Dhaka ০৯:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রাজবাড়ী জেলা পুলিশের প্রেস ব্রিফিং

টাকা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে হত্যা করা হয় প্রবাসীর স্ত্রী রুনাকে

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৩৩:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১১০৮ জন সংবাদটি পড়েছেন

নগদ ও বিকাশে থাকা টাকা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে প্রবাসীর স্ত্রী রুনা খাতুনকে শ^াসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলো পাংশা উপজেলার খামারডাঙ্গী মুচিদাহ গ্রামের খলিল শেখের ছেলে মিলন শেখ, আলম হোসেনের ছেলে তেছেম সরদার ও কাজেম জোয়াদ্দারের ছেলে রিয়াজ জোয়াদ্দার। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আলামত ও ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার জিএম আবুল কালাম আজাদ। রুনা খাতুন পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের মুছিদাহ খামারডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা কাতার প্রবাসী আনিসুর রহমানের স্ত্রী।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, রুনা খাতুনের স্বামী বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠায়, এ বিষয়টি প্রতিবেশি মিলন জানতো। বিকাশ করা মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে রুনা খাতুনকে হত্যা করা হয়। গত শনিবার রাত দেড়টার দিকে ঘটনার মূল হোতা মিলন শেখ রুনা খাতুনকে ফোন করে জানায় তার স্ত্রীর পেশার বেড়েছে। পেশার মাপার মেশিনটা দরকার। রুনা খাতুন তাকে পেশার মাপার মেশিন নিয়ে যেতে বলেন। মিলন রুনা খাতুনের বাড়িতে এলে জানালা খুলে মেশিনটা দেন। কিছুক্ষণ পর মিলন ফিরে এসে জানায় সে পেশার মাপতে পারছে না। এজন্য তাকে যেতে বলে। রুনা খাতুন বাইরে আসার সাথে সাথেই তিনজন তাকে চেপে ধরে। পরে তাকে হত্যা করে মোবাইলটি ছিনিয়ে নেয়। হত্যায় অংশ নেওয়াদের মধ্যে দুজন কিশোর বয়সী। এখানে কার কী ভ‚মিকা তা জানা গেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিকভাবে তাদের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। একই সাথে ছিনতাই করা মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করা হয়েছে।

 প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. রেজাউল করিম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা, ডিআইও-১ বিপ্লব দত্ত চৌধুরী, পাংশা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) ইফতেখারুল আলম প্রধান।

প্রসঙ্গত, গত রোববার ভোরে পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের মুছিদাহ খামারডাঙ্গী থেকে কাতার প্রবাসী আনিসুর রহমানের স্ত্রী রুনা খাতুনের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রুনা খাতুনের বড় ভাই মোহম্মদ রায়হান বাদী হয়ে পাংশা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাজবাড়ী জেলা পুলিশের প্রেস ব্রিফিং

টাকা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে হত্যা করা হয় প্রবাসীর স্ত্রী রুনাকে

প্রকাশের সময় : ০৯:৩৩:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অগাস্ট ২০২৩

নগদ ও বিকাশে থাকা টাকা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে প্রবাসীর স্ত্রী রুনা খাতুনকে শ^াসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলো পাংশা উপজেলার খামারডাঙ্গী মুচিদাহ গ্রামের খলিল শেখের ছেলে মিলন শেখ, আলম হোসেনের ছেলে তেছেম সরদার ও কাজেম জোয়াদ্দারের ছেলে রিয়াজ জোয়াদ্দার। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আলামত ও ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার জিএম আবুল কালাম আজাদ। রুনা খাতুন পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের মুছিদাহ খামারডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা কাতার প্রবাসী আনিসুর রহমানের স্ত্রী।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, রুনা খাতুনের স্বামী বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠায়, এ বিষয়টি প্রতিবেশি মিলন জানতো। বিকাশ করা মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে রুনা খাতুনকে হত্যা করা হয়। গত শনিবার রাত দেড়টার দিকে ঘটনার মূল হোতা মিলন শেখ রুনা খাতুনকে ফোন করে জানায় তার স্ত্রীর পেশার বেড়েছে। পেশার মাপার মেশিনটা দরকার। রুনা খাতুন তাকে পেশার মাপার মেশিন নিয়ে যেতে বলেন। মিলন রুনা খাতুনের বাড়িতে এলে জানালা খুলে মেশিনটা দেন। কিছুক্ষণ পর মিলন ফিরে এসে জানায় সে পেশার মাপতে পারছে না। এজন্য তাকে যেতে বলে। রুনা খাতুন বাইরে আসার সাথে সাথেই তিনজন তাকে চেপে ধরে। পরে তাকে হত্যা করে মোবাইলটি ছিনিয়ে নেয়। হত্যায় অংশ নেওয়াদের মধ্যে দুজন কিশোর বয়সী। এখানে কার কী ভ‚মিকা তা জানা গেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিকভাবে তাদের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। একই সাথে ছিনতাই করা মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করা হয়েছে।

 প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. রেজাউল করিম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা, ডিআইও-১ বিপ্লব দত্ত চৌধুরী, পাংশা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) ইফতেখারুল আলম প্রধান।

প্রসঙ্গত, গত রোববার ভোরে পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের মুছিদাহ খামারডাঙ্গী থেকে কাতার প্রবাসী আনিসুর রহমানের স্ত্রী রুনা খাতুনের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রুনা খাতুনের বড় ভাই মোহম্মদ রায়হান বাদী হয়ে পাংশা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।