Dhaka ১১:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যখন তিনি ছিলেন তোমার মতো ছোট

আকিব শিকদার
  • প্রকাশের সময় : ০৪:১৩:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১০৪৩ জন সংবাদটি পড়েছেন

‘স্কুলে গিয়ে তোমরা কী করো’? একটা ছেলে স্কুলে গিয়ে প্রায়ই তার শিক্ষকদেরকে প্রশ্নের পর প্রশ্ন করে অতিষ্ঠ করে তুলতো। যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে শিক্ষকেরা ছেলেটির মায়ের কাছে নালিশ জানালো যে, ছেলের মাথায় গন্ডগোল আছে, মানে পাগল। কিন্তু মা জানতেন এটা পাগলামো নয়। সবকিছু জানার অসীম আগ্রহ থেকেই তার ছেলে এমনটা করে। সেই ছেলেটির নাম টমাস আলভা এডিসন, বড় হয়ে যে হলো পৃথিবী বিখ্যাত বিজ্ঞানী।

এডিসন সারা জীবনে প্রায় এগারশোটিরও বেশি জিনিস আবিষ্কার করেছেন, যা আর কোন বিজ্ঞানীর পক্ষে এখন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি।

তোমার বয়স কতো? এডিসনের বয়স তখন মাত্র দশ বছর। সেই বয়সেই তার আত্মমর্যাদা ছিলো বেশ টনটনে। তিনি স্বাধীনভাবে চলতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাইলেন। বাড়ির পাশে পতিত জমিতে শুরু করলেন শাক সবজীর চাষ। বড় একটা খাঁচা কিনে তাতে পোষতে থাকলেন কয়েকটা হাঁস মুরগী। শাক-সবজী আর হাঁস-মুরগীর ডিম বেচে তিনি কিছু টাকা জমালেন, যেন এটা ওটা কেনার জন্য বাবা-মার কাছে টাকা চাইতে না হয়। তুমিও তো চাইলে এমন কিছু করতে পারো যাতে চকলেট কেনার জন্য, খেলনা কেনার জন্য কারও কাছে হাত পাততে না হয়। এডিসনের বাবা যথেষ্ট বড়লোক ছিলেন। তবু বালক এডিসন বাবার অনুমতি নিয়ে রেলগাড়িতে সংবাদপত্র বিক্রি ও খাবার বিক্রির চাকরি নিলেন। উদ্দেশ্য নিজের পায়ে দাঁড়ানো, নিজের শক্তির প্রতি আত্মবিশ্বাস তৈরি করা।

এডিসনের আরেকটি গুণ ছিলো, ধৈর্য ধরার ক্ষমতা। বৈদ্যুতিক বাল্ব আবিষ্কার করতে গিয়ে তিনি প্রায় একশোবারের মতো ব্যর্থ হয়েছিলেন। কিন্তু চেষ্টা ছেড়ে দেননি। সবশেষে তিনি সফল হয়েছিলেন বলেই আজ তোমরা ইলেকট্রনিক লাইটের নিচে বসে পড়াশোনা করতে পারো। তুমি বারবার ব্যর্থ হতে থাকলে কতবার চেষ্টা করতে? মনে রাখবে, ব্যর্থ হলে অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পায়।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

যখন তিনি ছিলেন তোমার মতো ছোট

প্রকাশের সময় : ০৪:১৩:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

‘স্কুলে গিয়ে তোমরা কী করো’? একটা ছেলে স্কুলে গিয়ে প্রায়ই তার শিক্ষকদেরকে প্রশ্নের পর প্রশ্ন করে অতিষ্ঠ করে তুলতো। যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে শিক্ষকেরা ছেলেটির মায়ের কাছে নালিশ জানালো যে, ছেলের মাথায় গন্ডগোল আছে, মানে পাগল। কিন্তু মা জানতেন এটা পাগলামো নয়। সবকিছু জানার অসীম আগ্রহ থেকেই তার ছেলে এমনটা করে। সেই ছেলেটির নাম টমাস আলভা এডিসন, বড় হয়ে যে হলো পৃথিবী বিখ্যাত বিজ্ঞানী।

এডিসন সারা জীবনে প্রায় এগারশোটিরও বেশি জিনিস আবিষ্কার করেছেন, যা আর কোন বিজ্ঞানীর পক্ষে এখন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি।

তোমার বয়স কতো? এডিসনের বয়স তখন মাত্র দশ বছর। সেই বয়সেই তার আত্মমর্যাদা ছিলো বেশ টনটনে। তিনি স্বাধীনভাবে চলতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাইলেন। বাড়ির পাশে পতিত জমিতে শুরু করলেন শাক সবজীর চাষ। বড় একটা খাঁচা কিনে তাতে পোষতে থাকলেন কয়েকটা হাঁস মুরগী। শাক-সবজী আর হাঁস-মুরগীর ডিম বেচে তিনি কিছু টাকা জমালেন, যেন এটা ওটা কেনার জন্য বাবা-মার কাছে টাকা চাইতে না হয়। তুমিও তো চাইলে এমন কিছু করতে পারো যাতে চকলেট কেনার জন্য, খেলনা কেনার জন্য কারও কাছে হাত পাততে না হয়। এডিসনের বাবা যথেষ্ট বড়লোক ছিলেন। তবু বালক এডিসন বাবার অনুমতি নিয়ে রেলগাড়িতে সংবাদপত্র বিক্রি ও খাবার বিক্রির চাকরি নিলেন। উদ্দেশ্য নিজের পায়ে দাঁড়ানো, নিজের শক্তির প্রতি আত্মবিশ্বাস তৈরি করা।

এডিসনের আরেকটি গুণ ছিলো, ধৈর্য ধরার ক্ষমতা। বৈদ্যুতিক বাল্ব আবিষ্কার করতে গিয়ে তিনি প্রায় একশোবারের মতো ব্যর্থ হয়েছিলেন। কিন্তু চেষ্টা ছেড়ে দেননি। সবশেষে তিনি সফল হয়েছিলেন বলেই আজ তোমরা ইলেকট্রনিক লাইটের নিচে বসে পড়াশোনা করতে পারো। তুমি বারবার ব্যর্থ হতে থাকলে কতবার চেষ্টা করতে? মনে রাখবে, ব্যর্থ হলে অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পায়।