google.com, pub-6890555873338496, DIRECT, f08c47fec0942fa0
Dhaka ০৬:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকা কেন্দ্রিক বৈষম্যের অবসানের দাবি রাবি শিক্ষার্থীদের, কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি

রাবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৩০:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 7

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) সদস্য নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ার) বেলা সাড়ে এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

সমাবেশে রাবি স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী সজিব বলেন, আমরা যে আন্দোলনে দাঁড়িয়েছি, এটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং জনতার দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। আমরা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি, কিন্তু ঢাকা কেন্দ্রিক বৈষম্য আমাদের সেই স্বপ্নে বাধা সৃষ্টি করছে। ইউজিসি ও পিএসসিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো প্রতিনিধি নেই—এটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং বৈষম্যমূলক।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষা ও গবেষণায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আমরা দাবি জানাই, ইউজিসিতে অন্তত ১ জন এবং পিএসসিতে অন্তত ২ জন প্রতিনিধি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়োগ দিতে হবে। এই দাবি পূরণ না হলে প্রয়োজনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইয়ামিন হোসেন বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্য ছিল দেশের সব বৈষম্য দূর করা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দেশের দ্বিতীয় প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় হলেও গবেষণা ও অন্যান্য বিষয়ে এটি দেশের প্রথম স্থানে রয়েছে। ২০১৯ থেকে ২৪ সাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সংখ্যা সর্বোচ্চ ছিল, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় অগ্রগামী ভূমিকা নির্দেশ করে। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৭-১৮ জনকে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য পদে নিয়োগ দেওয়া হলেও, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এটি স্পষ্ট বৈষম্য।

আইসিটি সেন্টারের পরিচালক ড. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ২০২৪ সালের গণবিপ্লবের পর থেকে রাবি থেকে ইউজিসি বা পিএসসিতে কোনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অত্যন্ত অপমানজনক। ইউজিসি শিক্ষার মান বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, অথচ রাবির কেউ সেখানে নিয়োগ পাননি। পিএসসির নিয়োগগুলো ঢাকা-কেন্দ্রিক হওয়ায় রাবির শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা দাবি জানাই, রাবি থেকে পিএসসিতে অন্তত ১ জন এবং ইউজিসিতে অন্তত ২ জন নিয়োগ দেওয়া হোক।

সমাবেশে বক্তারা দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমানভাবে প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়ার আহ্বান জানান এবং বৈষম্য দূর করে এক নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান। স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম রেজার সঞ্চালনায় এসময় বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

ঢাকা কেন্দ্রিক বৈষম্যের অবসানের দাবি রাবি শিক্ষার্থীদের, কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি

প্রকাশের সময় : ০৩:৩০:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) সদস্য নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ার) বেলা সাড়ে এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

সমাবেশে রাবি স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী সজিব বলেন, আমরা যে আন্দোলনে দাঁড়িয়েছি, এটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং জনতার দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। আমরা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি, কিন্তু ঢাকা কেন্দ্রিক বৈষম্য আমাদের সেই স্বপ্নে বাধা সৃষ্টি করছে। ইউজিসি ও পিএসসিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো প্রতিনিধি নেই—এটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং বৈষম্যমূলক।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষা ও গবেষণায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আমরা দাবি জানাই, ইউজিসিতে অন্তত ১ জন এবং পিএসসিতে অন্তত ২ জন প্রতিনিধি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়োগ দিতে হবে। এই দাবি পূরণ না হলে প্রয়োজনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইয়ামিন হোসেন বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্য ছিল দেশের সব বৈষম্য দূর করা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দেশের দ্বিতীয় প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় হলেও গবেষণা ও অন্যান্য বিষয়ে এটি দেশের প্রথম স্থানে রয়েছে। ২০১৯ থেকে ২৪ সাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সংখ্যা সর্বোচ্চ ছিল, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় অগ্রগামী ভূমিকা নির্দেশ করে। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৭-১৮ জনকে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য পদে নিয়োগ দেওয়া হলেও, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এটি স্পষ্ট বৈষম্য।

আইসিটি সেন্টারের পরিচালক ড. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ২০২৪ সালের গণবিপ্লবের পর থেকে রাবি থেকে ইউজিসি বা পিএসসিতে কোনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অত্যন্ত অপমানজনক। ইউজিসি শিক্ষার মান বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, অথচ রাবির কেউ সেখানে নিয়োগ পাননি। পিএসসির নিয়োগগুলো ঢাকা-কেন্দ্রিক হওয়ায় রাবির শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা দাবি জানাই, রাবি থেকে পিএসসিতে অন্তত ১ জন এবং ইউজিসিতে অন্তত ২ জন নিয়োগ দেওয়া হোক।

সমাবেশে বক্তারা দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমানভাবে প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়ার আহ্বান জানান এবং বৈষম্য দূর করে এক নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান। স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম রেজার সঞ্চালনায় এসময় বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।