Dhaka ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাংশায় জনিকে হাসপাতালে ঢুকে কুপিয়ে জখম

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:০৭:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১
  • / ১৮৭৭ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর পাংশার আলোচিত মনোয়ার হোসেন জনিকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ঢুকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে জরুরী বিভাগের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বুধবার রাত আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জনি পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদে ছিলেন। গত ১ মার্চ তারিখে একটি অস্ত্র মামলায় কারাগারে যাওয়ার পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। তিনি পাংশা  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন নারায়ণপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে। বর্তমানে তিনি ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. ইব্রাহীম টিটন পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেছেন।

জানা গেছে, রাত আটটার দিকে ১০/১২ জন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত হাসপাতালে ঢোকে। ওই সময় জনি জরুরী বিভাগে বসেছিলেন। দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে জনিকে এলোপাথারি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। তার মাথা, হাত ও পা গুরুতর জখম হয়েছে বলে জানা গেছে। তাৎ’ক্ষণিক তাকে পাংশা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাসনাত আল মতিন জানান, তারাবির নামাজ পড়তে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় তাকে ফোনে জানানো হয়; জরুরী বিভাগে মারামারি হচ্ছে। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন জরুরী বিভাগ তছনছ। জনিকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। পাংশা থানাকে জানানো হলে পুলিশ তাৎক্ষণিক এসেছিল। তবে হামলাকারীদের কাউকে পায়নি। ১০/১২ জন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ঢুকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাসকসুদাসহ অন্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একটি কক্ষে আটকে রেখে এ ঘটনা ঘটায়। তিনি আরও জানান, জনি সাসপেনশনে ছিলেন। জনির স্ত্রী পাংশা  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাকরী করেন। স্ত্রীকে নিতে হাসপাতালে এসেছিল জনি। বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। ক্ষতির বিষয়টি নিরূপন করে পাংশা থানাকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

পাংশা থানার ওসি একেএম শাহাদত হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। দলীয়, রাজনীতি বা ব্যক্তিগত কোনো কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এব্যাপারে এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে, হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। জনির বিরুদ্ধে আটটি মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

পাংশায় জনিকে হাসপাতালে ঢুকে কুপিয়ে জখম

প্রকাশের সময় : ০৭:০৭:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর পাংশার আলোচিত মনোয়ার হোসেন জনিকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ঢুকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে জরুরী বিভাগের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বুধবার রাত আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জনি পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদে ছিলেন। গত ১ মার্চ তারিখে একটি অস্ত্র মামলায় কারাগারে যাওয়ার পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। তিনি পাংশা  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন নারায়ণপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে। বর্তমানে তিনি ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. ইব্রাহীম টিটন পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেছেন।

জানা গেছে, রাত আটটার দিকে ১০/১২ জন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত হাসপাতালে ঢোকে। ওই সময় জনি জরুরী বিভাগে বসেছিলেন। দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে জনিকে এলোপাথারি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। তার মাথা, হাত ও পা গুরুতর জখম হয়েছে বলে জানা গেছে। তাৎ’ক্ষণিক তাকে পাংশা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাসনাত আল মতিন জানান, তারাবির নামাজ পড়তে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় তাকে ফোনে জানানো হয়; জরুরী বিভাগে মারামারি হচ্ছে। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন জরুরী বিভাগ তছনছ। জনিকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। পাংশা থানাকে জানানো হলে পুলিশ তাৎক্ষণিক এসেছিল। তবে হামলাকারীদের কাউকে পায়নি। ১০/১২ জন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ঢুকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাসকসুদাসহ অন্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একটি কক্ষে আটকে রেখে এ ঘটনা ঘটায়। তিনি আরও জানান, জনি সাসপেনশনে ছিলেন। জনির স্ত্রী পাংশা  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাকরী করেন। স্ত্রীকে নিতে হাসপাতালে এসেছিল জনি। বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। ক্ষতির বিষয়টি নিরূপন করে পাংশা থানাকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

পাংশা থানার ওসি একেএম শাহাদত হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। দলীয়, রাজনীতি বা ব্যক্তিগত কোনো কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এব্যাপারে এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে, হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। জনির বিরুদ্ধে আটটি মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।