Dhaka ০৬:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আকস্মিক ধস

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৪১:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ১৫৪২ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ভাঙনের রেশ কাটতে না কাটতেই সেখানে ধসে পড়ছে নদীর পাড়। গত শনিবার বিকেল ১ নম্বর ফেরিঘাটে নতুন নির্মিত পকেটপথের ১৫ মিটার অংশ পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়। একই সঙ্গে বিলীন হয় পাশের মজিদ শেখেরপাড়া গ্রামের এক বসতবড়ি। আকস্মিক ধসে ওই গ্রামের বাসিন্দান্দের মনে এখন ধ্বস আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সড়ক যোগাযোগে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ। প্রতিদিন এ পথে কয়েক হাজার বিভিন্ন গাড়ি ফেরিপারাপার হয়। ওই নৌপথের দৌলতদিয়া প্রান্তের ফেরিঘাটে মোট ৬টি ঘাট রয়েছে। পদ্মায় আকস্মিক পানি ও ¯্রােতের তীব্রতা বেড়ে গত ৫ অক্টোবর সেখানে ভাঙনের কবলে পড়ে ১ ও ২ নম্বর ফেরিঘাট বিলীন হয়ে যায়। পরে ঘাটসংকট মোকাবেলায় বিলীন হওয়া ওই দুটি ঘাট আবার চালু করতে উদ্যোগ নেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সেখানে লো-ওয়াটার লেভেলে ঘাট স্থাপনের জন্য ৪০০ ফিট দৈর্ঘ্য ও ২৭ ফিট প্রস্থ্যের দুটি পকেটপথ নির্মান কাজ শেষ করে বিআইডাব্লউটিএ। এরই মধ্যে ২ নম্বর ঘাটে পন্টুন স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি ১ নম্বর ঘাটে পন্টুন স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। এমন পরিস্থিতিতে গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে দৌলতদিয়া ১ নম্বর ফেরিঘাটে নতুন নির্মিত ওই পকেটপথের ১৫ মিটার অংশ হঠাৎ ধসে পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়। একই সঙ্গে বিলীন হয় পাশের মজিদ শেখেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আইয়ুব বয়াতির টিনের দোচালা দুটি ঘরসহ তার বসতবাড়ির ভিটেমাটি। আইয়ুব বয়াতি বলেন, ‘নদীর পানি আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। ¯্রােত না থাকায় পানিও অনেকটা স্থির হয়ে আছে। কিন্তু হঠাৎ করে নদীর পার ধসের শিকার হয়ে আমি সর্বহারা হয়ে পড়েছি। উপায় না পেয়ে আমার পরিবারসহ এক প্রতিবেশির বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছি।’ স্থানীয় দৌলতদিয়া ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. আশরাফুল ইসলাম জানিয়েছেন, দৌলতদিয়া ১ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় আকস্মিক নদীর পার ধসে পাশের মজিদ শেখেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দানের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরি ভিত্তিতে ফেরিঘাটসহ এলাকার নদীর পার ধস রোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
বিআইডাব্লিউটিএ’র উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দৌলতদিয়া ১ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় আকস্মিক নদীর পাড়র ধসের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে হয়েছে।’

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আকস্মিক ধস

প্রকাশের সময় : ০৯:৪১:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০১৯

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ভাঙনের রেশ কাটতে না কাটতেই সেখানে ধসে পড়ছে নদীর পাড়। গত শনিবার বিকেল ১ নম্বর ফেরিঘাটে নতুন নির্মিত পকেটপথের ১৫ মিটার অংশ পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়। একই সঙ্গে বিলীন হয় পাশের মজিদ শেখেরপাড়া গ্রামের এক বসতবড়ি। আকস্মিক ধসে ওই গ্রামের বাসিন্দান্দের মনে এখন ধ্বস আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সড়ক যোগাযোগে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ। প্রতিদিন এ পথে কয়েক হাজার বিভিন্ন গাড়ি ফেরিপারাপার হয়। ওই নৌপথের দৌলতদিয়া প্রান্তের ফেরিঘাটে মোট ৬টি ঘাট রয়েছে। পদ্মায় আকস্মিক পানি ও ¯্রােতের তীব্রতা বেড়ে গত ৫ অক্টোবর সেখানে ভাঙনের কবলে পড়ে ১ ও ২ নম্বর ফেরিঘাট বিলীন হয়ে যায়। পরে ঘাটসংকট মোকাবেলায় বিলীন হওয়া ওই দুটি ঘাট আবার চালু করতে উদ্যোগ নেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সেখানে লো-ওয়াটার লেভেলে ঘাট স্থাপনের জন্য ৪০০ ফিট দৈর্ঘ্য ও ২৭ ফিট প্রস্থ্যের দুটি পকেটপথ নির্মান কাজ শেষ করে বিআইডাব্লউটিএ। এরই মধ্যে ২ নম্বর ঘাটে পন্টুন স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি ১ নম্বর ঘাটে পন্টুন স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। এমন পরিস্থিতিতে গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে দৌলতদিয়া ১ নম্বর ফেরিঘাটে নতুন নির্মিত ওই পকেটপথের ১৫ মিটার অংশ হঠাৎ ধসে পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়। একই সঙ্গে বিলীন হয় পাশের মজিদ শেখেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আইয়ুব বয়াতির টিনের দোচালা দুটি ঘরসহ তার বসতবাড়ির ভিটেমাটি। আইয়ুব বয়াতি বলেন, ‘নদীর পানি আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। ¯্রােত না থাকায় পানিও অনেকটা স্থির হয়ে আছে। কিন্তু হঠাৎ করে নদীর পার ধসের শিকার হয়ে আমি সর্বহারা হয়ে পড়েছি। উপায় না পেয়ে আমার পরিবারসহ এক প্রতিবেশির বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছি।’ স্থানীয় দৌলতদিয়া ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. আশরাফুল ইসলাম জানিয়েছেন, দৌলতদিয়া ১ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় আকস্মিক নদীর পার ধসে পাশের মজিদ শেখেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দানের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরি ভিত্তিতে ফেরিঘাটসহ এলাকার নদীর পার ধস রোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
বিআইডাব্লিউটিএ’র উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দৌলতদিয়া ১ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় আকস্মিক নদীর পাড়র ধসের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে হয়েছে।’