ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে সুষ্ঠুভাবে যাত্রী পারাপারের লক্ষ্যে সমন্বয় সভা
- প্রকাশের সময় : ০৮:৪৩:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২
- / ১১৪৬ জন সংবাদটি পড়েছেন
জনতার আদালত অনলাইন ॥ আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ঘরমুখি মানুষের যাত্রা নির্বিঘœ করার লক্ষ্যে সোমবার সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজবাড়ীতে। সভায় বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ আশ^াস দিয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ঈদযাত্রায় কোনো ভোগান্তি হবেনা। বাস মালিকরা অভিযোগ করেছেন ফেরির ট্রিপ কমাতে ইচ্ছাকৃতভাবে ধীরে চালানো হয়।
যাত্রীবাহী বাস পারাপারে যাতে ভোগান্তি না হয় এজন্য সভায় ঈদের তিনদিন আগে ও তিনদিন পরে ট্রাক পারাপার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে পচনশীল দ্রব্যবাহী ট্রাককে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে দৌলতদিয়া ঘাটে।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, রাজবাড়রি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সালাউদ্দিন, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিজুল হক খান, গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম, এনএসআই রাজবাড়ী অফিসের উপপরিচালক শরিফুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান, বিআইডাব্লিউটিএ এর পোর্ট অফিসার শাহ আলম মিঞা, রাজবাড়ী বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হাসান প্রমুখ।
রাজবাড়ী বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হাসান অভিযোগ করেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি ইচ্ছাকৃতভাবে ধীরে চালানো হয়। তেল বেশি ফুরাবে এজন্য ফেরির গতি কমিয়ে চালানো হয়। যানবাহন চালকরা তাদের কাছে এমনই অভিযোগ সব সময় করে বলে জানান তিনি। ফেরি জোরে চললে ট্রিপ সংখ্যা বাড়বে। মানুষের ভোগান্তিও কমবে। একটু গতিতে ফেরিগুলো চালালে ১০ মিনিট আগে ঘাটে আসে। এভাবে ২০টি ফেরি যদি ১০ মিনিট করে সময় বাঁচায় তাহলে ফেরি ট্রিপ সংখ্যা বাড়ে।
বিআইডব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ১৯টি ফেরি চলছে। ঈদের আগে আরো দুটি ফেরি যুক্ত হবে। মোট ২১ ফেরি চলবে ঈদের সময়। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ভোগান্তি থাকবে না।
সভায় উপস্থিত অনেকেই বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে ভোগান্তি রয়েছে ফেরি পারাপারে । যানবাহনের ফেরি পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় ঘাটে । এই অবস্থা চলতে থাকলে দুর্ভোগ কয়েকগুণ বাড়তে পারে ঈদের সময়।