Dhaka ১১:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীর কোর্ট হাজতে আসামির আত্মহত্যা

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৬:১৪:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০
  • / ১৪১৮ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর কোর্ট হাজতের বাথরুমে পরনের লুঙ্গি ছিড়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন আলামিন মন্ডল (৩২) নামে এক হাজতী। বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার দিােক এ ঘটনা ঘটে। সে পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের রুপিয়াট গ্রামের আজিজুল মন্ডলের ছেলে। তার বিরুদ্ধে পাংশা থানায় দুটি অস্ত্র ও একটি মারামারি মামলা রয়েছে। গত ৩ আগস্ট তারিখে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর সে রাজবাড়ী জেলা কারাগারে হাজতী হিসেবে বন্দী ছিল।

রাজবাড়ীর কোর্ট ইন্সপেক্টর মাহবুবুর রহমান জানান, তিনটি জিআর মামলার আসামি হিসেবে সে কারাগারে ছিল। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কোর্টের হাজতখানায় আনা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে হাজিরার জন্য যুগ্ম ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। দুপুর একটা ৩০ মিনিটে তাকে আবারও হাজতে ফিরিয়ে আনা হয়। তার সঙ্গে আরও ১১ জন হাজতী হাজতখানায় ছিল। দুপুর দুইটার দিকে জেলখানায় প্রেরণের জন্য হাজতের কর্তব্যরত পুলিশ এটিএস ওমর ফারুক হাজতীদের নাম ধরে ডাকে। সবার সাড়া পেলেও আলামিনের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তখন এটিএস ওমর ফারুক একজন কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে হাজতের ভেতরে  গিয়ে দেখতে পান পশ্চিমপাশের বাথরুমের পানির এঙ্গেলের সাথে পরিধেয়  লুঙ্গি পেচিয়ে সে ঝুলে আছে। বিধি অনুযায়ী নিহতের লাশ সুরতহাল করার পর ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে। বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এব্যাপারে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।

রাজবাড়ী জেলা কারাগারের জেলার মামুনুর রশিদ জানান, গত ৮ আগস্ট তারিখে কারাগারে একজন হাজতি হিসেবে এসেছিল আলামিন। তার আচার আচরণ স্বাভাবিক ছিল। সকালে আলামিনসহ ১০ বন্দীকে হাজিরার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছিল।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাজবাড়ীর কোর্ট হাজতে আসামির আত্মহত্যা

প্রকাশের সময় : ০৬:১৪:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর কোর্ট হাজতের বাথরুমে পরনের লুঙ্গি ছিড়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন আলামিন মন্ডল (৩২) নামে এক হাজতী। বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার দিােক এ ঘটনা ঘটে। সে পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের রুপিয়াট গ্রামের আজিজুল মন্ডলের ছেলে। তার বিরুদ্ধে পাংশা থানায় দুটি অস্ত্র ও একটি মারামারি মামলা রয়েছে। গত ৩ আগস্ট তারিখে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর সে রাজবাড়ী জেলা কারাগারে হাজতী হিসেবে বন্দী ছিল।

রাজবাড়ীর কোর্ট ইন্সপেক্টর মাহবুবুর রহমান জানান, তিনটি জিআর মামলার আসামি হিসেবে সে কারাগারে ছিল। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কোর্টের হাজতখানায় আনা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে হাজিরার জন্য যুগ্ম ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। দুপুর একটা ৩০ মিনিটে তাকে আবারও হাজতে ফিরিয়ে আনা হয়। তার সঙ্গে আরও ১১ জন হাজতী হাজতখানায় ছিল। দুপুর দুইটার দিকে জেলখানায় প্রেরণের জন্য হাজতের কর্তব্যরত পুলিশ এটিএস ওমর ফারুক হাজতীদের নাম ধরে ডাকে। সবার সাড়া পেলেও আলামিনের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তখন এটিএস ওমর ফারুক একজন কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে হাজতের ভেতরে  গিয়ে দেখতে পান পশ্চিমপাশের বাথরুমের পানির এঙ্গেলের সাথে পরিধেয়  লুঙ্গি পেচিয়ে সে ঝুলে আছে। বিধি অনুযায়ী নিহতের লাশ সুরতহাল করার পর ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে। বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এব্যাপারে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।

রাজবাড়ী জেলা কারাগারের জেলার মামুনুর রশিদ জানান, গত ৮ আগস্ট তারিখে কারাগারে একজন হাজতি হিসেবে এসেছিল আলামিন। তার আচার আচরণ স্বাভাবিক ছিল। সকালে আলামিনসহ ১০ বন্দীকে হাজিরার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছিল।