রাজবাড়ীর সকল উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন স্থগিত করেছে কেন্দ্র
- প্রকাশের সময় : ০৮:৩৭:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৯
- / ২০৮৮ জন সংবাদটি পড়েছেন
জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর সকল উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন স্থগিত করেছে কেন্দ্র। গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে সম্মেলন করার চেষ্টা চলছে-রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলীর এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ ৩ ডিসেম্বর রাজবাড়ী সদর উপজেলা ও ৫ ডিসেম্বর গোয়ালন্দ পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল।
রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি কাজী কেরামত আলী জানান, ইউনিয়ন কমিটিগুলো গঠনে অনেক অনিয়ম হয়েছে। সদর উপজেলার সম্মেলনে ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি সম্পাদকদের ভোটার করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। জেলা আওয়ামী লীগের বিগত সভায় জেলা আওয়ামী লীগের দুজন সদস্যকে মিটিংয়ে ঢুকতে দেয়া হয়নি। যাদের ঢুকতে বাধা দেয়া হয়েছে তাদেরকে পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হলেও এখনও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদে বহাল আছে। আর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্যদের বাদ দেয়ার এখতিয়ার জেলা কমিটির নেই। শুধু কেন্দ্রই তাদেরকে বাদ দিতে পারে।
রোববার রাতে তার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রাজধানী ঢাকার আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে রাজবাড়ী জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপির সাথে দেখা করে এসব চিত্র তুলে ধরেন। মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল তাৎক্ষণিক বিষয়টি নিয়ে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাথে কথা বলেন। ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশনায় রাতেই জেলার সকল উপজেলা ও পৌর সম্মেলন স্থগিতের কথা জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতাদের ফোনে জানিয়ে দেয়া হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন সম্পন্ন হওয়ার পর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি। আর কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হওয়ার সম্ভাবনা কম।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আকবর আলী মর্জি, রাজবাড়ী পৌর মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী, সাবেক সাংসদ কামরুন্নাহার চৌধুরী লাভলী, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সোহেল রানা টিপু, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যড. রফিকুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ হোসেন হোসেন প্রমুখ।
জেলা আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, রাজবাড়ী জেলার ৪২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪১টির সস্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। বাকী রয়েছে পাংশা উপজেলার যশাই ইউনিয়নের সম্মেলন। এছাড়া দুটি পৌরসভা ও পাঁচটি উপজেলার সম্মেলন খুব শীগগীরই হওয়ার কথা ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা আওয়ামী লীগের এক সিনিয়র নেতা বলেন, দলে বিভক্তির মাত্রা বেড়ে গেছে। এটা আওয়ামী লীগের জন্য শুভ নয়। দলের মঙ্গলের জন্য এ বিভেদ দূর করতে হবে।
রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীর মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।