ধান ক্ষেত থেকে হাড়গোড় উদ্ধার
বেল্ট দেখে ৩ মাস আগে নিখোঁজ আল আমিনের লাশ বলে দাবি স্বজনের
- প্রকাশের সময় : ০৬:৫৩:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২
- / ১১৯৫ জন সংবাদটি পড়েছেন
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার পাইককান্দি গ্রামের সীমান্তবর্তী ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার মেগচামী ইউনিয়নের বিল সিংহনাথ গ্রামের একটি ধান ক্ষেত থেকে বুধবার দুপুরে লাশের হাড়গোড় উদ্ধার করেছে মধুখালী থানার পুলিশ। সেখানে পড়ে থাকা প্যান্টের ছেড়া অংশ ও বেল্ট দেখে লাশটি তিন মাসে আগে নিখোঁজ আল আমিনের বলে দাবি করেছে তার স্বজনরা। পুলিশ বলছে এটি হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। ডিএনএ পরীক্ষার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিখোঁজ আল আমিন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের আকিদুল মোল্যার ছেলে। স্থানীয় একটি মুরগীর ফার্মে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো সে।
বালিয়াকান্দি থানা ও আলআমিনের স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের পাইককান্দি গ্রামের মিজানুর রহমানের মুরগী ফার্মে বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে কাজ করতো আল আমিন। রাতে ফার্মেই থাকতো। গত ৬ সেপ্টেম্বর থেকে সে নিখোঁজ। এব্যাপারে আল আমিনের বাবা আকিদুল মোল্যা গত ১১ সেপ্টেম্বর বালিয়াকান্দি থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রী করেন। এতেও সন্ধান না পাওয়ায় গত ১৫ নভেম্বর তারিখে তিনি রাজবাড়ী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করছে।
আল আমিনের চাচা আসলাম মোল্লা জানান, আল আমিন এবং তার নাতি ছেলে একসাথে দোকানে গিয়ে বেল্টটি কিনেছিল। এটা তার স্পষ্ট মনে আছে। একারণে মনে হচ্ছে লাশটি আল আমিনের।
বালিয়াকান্দি থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, মধুখালীর মেগচামীতে হাড়গোড় পাওয়ার পর সেখানে একটি বেল্ট দেখে নিখোঁজ আল আমিনের স্বজনরা দাবি করেছে লাশটি আল আমিনের। বিষয়টি জানার পর বালিয়াকান্দি থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লাশটি আল আমিনের হতেও পারে। আবার নাও পারে। যেহেতু হাড়গোড় মধুখালী থানা এলাকার মধ্যে পাওয়া গেছে তাই মধুখালী থানাই বিষয়টি তদন্ত করবে। নিখোঁজের ডাইরি বিষয়ে বলেন, এমন ডায়েরি প্রায় প্রতিদিনই হচ্ছে।
মধুখালী থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলার মেগচামী ইউনিয়নের বিল সিংহনাথ মৌজার একটি ধান ক্ষেতে হাড়গোড় পড়ে থাকতে দেখে বুধবার সকালে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে সেখানে উপস্থিত হয়ে হাড়গোড় উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এসময় রাজবাড়ী ও ফরিদপুর জেলার ঊর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তা, সিআইডি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। হাড়গোড়ের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষার রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত এবিষয়ে নিশ্চিত করে কিছুই বলা সম্ভব নয়।