Dhaka ১০:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

র‌্যাব হেফাজতে গোয়ালন্দের যুবলীগ নেতা নজরুল মন্ডল

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৯:২৫:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৯
  • / ১৬৮৬ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মন্ডল র‌্যাব হেফাজতে রয়েছেন। তবে তিনি আটক বা গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মঙ্গলবার দুপুরে গোয়ালন্দ পৌর শহরের উজানচর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে র‌্যাব হেফাজতে নেয়। তবে তার আটক নিয়ে নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়।
জানাগেছে, গত সোমবার বিকালে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সম্মেলন চলাকালে সাবেক চেয়ারম্যান আতর আলী সরদার এবং বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘষে রেজাউল মোল্লা ওরফে আবু ডাক্তার (৩৫) নামের একজন নিহত হন। আহত হন অন্তত ২০ জন। এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে নজরুল মন্ডলকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে গোয়ালন্দে পৌরসভার উজানচর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে নিহত আবু ডাক্তারের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় বিপুল সংখ্যক মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীরা অংশ নেন। সেখানে গোয়ালন্দ উপজেলার যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মন্ডলও অংশ নেন। জানাযা শেষে র‌্যাব সদস্যরা জানাযাস্থল থেকেই নজরুল মন্ডলকে আটক করে।
এর আগে একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় নজরুল মন্ডলকে নিয়ে অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়া নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে এলাকায় ব্যাপক তোলপার সৃষ্টি হয়। যুবলীগের নেতা হয়ে মাত্র কয়েক বছরে নজরুল মন্ডলের বিপুল অর্থবিত্ত, আলিসান বাড়ী, দামী একাধিক গাড়ী ও বিশাল বহুল দাপুটে জীবন-যাপন নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেন।
দেবগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম জানান, জানাজা অনুষ্ঠানে গোয়ালন্দ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মন্ডল অংশ গ্রহণ করেন। জানাজা শেষে তারা আবু ডাক্তারের মরদেহ দাফনের কাজে ব্যস্ত হওয়াকালীন সময়ে র‌্যাব সদস্যরা নজরুল ইসলাম মন্ডলকে আটক করে নিয়ে যায় বলে জানতে পারি।
এ বিষয়ে ফরিদপুর র‌্যাব-৮-এর কোম্পানী অধিনায়ক মেজর হাসান মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে জানান, আবু ডাক্তার হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তারা নজরুল ইসলাম মন্ডলকে ক্যাম্পে আসতে বলেছিলেন। তিনি নিজে থেকেই ক্যাম্পে এসেছেন। তাকে আটক করে আনা হয়নি। একই ভাবে আরো কয়েকজনকে ক্যাম্পে আসতে বলা হলে তারাও এসেছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

র‌্যাব হেফাজতে গোয়ালন্দের যুবলীগ নেতা নজরুল মন্ডল

প্রকাশের সময় : ০৯:২৫:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৯

জনতার আদালত অনলাইন ॥রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মন্ডল র‌্যাব হেফাজতে রয়েছেন। তবে তিনি আটক বা গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মঙ্গলবার দুপুরে গোয়ালন্দ পৌর শহরের উজানচর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে র‌্যাব হেফাজতে নেয়। তবে তার আটক নিয়ে নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়।
জানাগেছে, গত সোমবার বিকালে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সম্মেলন চলাকালে সাবেক চেয়ারম্যান আতর আলী সরদার এবং বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘষে রেজাউল মোল্লা ওরফে আবু ডাক্তার (৩৫) নামের একজন নিহত হন। আহত হন অন্তত ২০ জন। এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে নজরুল মন্ডলকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে গোয়ালন্দে পৌরসভার উজানচর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে নিহত আবু ডাক্তারের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় বিপুল সংখ্যক মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীরা অংশ নেন। সেখানে গোয়ালন্দ উপজেলার যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মন্ডলও অংশ নেন। জানাযা শেষে র‌্যাব সদস্যরা জানাযাস্থল থেকেই নজরুল মন্ডলকে আটক করে।
এর আগে একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় নজরুল মন্ডলকে নিয়ে অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়া নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে এলাকায় ব্যাপক তোলপার সৃষ্টি হয়। যুবলীগের নেতা হয়ে মাত্র কয়েক বছরে নজরুল মন্ডলের বিপুল অর্থবিত্ত, আলিসান বাড়ী, দামী একাধিক গাড়ী ও বিশাল বহুল দাপুটে জীবন-যাপন নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেন।
দেবগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম জানান, জানাজা অনুষ্ঠানে গোয়ালন্দ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মন্ডল অংশ গ্রহণ করেন। জানাজা শেষে তারা আবু ডাক্তারের মরদেহ দাফনের কাজে ব্যস্ত হওয়াকালীন সময়ে র‌্যাব সদস্যরা নজরুল ইসলাম মন্ডলকে আটক করে নিয়ে যায় বলে জানতে পারি।
এ বিষয়ে ফরিদপুর র‌্যাব-৮-এর কোম্পানী অধিনায়ক মেজর হাসান মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে জানান, আবু ডাক্তার হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তারা নজরুল ইসলাম মন্ডলকে ক্যাম্পে আসতে বলেছিলেন। তিনি নিজে থেকেই ক্যাম্পে এসেছেন। তাকে আটক করে আনা হয়নি। একই ভাবে আরো কয়েকজনকে ক্যাম্পে আসতে বলা হলে তারাও এসেছে।