রাজবাড়ীতে বিএনপির সাথে ছাত্র-যুবলীগের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া
- প্রকাশের সময় : ০৯:৫৮:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩
- / ১১১০ জন সংবাদটি পড়েছেন
রাজবাড়ীতে বিএনপির সাথে ছাত্র-যুবলীগের দুই দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক এমপি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের সজ্জনকান্দায় তার নিজ বাসভবন থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে সমাবেশস্থলে আসার সময় আদর্শ মহিলা কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ বিএনপির অন্ততঃ ১০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলিও ছোড়ে। পরে ছাত্রলীগ যুবলীগ লাঠি সোঠা নিয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে প্রধান সড়কে অবস্থান নেয়। রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি কাজী কেরামত আলীর নেতৃত্বে বের হয় লাঠি মিছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম নেতাকর্মীদের নিয়ে সমাবেশস্থলে যাওয়ার জন্য তার বাসভবন থেকে বের হওয়ার পর ছাত্র ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঠা নিয়ে তাদের উপর চড়াও হয়। ধাওয়া খেয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা পিছু হটে। খানিক পরে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে ছাত্রলীগ যুবলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে বড় মসজিদ পর্যন্ত নিয়ে যায়। এসময় পুলিশের বাধার মুখে পড়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা ফিরে যায়।
দ্বিতীয় দফায় বিএনপি নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করে। তারা মহিলা কলেজের সামনে বকুল তলায় আসার পর পুলিশ বাধা দিলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। এসময় বিএনপি নেতাকর্মীরা কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১০ বিএনপির নেতাকর্মীকে আটক করে। অনেক বিএনপি নেতাকর্মী আলী নেওয়াজ খৈয়মের বাড়িতে আটকা পড়েন। এদিকে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে চলা শান্তি সমাবেশে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। নেতাকর্মীরা লাঠি সোঠা নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রধান সড়কে অবস্থান নেয়। পরে শান্তি সমাবেশ থেকে উঠে এসে লাঠি মিছিলে অংশ নেন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। মিছিলের অগ্রভাগে ছিল লাঠি হাতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। মাঝখানে ছিলেন রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার, হেদায়েত আলী সোহরাব, যুগ্ম সম্পাদক শেখ সোহেল রানা টিপু প্রমুখ। মিছিলটি শহরের পান্না চত্ত¡র ঘুরে দলীয় কার্যালয়ে ফিরে আসে। মিছিলের একাংশ বিএনপি অফিসে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়।
দলীয় কার্যালয়ে শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, শান্তি সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা আসার সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের উপর হামলা করেছে। মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে। এতে তাদের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তারা এ হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানান।
সাবেক সাংসদ আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বাধা পেয়ে তার বাসভবনে এক সমাবেশে বলেন, ১০ দফা দাবিতে তারা শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রা করে যাওয়ার পথে ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করেছে। পুলিশ বিনা উস্কানীতে অন্যায়ভাবে তাদের উপর লাঠিচার্জ করেছে। তিনি এর তীব্র প্রতিবাদ জানান।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা লাঠিসোঠা নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছিল। জানমালের নিরাপত্তায় পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়েছে। তবে কতজন গ্রেপ্তার হয়েছে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।