৪০০ বছরের গাছের অজানা কাহিনি
- প্রকাশের সময় : ০৬:০৫:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
- / 12
ফেনী শহরের দাউদপুর ব্রিজের পাশেই ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ৪০০ বছরের পুরনো ‘বট কড়ই গাছ’। শহরের প্রবেশমুখ হওয়ায় বিশালাকৃতির এ গাছটি যে-কারও নজর কাড়ে। জনশ্রুতি রয়েছে, এ গাছের নিচে বসেই কবিতা লিখেছেন বাংলা সাহিত্যের প্রাক-রবীন্দ্রযুগের অন্যতম উল্লেখ্যযোগ্য কবি নবীনচন্দ্র সেন। ধারণা করা হয়, ১৫৪০ থেকে ১৫৪৫ সালের মধ্যে শের শাহ সুরি ‘সড়ক-এ-আজম’ নামে গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড প্রতিষ্ঠা করেন। ওই সময়ে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ঘোড়ার মাধ্যমে যাতায়াত করত। তাদের বিশ্রামের জন্যই এ সড়কে বেশ কিছু গাছ রোপণ করা হয়। কালক্রমে সব গাছ মারা গেলেও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে বট কড়ই গাছটি। প্রতি সন্ধ্যায় এ গাছে হরেকরকম পাখির কলরবে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। আশপাশ সৌন্দর্যবর্ধন ও পরিচর্যা করা হলে ক্ষতি থেকে গাছটি রক্ষা পাবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। শহরের উকিলপাড়ার বাসিন্দা এখলাছ উদ্দিন বলেন, ‘জন্মের পর থেকেই গাছটি আমরা এভাবে দেখে আসছি। বাবার বাবাও এ গাছটি দেখেছিলেন। এ গাছটি সম্পর্কে দাদা-নানারা অনেক কিচ্ছাকাহিনি শোনাতেন আমাদের।’ বয়োবৃদ্ধ করিম মিয়া বলেন, ‘গাছটির নিচে একসময় দূরদূরান্তের ভ্রমণার্থীরা রাতযাপন করত, বিশ্রাম নিত। আশপাশের অভিজাতরা বিশ্রামার্থীদের আদর-আপ্যায়নের আয়োজন করত।’ সাংবাদিক জসিম ফরায়েজী বলেন, ‘ইতিহাসের নীরব সাক্ষী কড়ই গাছটি পরগাছায় ছেয়ে গেছে। অযতেœ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ডালপালা। আগাছা দ্রুত পরিষ্কার করা না হলে কালের সাক্ষী এ গাছটি হারিয়ে যাবে। সঠিক পরিচর্যা ও পদক্ষেপ হাতে না নিলে নতুন প্রজন্ম এ বৃক্ষের ইতিহাস সম্পর্কে জানার সুযোগ হারাবে।’