হাতেখড়ি
- প্রকাশের সময় : ০৭:১৮:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ১১২৫ জন সংবাদটি পড়েছেন
বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজার সঙ্গে একটি বিশেষ প্রথা বাঙালি সমাজে জড়িয়ে আছে। তা হল হাতেখড়ি। এদিনই শিশুর প্রথম অক্ষর পরিচয় করানো হয়। পূজার পুরোহিত শিশুর হাত ধরে পাথরের থালা অথবা শ্লেটের উপর বর্ণ লেখা শেখান তাকে। এভাবেই বিদ্যাদেবীর আরাধনা করে তাঁকে সাক্ষী রেখে শিক্ষার জগতে প্রথম প্রবেশ ঘটে একটি শিশুর।
সনাতন ধর্ম মতে, শুক্লা পঞ্চমী খুব শুভ দিন, শুভ দিনের একটা গুরুত্ব আছে সাফল্যের জন্য। এজন্য সন্তানের বিদ্যার সুচনা হওয়ার আগেই দেবী সরস্বতীর কাছে আশীর্বাদ প্রার্থনা করে হাতেখড়ি দেওয়া হয়। পুরোহিত শ্লেট ও খড়িকে পবিত্র করেন। এরপর নতুন জামা কাপড় পরিহিত শিশুকে মা-বাবার সামনে বসিয়ে প্রথম লেখা শেখানো হয়।
ধর্মীয় বিশ^াসানুসারে দেবী সরস্বতীর পূজা করে তাঁকে সাক্ষী রেখে হাতেখড়ি দিলে সেই শিশুর প্রভূত বিদ্যালাভ হয়। সব কাজেরই একটা অনুশাসন থাকে। হাতেখড়ি দেওয়াটা সেই অনুশাসনের একটা অঙ্গ। হাতেখড়ি হল বিদ্যার প্রথম সোপান। হাতেখড়ির কারণে প্রত্যেক পরিবার বা ব্যক্তি বই বা বাদ্যযন্ত্রকে দেবতা বলে গণ্য করেন বা ভক্তি করেন। সেই জন্য শিক্ষাঙ্গনকে শিক্ষার মন্দির বলা হয়ে থাকে।
এদিকে বুধবার রাজবাড়ীতে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলার বিভিন্ন মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়।