Dhaka ০৬:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অংকুর স্কুলের আলমারিতে মিলল তক্ষক

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ১২:১৮:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২
  • / ১১৬৮ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন   রাজবাড়ী শহরের অংকুর স্কুল এন্ড কলেজের অফিস কক্ষ থেকে বিরল প্রজাতির একটি তক্ষক উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সেটি উন্মুক্ত স্থানে অবমুক্ত করে দেওয়া হয়।

প্রায় এক ফুট লম্বা তক্ষকটির শরীর ধূসর রঙের উপরে ছোট ছোট বিন্দুতে আবৃত। এটির লেজ লম্বা।

রাজবাড়ী অংকুর স্কুল এন্ড কলেজ সূত্র জানায়, স্কুলের অফিস কক্ষে তাদের আয়া আলমিরা পরিষ্কার করছিলেন। এসময় তক্ষকটি দেখে ভয় পেয়ে প্রধান শিক্ষক নাইয়ার সুলতানার কাছে ছুটে এসে বলেন, অনেক বড় একটি টিকটিকি। তিনি শিক্ষকদের ডেকে বিষয়টি দেখতে বলেন। কয়েকজন শিক্ষক সেখানে গিয়ে তক্ষকটি দেখে তার ছবি তুলে আনেন। পরে সেটি কৌশলে একটি পলিথিনে ঢুকিয়ে রাখা হয়। পরে স্কুলের অফিস প্রধান কল্লোল  আহমেদকে দিয়ে প্রাণী সম্পদ অফিসে পাঠানো হয়।

রাজবাড়ী সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. খায়ের উদ্দিন আহমেদ জানান, রাজবাড়ী অংকুর স্কুল এন্ড কলেজের অফিস প্রধান কল্লোল আহমেদ একটি তক্ষক প্রাণি সম্পদ অফিসে নিয়ে  আসেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি বন কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছেন। তাদের পরামর্শে তক্ষকটি প্রাণী সম্পদের অফিসে ও পেছনে জঙ্গলে অবমুক্ত করা হয়। তক্ষক বিরল প্রজাতির প্রাণী। এ ধরণের প্রাণী অনেক মূল্যবান। তবে, এ ধরণের প্রাণীকে তাদের মত করেই বাঁচতে দেওয়া উচিৎ। এটি একেবারেই নির্বিষ প্রাণী। খাবার হিসেবে এরা বিভিন্ন  পতঙ্গ, মশা, মাছি ইত্যাদি খেয়ে থাকে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

অংকুর স্কুলের আলমারিতে মিলল তক্ষক

প্রকাশের সময় : ১২:১৮:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২

জনতার আদালত অনলাইন   রাজবাড়ী শহরের অংকুর স্কুল এন্ড কলেজের অফিস কক্ষ থেকে বিরল প্রজাতির একটি তক্ষক উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সেটি উন্মুক্ত স্থানে অবমুক্ত করে দেওয়া হয়।

প্রায় এক ফুট লম্বা তক্ষকটির শরীর ধূসর রঙের উপরে ছোট ছোট বিন্দুতে আবৃত। এটির লেজ লম্বা।

রাজবাড়ী অংকুর স্কুল এন্ড কলেজ সূত্র জানায়, স্কুলের অফিস কক্ষে তাদের আয়া আলমিরা পরিষ্কার করছিলেন। এসময় তক্ষকটি দেখে ভয় পেয়ে প্রধান শিক্ষক নাইয়ার সুলতানার কাছে ছুটে এসে বলেন, অনেক বড় একটি টিকটিকি। তিনি শিক্ষকদের ডেকে বিষয়টি দেখতে বলেন। কয়েকজন শিক্ষক সেখানে গিয়ে তক্ষকটি দেখে তার ছবি তুলে আনেন। পরে সেটি কৌশলে একটি পলিথিনে ঢুকিয়ে রাখা হয়। পরে স্কুলের অফিস প্রধান কল্লোল  আহমেদকে দিয়ে প্রাণী সম্পদ অফিসে পাঠানো হয়।

রাজবাড়ী সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. খায়ের উদ্দিন আহমেদ জানান, রাজবাড়ী অংকুর স্কুল এন্ড কলেজের অফিস প্রধান কল্লোল আহমেদ একটি তক্ষক প্রাণি সম্পদ অফিসে নিয়ে  আসেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি বন কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছেন। তাদের পরামর্শে তক্ষকটি প্রাণী সম্পদের অফিসে ও পেছনে জঙ্গলে অবমুক্ত করা হয়। তক্ষক বিরল প্রজাতির প্রাণী। এ ধরণের প্রাণী অনেক মূল্যবান। তবে, এ ধরণের প্রাণীকে তাদের মত করেই বাঁচতে দেওয়া উচিৎ। এটি একেবারেই নির্বিষ প্রাণী। খাবার হিসেবে এরা বিভিন্ন  পতঙ্গ, মশা, মাছি ইত্যাদি খেয়ে থাকে।