Dhaka ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে কার্বন কারাখানা পুড়ে ছাই

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৯:১০:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩
  • / ১১১৮ জন সংবাদটি পড়েছেন

রাজবাড়ী সদর উপজেলার শহীদওহাবপুর ইউনিয়নের দর্পনারায়ণপুর গ্রামে একটি কার্বন কারখানা অগ্নিকান্ডে সম্পূর্ণ ভস্মিভ‚ত হয়েছে। রোববার রাত আটটার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকান্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেনি কেউ। কারখানাটির অনুমোদন ছিল কীনা তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, দর্পনারায়ণপুর গ্রামের ফসলি জমির মধ্যে সাত বছর আগে কারাখানাটি স্থাপন করা হয়। আশে পাশে কোনো বাড়ি নেই। কারখানাটিতে পাটখড়ি পুড়িয়ে কার্বন তৈরি করা হতো। উদ্দেশ্য ছিল বিদেশে রপ্তানি করা। কারখানাটিতে আট থেকে দশজন শ্রমিক কাজ করতো। তবে, ছিল না কোনো সাইনবোর্ড। জনৈক আশরাফুল ইসলাম রিপন সহ কয়েকজন কারখানাটির মালিক বলে জানা গেছে। রোববার রাতে স্থানীয় লোকজন আগুন দেখে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়।

রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক আব্দুর রহমান জানান, রোববার রাত ৭টা ৪০ মিনিটে তারা অগ্নিকান্ডের খবর পান। ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের চারটি ইউনিট অগ্নি নির্বাপণে কাজ শুরু করে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আগুন নেভানোর কাজ এখনও (সোমবার দুপুর ১টা) চলছে। অগ্নিকান্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করা সম্ভব হয়নি। তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। কারখানাটির একজন মালিকের সাথে কথা বলেছিলেন। তবে তার নাম মনে নেই। অনুমোদন আছে কীনা তা তিনি জানেন না।

শহীদওহাবপুর ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মদ ভুইয়া জানান, কারখানার মালিক সবাই বাইরের লোক। এর অনুমোদন আছে কীনা তা তিনি জানেন না। চলতি বছর তাদের কাছে ট্রেড লাইসেন্সের জন্য গিয়েছিল। কিন্তু তিনি ট্রেড লাইসেন্স দেননি।

কারখানার মালিক আশরাফুল ইসলাম রিপনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাজবাড়ীতে কার্বন কারাখানা পুড়ে ছাই

প্রকাশের সময় : ০৯:১০:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩

রাজবাড়ী সদর উপজেলার শহীদওহাবপুর ইউনিয়নের দর্পনারায়ণপুর গ্রামে একটি কার্বন কারখানা অগ্নিকান্ডে সম্পূর্ণ ভস্মিভ‚ত হয়েছে। রোববার রাত আটটার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকান্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেনি কেউ। কারখানাটির অনুমোদন ছিল কীনা তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, দর্পনারায়ণপুর গ্রামের ফসলি জমির মধ্যে সাত বছর আগে কারাখানাটি স্থাপন করা হয়। আশে পাশে কোনো বাড়ি নেই। কারখানাটিতে পাটখড়ি পুড়িয়ে কার্বন তৈরি করা হতো। উদ্দেশ্য ছিল বিদেশে রপ্তানি করা। কারখানাটিতে আট থেকে দশজন শ্রমিক কাজ করতো। তবে, ছিল না কোনো সাইনবোর্ড। জনৈক আশরাফুল ইসলাম রিপন সহ কয়েকজন কারখানাটির মালিক বলে জানা গেছে। রোববার রাতে স্থানীয় লোকজন আগুন দেখে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়।

রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক আব্দুর রহমান জানান, রোববার রাত ৭টা ৪০ মিনিটে তারা অগ্নিকান্ডের খবর পান। ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের চারটি ইউনিট অগ্নি নির্বাপণে কাজ শুরু করে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আগুন নেভানোর কাজ এখনও (সোমবার দুপুর ১টা) চলছে। অগ্নিকান্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করা সম্ভব হয়নি। তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। কারখানাটির একজন মালিকের সাথে কথা বলেছিলেন। তবে তার নাম মনে নেই। অনুমোদন আছে কীনা তা তিনি জানেন না।

শহীদওহাবপুর ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মদ ভুইয়া জানান, কারখানার মালিক সবাই বাইরের লোক। এর অনুমোদন আছে কীনা তা তিনি জানেন না। চলতি বছর তাদের কাছে ট্রেড লাইসেন্সের জন্য গিয়েছিল। কিন্তু তিনি ট্রেড লাইসেন্স দেননি।

কারখানার মালিক আশরাফুল ইসলাম রিপনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।