রাজবাড়ীতে পাটের গুদামে অগ্নিকান্ড, কোটি টাকার ক্ষতি
- প্রকাশের সময় : ০৯:৩৮:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২
- / ১১৬৭ জন সংবাদটি পড়েছেন
জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে চারটি পাটের গুদাম পুড়ে গেছে। এতে ক্ষতি হয়েছে কোটি টাকারও বেশি। বুধবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ওই চারটি গুদামে সিদ্দিক সরদার, সোহেল খান, দুলাল, মনোজিৎ কুন্ডু ও আব্দুর রহমান নামে পাঁচ ব্যবসায়ীর পাট ছিল। তারা সবাই খানখানাপুর ইউনিয়ন এলাকার বাসিন্দা। অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছেন, অগ্নিকান্ডে কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে। ছয়টি ইউনিটের কর্মীরা দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বুধবার সকালে হঠাৎ করেই পাটের গুদাম থেকে ধোয়া বের হতে দেখা যায়। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সাথে সাথেই খবর দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিসকে। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌছানোর আগেই পাশের চারটি গুদামে আগুন লেগে যায়। আগুনের লেলিহান শিখায় সবার মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। আগুনে চারটি গুদাম ঘর ও গুদাম ঘরে থাকা প্রায় পাঁচ হাজার মণ পাট পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত পাট ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান জানান, সকাল আটটার দিকে বাড়ি থেকে জানতে পারেন পাটের গুদামে আগুন লেগেছে। এসে দেখেন সব শেষ। গুদামে তার ছয়শ মণ পাট ছিল। যার বাজার মূল্য প্রায় ১৭ লাখ টাকা। তার সাথে সোহেলের ছিল দুই হাজার দুইশ মণ পাট। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমাদের সব শেষ হয়ে গেল। আমরা পথে বসে গেলাম।
খানখানাপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মামুনুর রহমান জানান, পাঁচ ব্যবসায়ীর পাঁচ হাজার মণের বেশি পাট ছিল। যার বাজার মুল্য কোটি টাকারও বেশি। তবে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত গতিতে কাজ করায় ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা কমেছে। আগুন কীভাবে লেগেছে তা ধারণা করতে পারছেন না।
রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক আব্দুর রহমান জানান, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে তারা কাজ শুরু করেন। আগুনের ভয়াবহতা অনেক বেশি ছিল। রাজবাড়ী, গোয়ালন্দ, পাংশা কালুখালী ও ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ছয়টি ইউনিট দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দুপুর দেড়টার দিকে তিনি জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুরোপুরি নির্বাপন হয়নি। যেহেতু পাটের আগুন সেকারণে যতক্ষণ নির্বাপনে না আসবে ততক্ষণ তারা কাজ করবে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি। অগ্নিকান্ডের কারণ তদন্ত করে জানা যাবে।