ডিবি পরিচয়ে ব্যাংক কর্মচারীকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে ১৬ লাখ টাকা ছিনতাই
- প্রকাশের সময় : ১০:৫০:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
- / 8
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে দিনদুপুরে ডিবি পুলিশ সেজে এজেন্ট ব্যাংকের এক কর্মচারীকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে অপহরণ ও মারধর করে ১৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার জৈনসার ইউনিয়নের কাঁঠালতলী গ্রামে ইছাপুরা-ভবানীপুর সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
অপহরণ ও ছিনতাইয়ের শিকার আফজাল শেখ উপজেলার ভবানীরপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত জসিমউদ্দিন শেখের ছেলে এবং ভবানীরপুর ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট শাখার কর্মচারী।
আফজাল শেখ বলেন, দুপুরে ভবানীপুর এজেন্ট শাখার জন্য ইসলামী ব্যাংক নিমতলা শাখা থেকে ১৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা তুলে বাসে করে ইছাপুরা আসি। পরে ইছাপুরা থেকে ভবানীপুর এজেন্ট শাখায় যাওয়ার জন্য ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় উঠি। রিকশাটি কাঁঠালতলী গ্রামে ফারুকের পোল্ট্রি ফার্মের সামনে পৌঁছালে একটি মাইক্রোবাস তার রিকশার গতিরোধ করেন। পরে চার-পাঁচজন লোক নেমে অস্ত্রের মুখে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে আমাকে গাড়িতে তোলে। ওই দুর্বৃত্তরা আমার চোখের চশমা ভেঙে চোখ বেঁধে ফেলে। চোখ বাঁধা ও হ্যান্ডকাফ পরানোর কারণ জানতে চাইলে আমাকে মারধর করে আর বলে, তোর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা রয়েছে। এ জন্য তোকে আদালতে চালান দেব। পরে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার কাছ থেকে ১৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের একটি নির্জন স্থানে চোখ বাঁধা অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ইসলামী ব্যাংক ভবানীপুর এজেন্ট শাখার এজেন্ট কামাল শেখ বলেন, ‘আফজাল প্রায় সময় এভাবে টাকা আনা-নেওয়ার কাজ করেছেন। কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি। আমরা থানা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি। যারা আফজালকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের পরনে ডিবির জ্যাকেট ছিল। যেখান থেকে আফজালকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজও আফজালকে তুলে নেওয়ার ভিডিও আমরা দেখেছি।
এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) আ ন ম ইমরান খান বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং যার কাছ থেকে টাকা ছিনতাই হয়েছে, তার সঙ্গে কথা বলে তদন্তকাজ শুরু করেছি। যত দূর শুনেছি, আফজাল খানকে মাইক্রোবাসে করে উঠিয়ে নিয়ে মারধর করে এক্সপ্রেসওয়ের নিমতলা ও আবদুল্লাপুরের মাঝামাঝি এলাকায় ফেলে যায়। তবে গাড়িতে থাকা ব্যক্তিদের গায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পোশাক ছিল কি না, এটা আফজাল খান বলতে পারছেন না। এ ঘটনায় থানায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।
এ ব্যাপারে সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, ওই ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে আমরা ওই চক্রকে ধরতে এবং রহস্য উন্মোচনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।