সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও চাঁদাবাজি মামলা
- প্রকাশের সময় : ০৬:৪৮:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪
- / ১১৩৪ জন সংবাদটি পড়েছেন
সাবেক রেলমন্ত্রী ও রাজবাড়ী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিমসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে রাজবাড়ীতে মামলা হয়েছে। রোববার বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের বিলধামু গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ছাত্রদল নেতা তুহিনুর রহমান বাদী হয়ে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন জিল্লুল হাকিমের ছেলে মিতুল হাকিম, চাচাতো ভাই সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হাকিম সাধন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আুবুল কালাম আজাদ, তৎকালীন বালিয়াকান্দি থানার ওসি আবু শামা ইকবাল হায়াৎ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নায়েব আলী, নাছির উদ্দিন, নজরুল ইসলাম, জহুরুল ইসলাম ও মো. কালাম। আদালতের বিচার মৌসুমী সাহা মামলাটি গ্রহণ করে বালিয়াকান্দি থানার ওসিকে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি তারিখে জিল্লুল হাকিমের নির্দেশে অন্য আসামিরা বালিয়াকান্দি কলেজ মাঠের পেছন থেকে বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে একটি মাইক্রোবাসে তুলে ৪ নং আসামি নায়েব আলীর বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। পরে ২ নং ্আসামি তৎকালীন বালিয়াকান্দি থানার ওসি আবু শামা ইকবাল হায়াৎ তাকে উল্টো করে ঝুলিয়ে বেদম প্রহার করেন। এরপর তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসামিরা। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার উপর আরও নির্যাতন চালানো হয়। এইভাবে সরা রাত তার উপর নির্যাতন চালানো হয়। তার বাবা খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে তাকে অজ্ঞান ও মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান। অতিকষ্টে পাঁচ লাখ টাকা সংগ্রহ করে ২ ও ৪ নং আসামির হাতে দেন। তবুও তিনি রেহাই পাননি। এরপর তাকে বালিয়াকান্দি থানায় নিয়ে একটি পেন্ডিং মামলায় আদালতে চালান দেওয়া হয়। আসামিদের নির্যাতনে তিনি প্রচন্ড অসুুস্থ হওয়ায় কারা হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সুস্থ না হওয়ায় আদালত থেকে জামিন নিয়ে ভারতের চেন্নাই ও ভেলোরে চিকিৎসা করান। এখনও তিনি পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেননি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী রাজবাড়ী জেলা বার এসোসিয়েশনের আইনজীবী অ্যড. আব্দুর রাজ্জাক জানান, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে বালিয়াকান্দি থানাকে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন।
সাবেক রেলমন্ত্রী ও রাজবাড়ী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিমের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।