Dhaka ০২:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুত্রবধূকে বিয়ে নিয়ে কলহ \ অবশেষে আত্মহত্যা

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৯:২০:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ১১৬৭ জন সংবাদটি পড়েছেন

পুত্রবধূকে বিয়ে করেছিলেন হামিদুল ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যক্তি। বিষয়টি নিয়ে পারিবারিক কলহ শুরু হলে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। শুক্রবার রাতে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের পুইজোর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহতের পরিবার, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও পাংশা থানা।

নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, দুই বছর আগে হামিদুল ইসলাম তার ছেলে নয়ন ইসলামকে বিয়ে দেন। তাদের সংসারে আট মাস বয়সী একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। সম্প্রতি হামিদুল ইসলামের সাথে পুত্রবধূ জাহানারার অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি নিয়ে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। এক সপ্তাহ আগে জাহানারা আক্তার স্বামী নয়নকে আদালতের মাধ্যমে তালাক দিয়ে শ^শুর হামিদুলকে বিয়ে করেন। কিন্তু এ তালাক ও বিয়ের বিষয়টি গোপন ছিল। চার দিন আগে এ খবরটি পারিবারিকভাবে জানাজানি হওয়ার পর কলহ আরও প্রকট আকার ধারণ করে। শুক্রবার রাতে এলাকার কিছু লোক ওই বাড়িতে গিয়ে হামিদুলের কাছে এ বিষয়ে জানতে চায়। এরপর তিনি নিজ ঘরে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। জাহানারা তাকে ঝুলতে দেখে সেও আত্মহত্যার চেষ্টা চালালে পরবারের লোকজন গিয়ে উদ্ধার করে।

জাহানারা আক্তার জানান, চার পাঁচ দিন আগে তারা বিয়ে করেছিলেন। তার আগের দিন নয়নকে ডিভোর্স দেন। কিন্তু কেউ জানতোনা। শুক্রবার রাতে এলাকার লোকজন এসেছিল তাদের বাড়িতে। তারা চলে যাওয়ার পর শ^শুর (স্বামী) হামিদুল গলায় ফাঁস নিয়ে ্আত্মহত্যা করেন। তিনি তাকে ঝুলতে দেখে লাশ নামান। অনুশোচনায় তিনিও আত্মহত্যার চেষ্টা চালান।

নিহতের স্ত্রী রাজিয়া বেগম জানান, তার স্বামী হামিদুল পুত্রবধূকে বিয়ে করেছে এটা তারা জানতেন না। দুদিন আগে জেনেছেন। এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হলে গণ্যমান্য কয়েকজন তাদের বাড়িতে এসেছিল। তারা চলে যাওয়ার পর স্বামী হয়তো চিন্তা করেছেন একটি অন্যায় করে ফেলেছেন। একারণে হয়তো সে আত্মহত্যা করেছে।

নিহতের ছেলে নয়ন ইসলাম জানান, তার স্ত্রী জাহানারা তাকে ডিভোর্স দিয়েছে। গত ২০ ফেব্রæয়ারি তারিখে ডিভোর্সের কাগজ হাতে পান। এটি নিয়ে তার স্ত্রী ও বাবার সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছিল।

পাট্টা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব মুনা জানান, হামিদুল ইসলামের সাথে তার পুত্রবধূর অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। পরে তারা বিয়ে করে। যেটি করেছেন তা শরীয়ত মোতাবেক নয়।

পাংশা থানার ওসি মাসুদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ শুক্রবার রাতেই নিহতের লাশ উদ্ধার করে। শনিবার ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে একটি ইউডি মামলা হয়েছে। নিহত হামিদুল তার পুত্রবধূকে বিয়ে করেছিলো। এটি নিয়ে পারিবারিক কলহের জের ধরে সে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

পুত্রবধূকে বিয়ে নিয়ে কলহ \ অবশেষে আত্মহত্যা

প্রকাশের সময় : ০৯:২০:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

পুত্রবধূকে বিয়ে করেছিলেন হামিদুল ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যক্তি। বিষয়টি নিয়ে পারিবারিক কলহ শুরু হলে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। শুক্রবার রাতে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের পুইজোর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহতের পরিবার, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও পাংশা থানা।

নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, দুই বছর আগে হামিদুল ইসলাম তার ছেলে নয়ন ইসলামকে বিয়ে দেন। তাদের সংসারে আট মাস বয়সী একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। সম্প্রতি হামিদুল ইসলামের সাথে পুত্রবধূ জাহানারার অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি নিয়ে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। এক সপ্তাহ আগে জাহানারা আক্তার স্বামী নয়নকে আদালতের মাধ্যমে তালাক দিয়ে শ^শুর হামিদুলকে বিয়ে করেন। কিন্তু এ তালাক ও বিয়ের বিষয়টি গোপন ছিল। চার দিন আগে এ খবরটি পারিবারিকভাবে জানাজানি হওয়ার পর কলহ আরও প্রকট আকার ধারণ করে। শুক্রবার রাতে এলাকার কিছু লোক ওই বাড়িতে গিয়ে হামিদুলের কাছে এ বিষয়ে জানতে চায়। এরপর তিনি নিজ ঘরে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। জাহানারা তাকে ঝুলতে দেখে সেও আত্মহত্যার চেষ্টা চালালে পরবারের লোকজন গিয়ে উদ্ধার করে।

জাহানারা আক্তার জানান, চার পাঁচ দিন আগে তারা বিয়ে করেছিলেন। তার আগের দিন নয়নকে ডিভোর্স দেন। কিন্তু কেউ জানতোনা। শুক্রবার রাতে এলাকার লোকজন এসেছিল তাদের বাড়িতে। তারা চলে যাওয়ার পর শ^শুর (স্বামী) হামিদুল গলায় ফাঁস নিয়ে ্আত্মহত্যা করেন। তিনি তাকে ঝুলতে দেখে লাশ নামান। অনুশোচনায় তিনিও আত্মহত্যার চেষ্টা চালান।

নিহতের স্ত্রী রাজিয়া বেগম জানান, তার স্বামী হামিদুল পুত্রবধূকে বিয়ে করেছে এটা তারা জানতেন না। দুদিন আগে জেনেছেন। এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হলে গণ্যমান্য কয়েকজন তাদের বাড়িতে এসেছিল। তারা চলে যাওয়ার পর স্বামী হয়তো চিন্তা করেছেন একটি অন্যায় করে ফেলেছেন। একারণে হয়তো সে আত্মহত্যা করেছে।

নিহতের ছেলে নয়ন ইসলাম জানান, তার স্ত্রী জাহানারা তাকে ডিভোর্স দিয়েছে। গত ২০ ফেব্রæয়ারি তারিখে ডিভোর্সের কাগজ হাতে পান। এটি নিয়ে তার স্ত্রী ও বাবার সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছিল।

পাট্টা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব মুনা জানান, হামিদুল ইসলামের সাথে তার পুত্রবধূর অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। পরে তারা বিয়ে করে। যেটি করেছেন তা শরীয়ত মোতাবেক নয়।

পাংশা থানার ওসি মাসুদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ শুক্রবার রাতেই নিহতের লাশ উদ্ধার করে। শনিবার ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে একটি ইউডি মামলা হয়েছে। নিহত হামিদুল তার পুত্রবধূকে বিয়ে করেছিলো। এটি নিয়ে পারিবারিক কলহের জের ধরে সে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।