Dhaka ১২:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বালিয়াকান্দিতে প্রবাসীর টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে ধরা ॥ শালিসে রফা

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৩০:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অগাস্ট ২০২১
  • / ১২৬৪ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে এক প্রবাসীর পাঠানো এক লক্ষ টাকার পিন কোড কৌশলে নিয়ে উত্তোলনের চেষ্টা চালিয়ে রবিবার ধরা পড়েছে মোঃ সেলিম নামের এক প্রতারক। সে উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের খোর্দ্দরামদিয়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে। গ্রাম্য শালিসে অপরাধ স্বীকার করে রক্ষা পেয়েছে।

উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের খোর্দ্দরামদিয়া গ্রামের কাছেম শেখের ছেলে আদম আলী শেখ বলেন, আমার ছেলে রাকিব কাতার থাকে। এক লক্ষ টাকা পাঠায়। পিন কোডটি আমার নাতি ছেলের নিকট পিন কোড পাঠায়। ইব্রাহিম (১০) নামে আমার নাতি ছেলের নিকট থেকে মোবাইল নিয়ে কৌশলে পিন নম্বর নিয়ে রবিবার সকাল ১০টার দিকে তেঁতুলিয়া বাজারের মুনছুরের দোকানে গিয়ে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করে। মুনছুরের দোকান থেকে টাকা নিতে গেলে মুনছুরের সন্দেহ হয়। তাকে পরে আসতে বলে। আমরা বালিয়াকান্দি ডাস বাংলা এজেন্টে সকাল ১১টার দিকে টাকা উঠাতে গেলে আর টাকা উঠাতে পারি না। পরে বলি আমরা তেঁতুলিয়া মুনসুরের কাছে যাই। একথা শুনে ডাস বাংলা এজেন্ট থেকে মুনছুরের নিকট ফোন করলে সে টাকা উত্তোলনের বিষয়টি অবগত করে এবং তাদেরকে যেতে বলে। পরে মুনছুরের নিকট থেকে টাকা পায়। বিষয়টি নিয়ে রবিবার রাতে গ্রাম্য শালিসের আয়োজন করা হয়। শালিসে সে তার দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করে। ভবিশ্যতে এ ধরণের অপকর্ম করবে না বলেও অঙ্গিকার করে।

এ বিষয়ে সেলিমের নিকট জানতে চাইলে সে টাকা উত্তোলন করতে যাওয়া তার ভূল হয়েছে বলে প্রকাশ করে। তবে ইতিপুর্বে পুলিশের পিকআপ চালিয়েছি বেশ কিছু দিন। আমি এসব পরিচয় দেই না।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

বালিয়াকান্দিতে প্রবাসীর টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে ধরা ॥ শালিসে রফা

প্রকাশের সময় : ০৭:৩০:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অগাস্ট ২০২১

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে এক প্রবাসীর পাঠানো এক লক্ষ টাকার পিন কোড কৌশলে নিয়ে উত্তোলনের চেষ্টা চালিয়ে রবিবার ধরা পড়েছে মোঃ সেলিম নামের এক প্রতারক। সে উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের খোর্দ্দরামদিয়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে। গ্রাম্য শালিসে অপরাধ স্বীকার করে রক্ষা পেয়েছে।

উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের খোর্দ্দরামদিয়া গ্রামের কাছেম শেখের ছেলে আদম আলী শেখ বলেন, আমার ছেলে রাকিব কাতার থাকে। এক লক্ষ টাকা পাঠায়। পিন কোডটি আমার নাতি ছেলের নিকট পিন কোড পাঠায়। ইব্রাহিম (১০) নামে আমার নাতি ছেলের নিকট থেকে মোবাইল নিয়ে কৌশলে পিন নম্বর নিয়ে রবিবার সকাল ১০টার দিকে তেঁতুলিয়া বাজারের মুনছুরের দোকানে গিয়ে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করে। মুনছুরের দোকান থেকে টাকা নিতে গেলে মুনছুরের সন্দেহ হয়। তাকে পরে আসতে বলে। আমরা বালিয়াকান্দি ডাস বাংলা এজেন্টে সকাল ১১টার দিকে টাকা উঠাতে গেলে আর টাকা উঠাতে পারি না। পরে বলি আমরা তেঁতুলিয়া মুনসুরের কাছে যাই। একথা শুনে ডাস বাংলা এজেন্ট থেকে মুনছুরের নিকট ফোন করলে সে টাকা উত্তোলনের বিষয়টি অবগত করে এবং তাদেরকে যেতে বলে। পরে মুনছুরের নিকট থেকে টাকা পায়। বিষয়টি নিয়ে রবিবার রাতে গ্রাম্য শালিসের আয়োজন করা হয়। শালিসে সে তার দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করে। ভবিশ্যতে এ ধরণের অপকর্ম করবে না বলেও অঙ্গিকার করে।

এ বিষয়ে সেলিমের নিকট জানতে চাইলে সে টাকা উত্তোলন করতে যাওয়া তার ভূল হয়েছে বলে প্রকাশ করে। তবে ইতিপুর্বে পুলিশের পিকআপ চালিয়েছি বেশ কিছু দিন। আমি এসব পরিচয় দেই না।