাচল করায় আবার আগের মতই হয়ে যায়। সড়কটির দ্রুত সংস্কার হওয়া প্রয়োজন।
বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী আলমগীর বাদশা জানান, বহরপুর-রামদিয়া সড়কটি পুনর্বাসন করা হবে। দুপাশে চওড়াসহ আরও উন্নতমানের রাস্তা হবে। খুব শীগগীরই একাজ শুরু হবে বলে আশস্ত করেন তিনি।