Dhaka ১১:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতিদিনই বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৮:২২:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০২২
  • / ১১৫৫ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন হাসপাতালের ওয়ার্ড পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় রোগীরা ঠাঁই নিয়েছে গাছতলায়। গত ১৪ ঘণ্টায় একশরও বেশি ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে হাসপাতালে। এতো রোগীর চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে নার্স ও চিকিৎসকদের। রাজবাড়ীতে প্রতিদিনই বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগী ও তার স্বজনদের।

রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিনই বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছে ৯২ জন রোগী। একশ শয্যার এ হাসপাতালে এখন ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যাই প্রায় দেড়শ।

বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ১২ শয্যার ডায়রিয়া ওয়াডের বেড, মেঝে পরিপূর্ণ। হাসপাতালের মূল ভবনের বারান্দার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত শুধুই ডায়রিয়া রোগী। সেখানেও জায়গা না হওয়ায় হাসপাতালের সামনে গাছতলায় বেড পেতে চিকিৎসা নিচ্ছে রোগীরা। বাইরেই ডাক্তার ও নার্সরা ক্লান্তিহীনভাবে তাদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। বাইরের বেডে স্যালাইনের স্ট্যান্ড না থাকায় স্যালাইন কেউ গাছের সাথে বেঁধেছেন। কারো রোগীর স্বজন হাত দিয়ে উঁচু করে ধরে রেখেছেন।

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান জানান, প্রতিদিনই ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসাপাতালে পর্যাপ্ত ডাক্তার ও ওষুধ রয়েছে। জায়গা না থাকায় অনেক রোগীই হাসপাতালের বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছে। এক সাথে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় সবাইকে বেড দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে ডায়রিয়ার কারণ অনুসন্ধানে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. শামীম আহসান জানান, দেখা গেছে একই পরিবারের প্রায় সব সদস্যই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। বাইরের খোলা খাবার এবং পানি থেকে ডায়রিয়া রোগ ছড়াচ্ছে।

রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. ইব্রাহীম টিটন বলেন, পরিস্থিতি এখনও আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ডায়রিয়া রোগ বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা সম্ভব। এজন্য আমরা পৌরসভার মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি ওরস্যালাইন পাঠাচ্ছি। খুব তাড়াতাড়িই এ সমস্যা কেটে যাবে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

প্রতিদিনই বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা

প্রকাশের সময় : ০৮:২২:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০২২

জনতার আদালত অনলাইন হাসপাতালের ওয়ার্ড পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় রোগীরা ঠাঁই নিয়েছে গাছতলায়। গত ১৪ ঘণ্টায় একশরও বেশি ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে হাসপাতালে। এতো রোগীর চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে নার্স ও চিকিৎসকদের। রাজবাড়ীতে প্রতিদিনই বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগী ও তার স্বজনদের।

রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিনই বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছে ৯২ জন রোগী। একশ শয্যার এ হাসপাতালে এখন ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যাই প্রায় দেড়শ।

বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ১২ শয্যার ডায়রিয়া ওয়াডের বেড, মেঝে পরিপূর্ণ। হাসপাতালের মূল ভবনের বারান্দার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত শুধুই ডায়রিয়া রোগী। সেখানেও জায়গা না হওয়ায় হাসপাতালের সামনে গাছতলায় বেড পেতে চিকিৎসা নিচ্ছে রোগীরা। বাইরেই ডাক্তার ও নার্সরা ক্লান্তিহীনভাবে তাদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। বাইরের বেডে স্যালাইনের স্ট্যান্ড না থাকায় স্যালাইন কেউ গাছের সাথে বেঁধেছেন। কারো রোগীর স্বজন হাত দিয়ে উঁচু করে ধরে রেখেছেন।

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান জানান, প্রতিদিনই ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসাপাতালে পর্যাপ্ত ডাক্তার ও ওষুধ রয়েছে। জায়গা না থাকায় অনেক রোগীই হাসপাতালের বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছে। এক সাথে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় সবাইকে বেড দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে ডায়রিয়ার কারণ অনুসন্ধানে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. শামীম আহসান জানান, দেখা গেছে একই পরিবারের প্রায় সব সদস্যই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। বাইরের খোলা খাবার এবং পানি থেকে ডায়রিয়া রোগ ছড়াচ্ছে।

রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. ইব্রাহীম টিটন বলেন, পরিস্থিতি এখনও আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ডায়রিয়া রোগ বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা সম্ভব। এজন্য আমরা পৌরসভার মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি ওরস্যালাইন পাঠাচ্ছি। খুব তাড়াতাড়িই এ সমস্যা কেটে যাবে।