google.com, pub-6890555873338496, DIRECT, f08c47fec0942fa0
Dhaka ১০:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ:
সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম ও স্ত্রী–সন্তানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা রাবিতে শুরু হলো ‘শৈত্যোৎসব ও পিঠা পুলি মেলা ১৪৩১’ রাজনৈতিক ঐক্যে যাতে ফাটল না ধরে, উপদেষ্টাদের প্রতি আহ্বান বিএনপির জামিন পেয়েই সাংবাদিকদের ওপর ক্ষেপে গেলেন সেই চিকিৎসক মেয়াদোত্তীর্ণ কীটনাশকে ক্ষতিগ্রস্ত পেঁয়াজ চাষী গোয়ালন্দে মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ যতদিন আছি, একতা নিয়েই থাকব : প্রধান উপদেষ্টা সাইফকে কোপানোর ভিডিও প্রকাশ্যে, পাগলপ্রায় কারিনা! মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা : ঢাকার বেশকিছু সড়ক পরিহারে ডিএমপির গণবিজ্ঞপ্তি দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত জবিতে চলবে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

৪০০ বছরের গাছের অজানা কাহিনি

ডেস্ক নিউজ
  • প্রকাশের সময় : ০৬:০৫:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 12

 

ফেনী শহরের দাউদপুর ব্রিজের পাশেই ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ৪০০ বছরের পুরনো ‘বট কড়ই গাছ’। শহরের প্রবেশমুখ হওয়ায় বিশালাকৃতির এ গাছটি যে-কারও নজর কাড়ে। জনশ্রুতি রয়েছে, এ গাছের নিচে বসেই কবিতা লিখেছেন বাংলা সাহিত্যের প্রাক-রবীন্দ্রযুগের অন্যতম উল্লেখ্যযোগ্য কবি নবীনচন্দ্র সেন। ধারণা করা হয়, ১৫৪০ থেকে ১৫৪৫ সালের মধ্যে শের শাহ সুরি ‘সড়ক-এ-আজম’ নামে গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড প্রতিষ্ঠা করেন। ওই সময়ে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ঘোড়ার মাধ্যমে যাতায়াত করত। তাদের বিশ্রামের জন্যই এ সড়কে বেশ কিছু গাছ রোপণ করা হয়। কালক্রমে সব গাছ মারা গেলেও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে বট কড়ই গাছটি। প্রতি সন্ধ্যায় এ গাছে হরেকরকম পাখির কলরবে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। আশপাশ সৌন্দর্যবর্ধন ও পরিচর্যা করা হলে ক্ষতি থেকে গাছটি রক্ষা পাবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। শহরের উকিলপাড়ার বাসিন্দা এখলাছ উদ্দিন বলেন, ‘জন্মের পর থেকেই গাছটি আমরা এভাবে দেখে আসছি। বাবার বাবাও এ গাছটি দেখেছিলেন। এ গাছটি সম্পর্কে দাদা-নানারা অনেক কিচ্ছাকাহিনি শোনাতেন আমাদের।’ বয়োবৃদ্ধ করিম মিয়া বলেন, ‘গাছটির নিচে একসময় দূরদূরান্তের ভ্রমণার্থীরা রাতযাপন করত, বিশ্রাম নিত। আশপাশের অভিজাতরা বিশ্রামার্থীদের আদর-আপ্যায়নের আয়োজন করত।’ সাংবাদিক জসিম ফরায়েজী বলেন, ‘ইতিহাসের নীরব সাক্ষী কড়ই গাছটি পরগাছায় ছেয়ে গেছে। অযতেœ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ডালপালা। আগাছা দ্রুত পরিষ্কার করা না হলে কালের সাক্ষী এ গাছটি হারিয়ে যাবে। সঠিক পরিচর্যা ও পদক্ষেপ হাতে না নিলে নতুন প্রজন্ম এ বৃক্ষের ইতিহাস সম্পর্কে জানার সুযোগ হারাবে।’

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

৪০০ বছরের গাছের অজানা কাহিনি

প্রকাশের সময় : ০৬:০৫:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

 

ফেনী শহরের দাউদপুর ব্রিজের পাশেই ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ৪০০ বছরের পুরনো ‘বট কড়ই গাছ’। শহরের প্রবেশমুখ হওয়ায় বিশালাকৃতির এ গাছটি যে-কারও নজর কাড়ে। জনশ্রুতি রয়েছে, এ গাছের নিচে বসেই কবিতা লিখেছেন বাংলা সাহিত্যের প্রাক-রবীন্দ্রযুগের অন্যতম উল্লেখ্যযোগ্য কবি নবীনচন্দ্র সেন। ধারণা করা হয়, ১৫৪০ থেকে ১৫৪৫ সালের মধ্যে শের শাহ সুরি ‘সড়ক-এ-আজম’ নামে গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড প্রতিষ্ঠা করেন। ওই সময়ে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ঘোড়ার মাধ্যমে যাতায়াত করত। তাদের বিশ্রামের জন্যই এ সড়কে বেশ কিছু গাছ রোপণ করা হয়। কালক্রমে সব গাছ মারা গেলেও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে বট কড়ই গাছটি। প্রতি সন্ধ্যায় এ গাছে হরেকরকম পাখির কলরবে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। আশপাশ সৌন্দর্যবর্ধন ও পরিচর্যা করা হলে ক্ষতি থেকে গাছটি রক্ষা পাবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। শহরের উকিলপাড়ার বাসিন্দা এখলাছ উদ্দিন বলেন, ‘জন্মের পর থেকেই গাছটি আমরা এভাবে দেখে আসছি। বাবার বাবাও এ গাছটি দেখেছিলেন। এ গাছটি সম্পর্কে দাদা-নানারা অনেক কিচ্ছাকাহিনি শোনাতেন আমাদের।’ বয়োবৃদ্ধ করিম মিয়া বলেন, ‘গাছটির নিচে একসময় দূরদূরান্তের ভ্রমণার্থীরা রাতযাপন করত, বিশ্রাম নিত। আশপাশের অভিজাতরা বিশ্রামার্থীদের আদর-আপ্যায়নের আয়োজন করত।’ সাংবাদিক জসিম ফরায়েজী বলেন, ‘ইতিহাসের নীরব সাক্ষী কড়ই গাছটি পরগাছায় ছেয়ে গেছে। অযতেœ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ডালপালা। আগাছা দ্রুত পরিষ্কার করা না হলে কালের সাক্ষী এ গাছটি হারিয়ে যাবে। সঠিক পরিচর্যা ও পদক্ষেপ হাতে না নিলে নতুন প্রজন্ম এ বৃক্ষের ইতিহাস সম্পর্কে জানার সুযোগ হারাবে।’