হামাস-ইসরায়েল শান্তিচুক্তি, গাজাবাসীর আনন্দ-উৎসব উদযাপন

- প্রকাশের সময় : ০২:১১:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫
- / 31
ইসরায়েল ও হামাস গাজায় শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায় বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে তিনি লিখেছেন, “ইসরায়েল ও হামাস উভয়ই আমাদের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে স্বাক্ষর করেছে। এর অর্থ হলো খুব শিগগিরই সব জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে এবং ইসরায়েল নিজেদের সেনাদের নির্ধারিত লাইনে সরিয়ে আনবে।”
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু চুক্তিটিকে “ইসরায়েলের জন্য একটি মহান দিন” বলে উল্লেখ করেছেন। এই চুক্তি অনুমোদনের জন্য বৃহস্পতিবার তার সরকারের একটি বৈঠক আহ্বান করেছেন তিনি। অন্যদিকে হামাসও যুদ্ধ বন্ধে চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
শান্তিচুক্তির খবর ছড়িয়ে পড়তেই গাজায় আনন্দের বন্যা দেখা দেয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, গাজার বিভিন্ন শহরে মানুষজন নাচে, শিসে ও হাততালিতে উৎসব করছে। দেইর আল বালাহ শহরের আল-আকসা হাসপাতালের সামনে নারী-পুরুষ একত্রিত হয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন এবং “আল্লাহু আকবর” ধ্বনি তোলেন।
একইসঙ্গে ইসরায়েলেও অনেককে শান্তিচুক্তির খবরে আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। ফিলিস্তিনি সাংবাদিক সাঈদ মোহাম্মদ ও মোহাম্মদ আল-হাদ্দাদ ইনস্টাগ্রামে উচ্ছ্বাসমুখর রাতের ভিডিও শেয়ার করেছেন, যেখানে তরুণদের রাস্তায় নাচতে দেখা যায়।
এই ঐতিহাসিক চুক্তির জন্য বিশ্বের বিভিন্ন নেতা অভিনন্দন জানিয়েছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সব পক্ষকে চুক্তির শর্ত মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এই দুর্ভোগের অবসান হওয়া উচিত।”
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার বলেছেন, “এটি একটি গভীর স্বস্তিকর মুহূর্ত।”
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজও চুক্তিটিকে “শান্তির দিকে একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ” হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি ট্রাম্পের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এবং সমঝোতা আলোচনায় মিশর, কাতার ও তুরস্কের ভূমিকার প্রশংসা করেন।






















