Dhaka ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশের মহানুভবতা: ২ বছর পর মহানন্দকে পেয়ে আনন্দে ভাসলো পরিবার

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:১৭:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ১২২২ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন  পুলিশের মহানুভবতায় হারিয়ে যাওয়া মহানন্দকে পেয়ে আনন্দে চোখের জলে সিক্ত হয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। মানসিক প্রতিবন্ধী মহানন্দ দাস নামের ওই যুবক নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার ছোট রাউতা দাসপাড়া গ্রামের দীনেশ দাসের ছেলে। শুক্রবার রাতে রাজবাড়ীর কালুখালী থানা থেকে মহানন্দকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

মহানন্দকে উদ্ধারকারী রাজবাড়ীর  কালুখালী থানার এসআই রুপন চন্দ্র সরকার জানান, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটার দিকে ডিউটি করার সময় কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া মোড় এলাকায় গিয়ে দেখেন স্থানীয় লোকজন একটি ছেলেকে ঘিরে রেখেছে। স্থানীয়দের মতে,  ছেলেটির গতিবিধি সন্দেহজনক ছিল। ছেলেটির নাম ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে অস্পষ্টভাবে উত্তর দেয়। ছেলেটি খুবই ক্ষুধার্ত ছিল। শীতের মধ্যে তার গায়ে ছিল একটি গেঞ্জি। সে যে মানসিক সমস্যায় ভুগছে এটাও বোঝা যায়। ছেলেটিকে কালুখালী থানায় এনে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সাথে শীতের একটি গরম কাপড়ও দেওয়া হয়। ছেলেটিকে বাড়ি যাওয়ার কথা বললে কীভাবে যাবে তা সে জানেনা। বাড়ির কোনো ফোন নম্বরও সে বলতে পারেনা। ছেলেটির কাছ থেকে অস্পষ্টভাবে পাওয়া ঠিকানার সূত্র ধরে ইন্টারনেট থেকে ওই এলাকার ইউপি মেম্বারের মোবাইল নাম্বার খুঁজে পান। ইউপি মেম্বারকে ফোন করে মহানন্দ দাসের কথা বললে  তিনি তাকে  চিনতে পারেন এবং জানান ছেলেটি দুই বছর আগে হারিয়ে গেছে। পরিবারের লোকেরা অনেক  খুঁজেছে তাকে। কিন্তু কোথাও পায়নি। ওই রাতেই দুইটার দিকে ভিডিও কলে তিনি মহানন্দকে তার বাবা-মাকে দেখান। মহানন্দকে দেখেই তারা কেঁদে ফেলেন।

শুক্রবার নীলফামারী থেকে মহানন্দর বাবা দীনেশ দাস, স্থানীয় ইউপি সদস্য কালুখালী থানায় এলে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

তিনি আরও জানান, পরিবারটি হতদরিদ্র। নীলফামারী থেকে কালুখালী আসার ভাড়া  তাদের ছিলনা। স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে তারা কালুখালী আসে। দুই বছর আগে মহানন্দ হারিয়ে যাওয়ার পর সেখানকার থানায় জিডিও করা হয়েছিল। মহানন্দকে পেয়ে পরিবার খুবই খুশী। এটাই তার আত্মতৃপ্তি।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

পুলিশের মহানুভবতা: ২ বছর পর মহানন্দকে পেয়ে আনন্দে ভাসলো পরিবার

প্রকাশের সময় : ০৭:১৭:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২১

জনতার আদালত অনলাইন  পুলিশের মহানুভবতায় হারিয়ে যাওয়া মহানন্দকে পেয়ে আনন্দে চোখের জলে সিক্ত হয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। মানসিক প্রতিবন্ধী মহানন্দ দাস নামের ওই যুবক নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার ছোট রাউতা দাসপাড়া গ্রামের দীনেশ দাসের ছেলে। শুক্রবার রাতে রাজবাড়ীর কালুখালী থানা থেকে মহানন্দকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

মহানন্দকে উদ্ধারকারী রাজবাড়ীর  কালুখালী থানার এসআই রুপন চন্দ্র সরকার জানান, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটার দিকে ডিউটি করার সময় কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া মোড় এলাকায় গিয়ে দেখেন স্থানীয় লোকজন একটি ছেলেকে ঘিরে রেখেছে। স্থানীয়দের মতে,  ছেলেটির গতিবিধি সন্দেহজনক ছিল। ছেলেটির নাম ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে অস্পষ্টভাবে উত্তর দেয়। ছেলেটি খুবই ক্ষুধার্ত ছিল। শীতের মধ্যে তার গায়ে ছিল একটি গেঞ্জি। সে যে মানসিক সমস্যায় ভুগছে এটাও বোঝা যায়। ছেলেটিকে কালুখালী থানায় এনে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সাথে শীতের একটি গরম কাপড়ও দেওয়া হয়। ছেলেটিকে বাড়ি যাওয়ার কথা বললে কীভাবে যাবে তা সে জানেনা। বাড়ির কোনো ফোন নম্বরও সে বলতে পারেনা। ছেলেটির কাছ থেকে অস্পষ্টভাবে পাওয়া ঠিকানার সূত্র ধরে ইন্টারনেট থেকে ওই এলাকার ইউপি মেম্বারের মোবাইল নাম্বার খুঁজে পান। ইউপি মেম্বারকে ফোন করে মহানন্দ দাসের কথা বললে  তিনি তাকে  চিনতে পারেন এবং জানান ছেলেটি দুই বছর আগে হারিয়ে গেছে। পরিবারের লোকেরা অনেক  খুঁজেছে তাকে। কিন্তু কোথাও পায়নি। ওই রাতেই দুইটার দিকে ভিডিও কলে তিনি মহানন্দকে তার বাবা-মাকে দেখান। মহানন্দকে দেখেই তারা কেঁদে ফেলেন।

শুক্রবার নীলফামারী থেকে মহানন্দর বাবা দীনেশ দাস, স্থানীয় ইউপি সদস্য কালুখালী থানায় এলে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

তিনি আরও জানান, পরিবারটি হতদরিদ্র। নীলফামারী থেকে কালুখালী আসার ভাড়া  তাদের ছিলনা। স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে তারা কালুখালী আসে। দুই বছর আগে মহানন্দ হারিয়ে যাওয়ার পর সেখানকার থানায় জিডিও করা হয়েছিল। মহানন্দকে পেয়ে পরিবার খুবই খুশী। এটাই তার আত্মতৃপ্তি।