ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এআই ইয়ুথ টক’ নিয়ে কর্মশালা
- প্রকাশের সময় : ১১:১৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ১০৫০ জন সংবাদটি পড়েছেন
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে আয়োজিত হলো ‘এআই ইয়ুথ টক’।
আপন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আইইইই এমবিএসটিইউ শাখা এবং আইসিটি সোসাইটির সহযোগিতায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির পেশাদার অধ্যয়ন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাহদী উজ জামান এবং মাভাবিপ্রবি’র উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ারুল আজিম আখন্দ।
উদ্বোধনী বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর আখন্দ বলেন, বিভিন্ন পটভূমি থেকে আসা শিক্ষার্থীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে নিজেদের দক্ষ প্রোগ্রামার হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। এটি শুধু তাদের ব্যক্তিগত উন্নতি নয়, দেশের উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে। তিনি উদীয়মান প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়ে তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ মাহদী উজ জামান শিক্ষার্থীদের আগামী দশকের চাকরির বাজারের চাহিদার সঙ্গে নিজেদের দক্ষতা কীভাবে সামঞ্জস্য করা যায়, তা নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, নিজেদের সক্ষমতা মূল্যায়ন করে এবং ছয় মাসের স্ব-প্রশিক্ষণ মডিউল তৈরি করে শিক্ষার্থীরা সহজেই কাঙ্খিত চাকরি খুঁজে পেতে পারে।
এছাড়াও, ইঞ্জিনিয়ার শাহ মোহাম্মদ ফয়সাল বিন রহমান তার বক্তব্যে শিল্প ও একাডেমিয়ার মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরির গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক স্নাতকদের জন্য চাকরির সুযোগ বাড়াতে শিল্প ও শিক্ষার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা জরুরি।
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জিয়াউর রহমান বলেন, এমন আয়োজন শিক্ষার্থীদের দৃষ্টিভঙ্গি ও দক্ষতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে। আপন ফাউন্ডেশন এবং ডিইই ফাউন্ডেশনকে আমরা এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানাই।
‘এআই ইয়ুথ টক’ শিক্ষার্থীদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব এবং ভবিষ্যৎ প্রোগ্রামিং ও প্রযুক্তিতে এর সম্ভাবনা নিয়ে চিন্তাভাবনা করার সুযোগ দেয়। এই আয়োজন তরুণদের ডিজিটাল যুগে উদ্ভাবনী নেতৃত্ব তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।