গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদ প্রত্যাশী রাতুলের বয়স নিয়ে ধোঁয়াশা
- প্রকাশের সময় : ১২:৫৪:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪
- / ১০৭১ জন সংবাদটি পড়েছেন
রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদ প্রার্থী মো. রাতুল আহম্মেদের বয়স নিয়ে ধোঁয়শার সৃষ্টি হয়েছে ।গত ১৪ জুন ছাত্রলীগের কাউন্সিল হয়। যেখানে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন সদ্য বিলুপ্ত হওয়া কমিটির সাধারন সম্পাদক আবির হোসেন হৃদয় ও পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রাতুল আহম্মেদ। সাধারন সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন আরো পাঁচজন। কাউন্সিলে এখনো কোন পদ পদবি ঘোষণা করা হয়নি। সভাপতি প্রার্থী রাতুল আহম্মেদ উপজেলা ছাত্রলীগের পদ পেতে ইতমধ্যে দুইবার বয়স পরিবর্তন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার এসএসসি সার্টিফিকেট ও ভোটার তালিকা ও জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী জন্ম তারিখ ১৪/০৭/১৯৯৩ সাল অর্থাৎ বয়স ৩১ বছর। অভিযোগ রয়েছে, গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদ পেতে জন্ম তারিখ পরিবর্তন করে ১৪/০৭/১৯৯৫ করা হয়। ছাত্রলীগের কোন পদ পদবী পেতে হলে ২৮ বছরের পর ৩৬৫ দিন অর্থাৎ আরো এক বছর বয়সসীমা পর্যন্ত পদ পদবীর জন্য আবেদনের যোগ্যতা থাকে। কিন্তু পদ পেতে সে পর পর দুইবার বয়স পরিবর্তন করেন। কারন এ পদে সর্বোচ্য ২৯ বছর বয়স সীমা থাকতে হবে। গঠনতন্ত্রের ৫(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সে ছাত্রলীগের কোন পদে আবেদন করতে পারবেনা। এর আগে পৌর কমিটির পদ পেতে সেখানেও বয়স কমিয়ে ১৪/০৭/১৯৯৪ সাল দেখানো হয়। অথচ এসএসসি সার্টিফিকেটে অনলাইন ভেরিফিকেশন ১৪/০৭/১০৯৩ সাল পাওয়া যায়।
গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী মো. রাতুল আহম্মেদের কাছে দুইবার বয়স পরিবর্তন করে প্রার্থী হওয়ার বিষটি কতটুকু গঠনতন্ত্রের মধ্যে পড়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি দুইবার বয়স পরিবর্তন করিনাই, একবার পরিবর্তন করেছি।এ বিষয়ে আপনার সাথে পরে কথা বলবো।
রাজবাড়ী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শাহীন শেখ জানান, আমি জেনেছি গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রলীগ কমিটির কাউন্সিল গত ১৪ জুন অনুষ্ঠিত হয়েছে।সে পর পর দুইবার ন্যাশনাল আইডি কার্ডের বয়স পরিবর্তন করেছে। যা ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র পরিপন্থি। এটা আমি কখনো সমর্থন করিনা। আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে এ বিষয়টি নিয়ে চিঠি লিখবো। ২৯ বছর বয়স পার হলে কোন প্রার্থী ছাত্রলীগের কোন পদে আবেদন করতে পারবেনা এবং নেতৃত্ব স্থানীয় পর্যায়ে আসতে পারবেনা।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. জসিম উদ্দিনের কাছে মো. রাতুল আহম্মেদের জন্মনিবন্ধন ও ভোটার তালিকা ও এসএসসি সার্টিফিকেট অনুযায়ী বয়স ছিল ১৪/০৭/১৯৯৩ সাল,অর্থাৎ ৩১ বছর। কিন্তু ন্যাশনাল আইডি কার্ডে পর পর দুইবার বয়স কিভাবে কমানো হল,এ বিষয়ে তার কাছে জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,বয়স পরিবর্তেনর বিষয়টি তার যদি জন্মনিবন্ধন না থাকে তাহলে সে সার্টিফিকেট দিয়ে জন্মসাল ও তারিখ পরিবর্তন করতে পারবে। সে যদি মিথ্যা বা ভূয়া কাগজপত্র দাখিল করে তাহলে সে দায়ভার তাকেই নিতে হবে।