Dhaka ১১:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাকা নিয়ে জমি রেজিস্ট্রি না করার অভিযোগ প্রতিবেশির বিরুদ্ধে

একে আজাদ, পাংশা
  • প্রকাশের সময় : ০১:১৫:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 14

 

 রাজবাড়ীর পাংশায় জমি কিনতে গিয়ে প্রতিবেশীর কাছে প্রতারণার শিকার হয়েছেন শাহিদুল ইসলাম নামে এক কৃষক। তিনি উপজেলার কোলানগর-প্রেমটিয়া গ্রামের জামাত আলীর ছেলে। তিনি একই গ্রামের মিলন হোসেনের কাছ থেকে জমি কিনেছিলেন।

জানা যায়, মিলন হোসেন শাহিদুল ইসলামের কাছে জমি বিক্রির প্রস্তাব করে। সেই জমি কিনতে রাজি হয় শাহিদুল ইসলাম। ২লাখ ৮০ হাজার টাকায় মিলনের তফসিলভুক্ত জমির মূল্য নির্ধারণ করা হয়। একই এলাকার মৃতঃ হাসেন আলীর ছেলে আব্দুল গফফার ও শাহিদুল ইসলামের বাবা জামাত আলিকে সাক্ষী রেখে ২০২২ সেপ্টেস্বর মাসের ৯ তারিখ বিকালে মিলনের বসতিবাড়ির উপর জমির জন্য ৮০ হাজার টাকা বায়না করে মিলনের পিতার হাতে টাকা তুলে দেওয়া হয়। অবশিষ্ট ২ লাখ টাকা জমি রেজিস্ট্রি করার সময় দেওয়ার কথা বলা হয়। এরপর ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে জমি রেজিস্ট্রি করতে পাংশা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দুই পক্ষ আসে। পরে মিলন জমি রেজিস্ট্রি করা আগে শাহিদুল ইসলামের কাছ থেকে বাকি ২ লাখ টাকা নেন এবং প্রসাব করার কথা বলে অফিস থেকে পালিয়ে যান। পরে খোঁজাখুজির পর মিলনকে পাওয়া গেলে জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে অনুরোধ করলে মিলন রেজিস্ট্রি করে দিতে অস্বীকার করে। এঘটনায় শাহিদুল ইসলাম উপায় না পেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। যার সি,আর ২০১/২৪,ধারা: ৪০৬/৪২০,পেনাল কোড -১৮৬০। প্রতারণার শিকার শাহিদুল ইসলাম বলেন, মিলন টাকা নিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়নি। তাকে বর্তমানে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। টাকাগুলো নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি।

এদিকে অভিযূক্ত মিলনের বক্তব্য নিতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

টাকা নিয়ে জমি রেজিস্ট্রি না করার অভিযোগ প্রতিবেশির বিরুদ্ধে

প্রকাশের সময় : ০১:১৫:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫

 

 রাজবাড়ীর পাংশায় জমি কিনতে গিয়ে প্রতিবেশীর কাছে প্রতারণার শিকার হয়েছেন শাহিদুল ইসলাম নামে এক কৃষক। তিনি উপজেলার কোলানগর-প্রেমটিয়া গ্রামের জামাত আলীর ছেলে। তিনি একই গ্রামের মিলন হোসেনের কাছ থেকে জমি কিনেছিলেন।

জানা যায়, মিলন হোসেন শাহিদুল ইসলামের কাছে জমি বিক্রির প্রস্তাব করে। সেই জমি কিনতে রাজি হয় শাহিদুল ইসলাম। ২লাখ ৮০ হাজার টাকায় মিলনের তফসিলভুক্ত জমির মূল্য নির্ধারণ করা হয়। একই এলাকার মৃতঃ হাসেন আলীর ছেলে আব্দুল গফফার ও শাহিদুল ইসলামের বাবা জামাত আলিকে সাক্ষী রেখে ২০২২ সেপ্টেস্বর মাসের ৯ তারিখ বিকালে মিলনের বসতিবাড়ির উপর জমির জন্য ৮০ হাজার টাকা বায়না করে মিলনের পিতার হাতে টাকা তুলে দেওয়া হয়। অবশিষ্ট ২ লাখ টাকা জমি রেজিস্ট্রি করার সময় দেওয়ার কথা বলা হয়। এরপর ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে জমি রেজিস্ট্রি করতে পাংশা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দুই পক্ষ আসে। পরে মিলন জমি রেজিস্ট্রি করা আগে শাহিদুল ইসলামের কাছ থেকে বাকি ২ লাখ টাকা নেন এবং প্রসাব করার কথা বলে অফিস থেকে পালিয়ে যান। পরে খোঁজাখুজির পর মিলনকে পাওয়া গেলে জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে অনুরোধ করলে মিলন রেজিস্ট্রি করে দিতে অস্বীকার করে। এঘটনায় শাহিদুল ইসলাম উপায় না পেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। যার সি,আর ২০১/২৪,ধারা: ৪০৬/৪২০,পেনাল কোড -১৮৬০। প্রতারণার শিকার শাহিদুল ইসলাম বলেন, মিলন টাকা নিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়নি। তাকে বর্তমানে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। টাকাগুলো নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি।

এদিকে অভিযূক্ত মিলনের বক্তব্য নিতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।