জেলা আওয়ামী লীগের কর্মীসভায় যোগ দিতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৪ কেন্দ্রীয় নেতা রাজবাড়ী আসছেন আজ
- প্রকাশের সময় : ১০:৩২:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮
- / ২০৭৩ জন সংবাদটি পড়েছেন
জনতার আদালত অনলাইন ॥ সংক্ষিপ্ত অথচ ব্যস্ত সময়সূচী নিয়ে আজ রাজবাড়ীতে আসছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি। তার সাথে থাকার কথা রয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি, অপর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান এমপি এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যরিস্টার মহিবুল আলম চৌধুরী নওফেল।
সূচী অনুযায়ী মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে রওনা হয়ে সকাল ১০টায় মাছপাড়া কলেজ মাঠে অবতরণ করবেন। সকাল সাড়ে ১০টায় শিয়ালডাঙ্গি মোড়ে আহলাদিপুর-রাজবাড়ী-পাংশা-কুমারখালী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক (আর ৭১০) এর তালতলা হতে শিয়ালডাঙ্গি পর্যন্ত ৩৩.৩৯০ কিলোমিটার সড়কাংশ প্রশস্তকরণ ও পুনঃ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন। পরে তিনি গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন।
পাংশার জনসভা শেষে তিনি রাজবাড়ী রেলওয়ে ময়দানে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত কর্মীসভায় যোগদেবেন দুপুর ২ টায়। এখানেও তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন।
কর্মীসভা শেষ করে বিকেলেই তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।
মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সংক্ষিপ্ত জীবনী
জনতার আদালত অনলাইন ॥ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ১৯৫০ সালের ১ জানুয়ারি, নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানার বড় রাজাপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি বসুরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে এসএসসি ও নোয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে মেধা তালিকায় স্থান নিয়ে এইচএসসি পাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্সসহ স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি কলেজ জীবন থেকে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালে গণআন্দোলন ও ছাত্রদের ১১ দফা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এবং কোম্পানীগঞ্জ থানা মুজিব বাহিনীর (বিএলএফ) অধিনায়ক ছিলেন। রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার কারা বরণ করেন। ১৯৭৫ এর পর এক নাগাড়ে দীর্ঘ আড়াই বছর কারাগারে ছিলেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন এবং পরপর দুইবার ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতা ও লেখালেখির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।[ দৈনিক বাংলার বাণী পত্রিকার সহকারী সম্পাদক হিসাবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। রচনা করেছেন আটটি গ্রন্থ। গ্রন্থগুলি হলো : বাংলাদেশের হৃদয় হতে, পাকিস্তানের কারাগারে বঙ্গবন্ধু, এই বিজয়ের মুকুট কোথায়, তিন সমুদ্রের দেশে, মেঘে মেঘে অনেক বেলা, রচনা সমগ্র, কারাগারে লেখা অনুস্মৃতি: যে কথা বলা হয়নি, নির্বাচিত কলাম ও গাংচিল।
ওবায়দুল কাদের ’৯৬-এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নোয়াখালী-৫ আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২৩ জুন যুব ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। তিনি ২০০১ সালের ১৫ জুলাই পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সৎ ও নিষ্ঠার সাথে পালন করেন। ২০০২ সালের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন থেকে ২০০৯-এর সম্মেলন পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রথম যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে তিনি ২০০৭ সালের ৯ মার্চ জরুরি বিধিতে গ্রেফতার হয়ে ১৭ মাস ২৬ দিন কারাবরণ করেন। ২০০৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে মুক্ত হন। কারাগারে থাকাকালে কারাজীবনের বর্ণনা দিয়ে “অনুস্মৃতি : যে কথা বলা হয়নি” লেখেন। তিনি ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর পুনরায় দ্বিতীয় বারের মত নোয়াখালী-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং তথ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়াামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালের ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০ তম জাতীয় সম্মেলনে তিনি ২০১৬-২০১৯ মেয়াদে দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
২০১৫ সালের ২৮ নভেম্বর বঙ্গভবনে মহাজোট সরকারের মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী। আওয়ামীলীগ এর ২০তম জাতীয় সম্মেলন এ তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। যথেষ্ট নিষ্ঠা ও সাহসিকতার সাথে তিনি তার অর্পিত দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।