Dhaka ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে আবারও গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করে হত্যা

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৪১:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অগাস্ট ২০১৮
  • / ১৬৮৯ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীতে মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে আরও একজন গৃহবধূকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে।
এবার হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার বাণিবহ ইউনিয়নের আটদাপুনিয়া গ্রামের দুই সন্তানের জননী আদুরি বেগম (২৩)। তিনি একই গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী। মঙ্গলবার গভীর রাতের কোনো এক সময় এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কে বা কারা তাকে এমন নির্মমভাবে হত্যা করেছে তা এখনও জানা যায়নি।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকিব খান, সদর থানার ওসি তারিক কামাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, বছর পাঁচেক আগে মিজানুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় আদুরি বেগমের। আদুরি বেগমের বাবার বাড়ি খুলনা জেলায় বলে জানা গেছে। মোবাইল প্রেমের সূত্র ধরে পারিবারিকভাবেই তাদের বিয়ে হয়। তাদের আবীর(৩) ও কবির(২) নামে দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। আদুরি বেগমের স্বামী মিজানুর রহমান আগে খেতে খামারে কাজ করতেন। তবে রোজার ঈদের পর তিনি কাজের সন্ধানে কক্সবাজার যান। সেখানে তিনি রডমিস্ত্রীর কাজ করেন। সাংসারিক খরচপত্রের টাকা বিকাশযোগে স্ত্রীকে পাঠিয়ে দেন।
নিহতের শ্বশুর করিম মৃধা জানান, রাত একটার দিকে তার নাতি আবীর কেঁদে ওঠে। কিছুতেই তার কান্না না থামায় এগিয়ে দেখেন ঘরের দরজা খোলা। এরপর ঘরে ঢুকে আলো জ্বালিয়ে দেখেন তার বৌমার রক্তাক্ত লাশ পরে আছে। সাথে সাথে বিষয়টি তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে জানান।
তিনি আরও জানান, তার তিন ছেলে এক মেয়ে। মেয়ে বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ি থাকে। এক ছেলে কক্সবাজার অপর ছেলে ফেনীতে থাকে। শুধু ছোট ছেলে বাড়িতে থাকে। সে খেতে খামারে কাজ করে। তারা নিরীহ গরীব মানুষ। তাদের কারো সাথে কোনো শত্রুতা নেই।
রাজবাড়ী সদর থানার এসআই বদিয়ার রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতের গলার চার পাশ দিয়ে কাটা। মাথাটি কোনোমতে ঝুলছিল। মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে একটার মধ্যে যেকোন সময় এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কীনা তা ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে। এধরনের কোনো আলামত চোখে পড়েনি।
রাজবাড়ী সদর থানার ওসি তারিক কামাল জানান, এখনও পর্যন্ত এ হত্যাকান্ডের ব্যাপারে তেমন কিছুই জানা যায়নি। এব্যাপারে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চছে। কারা কেন তাকে হত্যা করেছে সে বিষয়ে তদন্ত ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩ আগস্ট শুক্রবার রাজবাড়ী সদর উপজেলার মূলঘর ইউনিয়নের পশ্চিম মূলঘর গ্রামে শোবার ঘর থেকে দাদীÑনাতনির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাজবাড়ীতে আবারও গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করে হত্যা

প্রকাশের সময় : ০৯:৪১:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অগাস্ট ২০১৮

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীতে মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে আরও একজন গৃহবধূকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে।
এবার হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার বাণিবহ ইউনিয়নের আটদাপুনিয়া গ্রামের দুই সন্তানের জননী আদুরি বেগম (২৩)। তিনি একই গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী। মঙ্গলবার গভীর রাতের কোনো এক সময় এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কে বা কারা তাকে এমন নির্মমভাবে হত্যা করেছে তা এখনও জানা যায়নি।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকিব খান, সদর থানার ওসি তারিক কামাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, বছর পাঁচেক আগে মিজানুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় আদুরি বেগমের। আদুরি বেগমের বাবার বাড়ি খুলনা জেলায় বলে জানা গেছে। মোবাইল প্রেমের সূত্র ধরে পারিবারিকভাবেই তাদের বিয়ে হয়। তাদের আবীর(৩) ও কবির(২) নামে দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। আদুরি বেগমের স্বামী মিজানুর রহমান আগে খেতে খামারে কাজ করতেন। তবে রোজার ঈদের পর তিনি কাজের সন্ধানে কক্সবাজার যান। সেখানে তিনি রডমিস্ত্রীর কাজ করেন। সাংসারিক খরচপত্রের টাকা বিকাশযোগে স্ত্রীকে পাঠিয়ে দেন।
নিহতের শ্বশুর করিম মৃধা জানান, রাত একটার দিকে তার নাতি আবীর কেঁদে ওঠে। কিছুতেই তার কান্না না থামায় এগিয়ে দেখেন ঘরের দরজা খোলা। এরপর ঘরে ঢুকে আলো জ্বালিয়ে দেখেন তার বৌমার রক্তাক্ত লাশ পরে আছে। সাথে সাথে বিষয়টি তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে জানান।
তিনি আরও জানান, তার তিন ছেলে এক মেয়ে। মেয়ে বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ি থাকে। এক ছেলে কক্সবাজার অপর ছেলে ফেনীতে থাকে। শুধু ছোট ছেলে বাড়িতে থাকে। সে খেতে খামারে কাজ করে। তারা নিরীহ গরীব মানুষ। তাদের কারো সাথে কোনো শত্রুতা নেই।
রাজবাড়ী সদর থানার এসআই বদিয়ার রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতের গলার চার পাশ দিয়ে কাটা। মাথাটি কোনোমতে ঝুলছিল। মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে একটার মধ্যে যেকোন সময় এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কীনা তা ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে। এধরনের কোনো আলামত চোখে পড়েনি।
রাজবাড়ী সদর থানার ওসি তারিক কামাল জানান, এখনও পর্যন্ত এ হত্যাকান্ডের ব্যাপারে তেমন কিছুই জানা যায়নি। এব্যাপারে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চছে। কারা কেন তাকে হত্যা করেছে সে বিষয়ে তদন্ত ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩ আগস্ট শুক্রবার রাজবাড়ী সদর উপজেলার মূলঘর ইউনিয়নের পশ্চিম মূলঘর গ্রামে শোবার ঘর থেকে দাদীÑনাতনির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।