প্রাণের উচ্ছ্বাসে মাতিয়ে শেষ হলো বাংলা উৎসব
- প্রকাশের সময় : ০৮:৫৩:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৩
- / ১১৮১ জন সংবাদটি পড়েছেন
শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সবাইকে প্রাণের ঊচ্ছ¡াসে মাতিয়ে শনিবার বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর পুরষ্কার বিতরণীর মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুই দিনের বাংলা উৎসব। রাজবাড়ী একাডেমির আয়োজনে শুক্র ও শনিবার রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
উৎসবের দ্বিতীয় দিনের প্রথম পর্বে সকাল ১০টায় ‘মোদের গরব মোদের আশা আ-মরি বাংলা ভাষা’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন অভিনেতা ও আবৃত্তিকার জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ এয়ালাইন্স প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অবসরপ্রাপ্ত উপ-মহাব্যবস্থাক ট্রেনিং (গ্রাহকসেবা) আবৃত্তি প্রশিক্ষক ডালিয়া আহমেদ, আবৃত্তিশিল্পী ও প্রশিক্ষক রূপা চক্রবর্তী, অনুবাদক রানা ঠাকুর। রাজবাড়ী একাডেমির সভাপতি সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মাঝে বক্তৃতা করেন রাজবাড়ী একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ডা. ইকবাল হোসেন ও রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অলিউল আযম তৈমুর। অতিথিবৃন্দ উৎসব উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকা ‘স্বরব্যঞ্জন’ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদর্শন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জয়ন্ত চট্টপাধ্যায় বলেন, শুধু বাংলা নিয়ে উৎসব এই প্রথম দেখছি। ব্যতিক্রমী এই আয়োজন দেখে খুবই ভালো লাগছে। তবে, আমাদের সবারই বাংলা ভাষার চর্চা করতে হবে। বাংলা ভাষার মধ্যে ইংরেজি টেনে আনার মধ্যে কোনো বাহাদুরি নেই। বাংলা বিশে^র মধুরতম ভাষার একটি। আমরা যদি সুন্দর করে বাংলা ভাষার চর্চা করি তাহলেই এই অনুষ্ঠান সার্থকতা পাবে। তিনি এমন আয়োজনের ভ‚য়সী প্রশংসা করেন। আলোচনা পর্ব শেষে শিশুরা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।
বিকেলে সমাপনী পর্বে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরষ্কার বিতরণী। এ পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এমএম শাকিলুজ্জামান, রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সূবর্ণা রানী সাহা, রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) ইফতেখারুজ্জামান এবং রাজবাড়ীর সাবেক জেলা শিক্ষা অফিসার আজিজা খানম।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ডালিয়া আহমেদ এবং রূপা চক্রবর্তী আবৃত্তি পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠিত হয় সঙ্গীত ও নৃত্য। সবশেষে পুরষ্কার বিতরণী পর্বে ৪৮টি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিজয়ী ১৪৪ জনের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।