Dhaka ০৯:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কিনতে গিয়ে মারধরের শিকার কৃষক

‘সারাদিন বসে থেকে কপালে জুটল মাইর’

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৪৬:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১১০৯ জন সংবাদটি পড়েছেন

 খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরের চাল কিনতে গিয়ে সারাদিন বসে থেকে চাল তো পেলেনই না। উল্টো বেদম মারধরের শিকার হয়েছেন ময়েনউদ্দিন প্রামানিক নামে এক কৃষক। গত রোববার পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চরপাড়া বাজারে। মারধরে আহত কৃষক ময়েনউদ্দিন দুদিন পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে মঙ্গলবার ছাড়পত্র পেয়েছেন। তিনি একই ইউনিয়নের কাচারিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

ময়েন উদ্দিন প্রামানিক জানান, তিনি হতদরিদ্র। পরের জমিতে কৃষিকাজ করে জীবীকা নির্বাহ করেন। গত রোববার সকাল ১০টায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরের চাল আনতে চরপাড়া বাজারের ডিলার সালাম সরদারের দোকানে যান। তিনি কার্ডও জমা দিয়েছিলেন। দুপুর ২টায় তাকে জানানো হয় আর চাল বিক্রি হবেনা। একথা শুনে তিনি একটু রেগে ওঠেন। এতে সালাম সরদার ও তার লোকজন তাকে কিল ঘুষিসহ বেদম প্রহার করে। আক্ষেপ করে বলেন, আমরা গরীব মানুষ। সারাদিন বসে থেকে চাল তো পেলামই উল্টো মাইর খেলাম। তিনি এর বিচার দাবি করেন।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার সালাম সরদার জানান, তেমন কোনো ঘটেনি। তাকে মারধর করা হয়নি। একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল তা মীমাংসা হয়েছে। ময়েনউদ্দিনকে আগে থেকে চেনেন কীনা প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ওনার সাথে আমার পরিচয় নেই। তাহলে সে আপনার বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ করবে- এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমার ২৭০টি কার্ডের চাল ছিল। আমি তাকে নিষেধ করেছিলাম কার্ড জমা দিতে। তারপরও সে কার্ড জমা দিয়েছে। চাল না পেয়ে কার্ড না নিয়ে চলে গেছে। মারধরের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ট্যাগ অফিসার ও পাংশা উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, ওই ডিলারের কাছে ২৭০টি কার্ডের চাল ছিল। দুই মাসেরটা একবারে দেওয়া হয়। আমি সেখান থেকে চলে আসার পর ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছেন। কী ঘটেছে তা তিনি জানেন না।

পাংশা উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা রেজাউল হক জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এটা নিয়ে অনেক কিছু হয়েছে। তার অফিসের পরিদর্শকরা সেখানে গিয়েছিলেন। তবে ভোক্তা তার কাছে এসে কোনো অভিযোগ দেয়নি। তিনি শুনেছেন, বিষয়য়টির নিষ্পত্তি হয়েছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কিনতে গিয়ে মারধরের শিকার কৃষক

‘সারাদিন বসে থেকে কপালে জুটল মাইর’

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৬:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩

 খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরের চাল কিনতে গিয়ে সারাদিন বসে থেকে চাল তো পেলেনই না। উল্টো বেদম মারধরের শিকার হয়েছেন ময়েনউদ্দিন প্রামানিক নামে এক কৃষক। গত রোববার পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চরপাড়া বাজারে। মারধরে আহত কৃষক ময়েনউদ্দিন দুদিন পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে মঙ্গলবার ছাড়পত্র পেয়েছেন। তিনি একই ইউনিয়নের কাচারিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

ময়েন উদ্দিন প্রামানিক জানান, তিনি হতদরিদ্র। পরের জমিতে কৃষিকাজ করে জীবীকা নির্বাহ করেন। গত রোববার সকাল ১০টায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরের চাল আনতে চরপাড়া বাজারের ডিলার সালাম সরদারের দোকানে যান। তিনি কার্ডও জমা দিয়েছিলেন। দুপুর ২টায় তাকে জানানো হয় আর চাল বিক্রি হবেনা। একথা শুনে তিনি একটু রেগে ওঠেন। এতে সালাম সরদার ও তার লোকজন তাকে কিল ঘুষিসহ বেদম প্রহার করে। আক্ষেপ করে বলেন, আমরা গরীব মানুষ। সারাদিন বসে থেকে চাল তো পেলামই উল্টো মাইর খেলাম। তিনি এর বিচার দাবি করেন।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার সালাম সরদার জানান, তেমন কোনো ঘটেনি। তাকে মারধর করা হয়নি। একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল তা মীমাংসা হয়েছে। ময়েনউদ্দিনকে আগে থেকে চেনেন কীনা প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ওনার সাথে আমার পরিচয় নেই। তাহলে সে আপনার বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ করবে- এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমার ২৭০টি কার্ডের চাল ছিল। আমি তাকে নিষেধ করেছিলাম কার্ড জমা দিতে। তারপরও সে কার্ড জমা দিয়েছে। চাল না পেয়ে কার্ড না নিয়ে চলে গেছে। মারধরের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ট্যাগ অফিসার ও পাংশা উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, ওই ডিলারের কাছে ২৭০টি কার্ডের চাল ছিল। দুই মাসেরটা একবারে দেওয়া হয়। আমি সেখান থেকে চলে আসার পর ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছেন। কী ঘটেছে তা তিনি জানেন না।

পাংশা উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা রেজাউল হক জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এটা নিয়ে অনেক কিছু হয়েছে। তার অফিসের পরিদর্শকরা সেখানে গিয়েছিলেন। তবে ভোক্তা তার কাছে এসে কোনো অভিযোগ দেয়নি। তিনি শুনেছেন, বিষয়য়টির নিষ্পত্তি হয়েছে।