মুন্সীগঞ্জে ‘মদ খাইয়ে ধর্ষণে’ মাদ্রাসা ছাত্রীর মৃত্যু, যুবক আটক
- প্রকাশের সময় : ০২:২৫:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫
- / 18
মুন্সীগঞ্জে জন্মদিন উদযাপনের কথা বলে ডেকে নিয়ে মদ খাইয়ে ধর্ষণের পর এক মাদ্রাসা ছাত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
দুদিন আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেলেও ময়নাতদন্তের পর শনিবার মেয়েটির লাশ বাড়ি নেওয়া হলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এদিন বিকাল ৪টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের সামনে থেকে ফয়েজ নামে ২৫ বছর বয়সি এক যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা।
সহপাঠী ও নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি সাইফুল আলম, ফয়েজের সঙ্গে মাদ্রাসা পড়ুয়া নবম শ্রেণির ছাত্রীটির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ফয়েজ ৩১ ডিসেম্বর তার ভুয়া জন্মদিনে ছাত্রীটি ও তার এক বান্ধবীকে দাওয়াত দিয়ে শহরের চর কিশোরগঞ্জে তার বাড়ি নিয়ে যান।
পরদিন বুধবার দুপুরে মনিকা নামের ওই বান্ধবী অজ্ঞান অবস্থায় মেয়েটিকে বাড়ি পৌঁছে দেয়।
চেতনা না ফেরায় বৃহস্পতিবার সকালে মেয়েটিকে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন স্বজনরা।
ওইদিন সন্ধ্যার দিকে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর কিছুক্ষণ পরেই মেয়েটি মারা যায়। ময়নাতদন্ত করে লাশ মুন্সীগঞ্জে আসতে দুই দিন পর।
নিহতের মা বলেন, ফয়েজের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার মেয়ের।
তার অভিযোগ, ফয়েজ তার মেয়েকে মদ খাইয়ে সারারাত ধর্ষণ করে পরদিন অজ্ঞান অবস্থায় বান্ধবীদের দিয়ে বাড়ি পাঠায়।
তিনি আরও বলেন, “আমার মেয়েকে মদের সঙ্গে অন্য কিছু মিশিয়ে খাইয়ে ফয়েজের বাড়িতে রেখে ধর্ষণ করেছে।”
সহপাঠী মনিকা বলে, “৩১ ডিসেম্বর রাতে মেয়েটিকে কৌশলে তার বাড়ি নিযে যায় ফয়েজ। সেখানে মদ খাইয়ে সারারাত ধর্ষণ করে। পরদিন খবর দিয়ে ফয়েজ আমাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে বান্ধবীকে তার বাড়িতে পাঠায়।”
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ফয়েজ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন বলেন ওসি জানান।
ওসি সাইফুল আলম বলেন, “নিহতের আত্মীয়-স্বজনসহ জনতা ফয়েজকে ধরে থানায় নিয়ে আসছে। তাকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”