রাজবাড়ীতে পদ্মার পানি বৃদ্ধি॥ অব্যাহত রয়েছে নদী তীর সংরক্ষণ কাজের ভাঙন

- প্রকাশের সময় : ০৭:২৮:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২১
- / 207
জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীতে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে নদী তীর সংরক্ষণ কাজের ভাঙনও অব্যাহত রয়েছে। এতে নদীপাড়ের মানুষ যেমন উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে তেমনি শহরবাসী দুশ্চিন্তায় রয়েছে শহর রক্ষা বেড়ি বাঁধ নিয়ে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্রমতে, পদ্মা নদীর পানি গত কয়েকদিন ধরে বাড়ছে। তবে জেলার দুটি পয়েন্টে বিপদসীমার নীচেই রয়েছে। সদর উপজেলার মহেন্দ্রপুর ও পাংশার সেনগ্রাম পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সে.মি নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পদ্মা নদীর পানি। পানি বাড়তে থাকায় সদর উপজেলার বরাট, মিজানপুর, খানগঞ্জ ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে নদী তীরবর্তী মানুষেরা পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। অপরদিকে দৌলতদিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১৫ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নদীর পানি বৃদ্ধির মধ্যে রাজবাড়ী সদর উপজেলার সোনাকান্দরে পদ্মা তীর সংরক্ষণ কাজের ৩০ মিটার এলাকার সিসি ব্লক পদ্মায় তলিয়ে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এই নিয়ে চলমান কাজের মধ্যে আট দফা ভাঙনের সৃষ্টি হলো। যেকারণে নদী তীরবর্তী মানুষ খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। সোনাকান্দর এলাকার বাসিন্দা রফিক শেখ জানান, আমরা পদ্মা পাড়ের মানুষ খুবই আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। কখন যেন বাড়ি ঘর নদীতে তলিয়ে যায়।
রাজবাড়ী শহরের বাসিন্দা আব্দুর রউফ বলেন, নদী ভাঙন অব্যাহত থাকলে শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙে যাবে। বন্যা হলে শহরে পানি প্রবেশ করবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে শহরবাসী। যেকোনো মূল্যে ভাঙন প্রতিরোধ করে শহরকে বাঁচাতে হবে।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান জানান, সোনাকান্দর এলাকায় ৩০ মিটার ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে ওভারফ্লো হওয়ায় সেখানে লাঠি পুঁতে রাখা হয়েছে। ভাঙন স্থানে যথেষ্ঠ পরিমাণ বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও ফেলা হবে। আমরা ভাঙন প্রতিরোধে সচেষ্ট রয়েছি। যখন যেখানে ভাঙন দেখা দিচ্ছে সেখানে কাজ করার পর ভাঙন রোধ হচ্ছে।





















