Dhaka ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খামারীদের কাছ থেকে মোবাইল সীম সংগ্রহ করে করোনাকালীন প্রণোদনার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৩১:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অক্টোবর ২০২১
  • / ১২৩০ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে পশু খামারীদের কাছ থেকে কৌশলে মোবাইল সীম সংগ্রহ করে করোনাকালীন প্রণোদনার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে জামালপুর ইউনিয়ন লাইভস্টক সার্ভিস প্রোভাইডার (এলএসপি) মাসুদ আহমেদের বিরুদ্ধে। তিনি একই উপজেলার বাধুলি খালকুলা গ্রামের বাসিন্দা। ভুক্তভোগীরা সম্প্রতি এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত খামারীদের সরকার প্রাণিসম্পদ অফিসের মাধ্যমে আর্থিক প্রণোদনা দেয়। বিষয়টি তাদের জানা ছিলনা। জামালপুর ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত এলএসপি মাসুদ ওই ইউনিয়ন এলাকার অন্ততঃ ৩০ জন খামারীর কাছ থেকে মোবাইল সীম সংগ্রহ করে টাকা তুলে নিয়েছে। নানা কৌশলে মাসুদ তাদের কাছ থেকে সীম সংগ্রহ করে। কাউকে বলেছে সীম দিলেই প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে টাকা দেবে, আবার বিকাশে একজন তাকে টাকা পাঠাবে বলে সীম সংগ্রহ করেছে।

বাধুলি খালকুলা এলাকার বাসিন্দা অহিদ শেখ জানান, মাসুদ তার কাছে এসে মোবাইল নাম্বারটি বিকাশ করা কীনা জানতে চায়। তিনি হ্যাঁ সূচক জবাব দিলে মাসুদ বলে, তাকে (মাসুদ) একজন বিকাশে টাকা পাঠাবে এজন্য সীমটি প্রয়োজন। টাকা তুলে সীমটি ফেরত দিয়ে যাবেন। তিনি সরল বিশ^াসে সীমটি দেন। কিন্তু সীমটি আর ফেরত দেয়নি। কয়েকদিন পার হওয়ার পরও না দেওয়ায় তিনি সংশ্লিষ্ট মোবাইল কোম্পানীর অফিসে গিয়ে সীমটি তুলে চালু করেন। এরপর মেসেজে দেখেন ২২ হাজার টাকা তার নামে এসেছিল। ওই টাকা চাইতে গেলে সে মামলা করার হুমকি দেয়।

একই এলাকার জসীম শেখ জানান, মাসুদ তার একটি সীম নিয়েছিল গরুর খামারীদের টাকা দেবে বলে। কিন্তু সীমটি আর ফেরত দেয়নি। সীম চাইলে বলে হারিয়ে গেছে। পরে সাংবাদিকের কাছে জানানো হবে বললে সীমটি ফেরত দেয়।

শহিদুল শেখ জানান, তার সীমটিও নিয়েছিল। তবে জানাজানি হওয়ার পর আমাকে কিছু টাকা দিয়ে হাত ধরে ক্ষমা চায়।

বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আম্বিয়া সুলতানা বলেন, এব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ পাওয়ার পরই বিষয়টি তদন্তের জন্য প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তদন্ত রিপোর্ট হাতে এসে পৌছায়নি।

এব্যাপারে বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ভেটেরনারী সার্জন মো. শাহীনুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত একটি  অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টির তদন্ত এখনও চলছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা সময়  চেয়েছিলেন একারণে সময়সীমা বর্ধিত করা হয়েছে।

অভিযুক্ত মাসুদ আহমেদের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে কল করে তিনি মাসুদ কীনা জানতে চাইলে অস্বীকার করেন। তবে তার বাড়ি বাধুলি খালকুলা বলে জানান। নাম জানতে চাইলে তা জানাতে অস্বীকৃতি জানান।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিিিডপি) আওতায় মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য এলএসপি নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

খামারীদের কাছ থেকে মোবাইল সীম সংগ্রহ করে করোনাকালীন প্রণোদনার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০৫:৩১:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অক্টোবর ২০২১

জনতার আদালত অনলাইন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে পশু খামারীদের কাছ থেকে কৌশলে মোবাইল সীম সংগ্রহ করে করোনাকালীন প্রণোদনার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে জামালপুর ইউনিয়ন লাইভস্টক সার্ভিস প্রোভাইডার (এলএসপি) মাসুদ আহমেদের বিরুদ্ধে। তিনি একই উপজেলার বাধুলি খালকুলা গ্রামের বাসিন্দা। ভুক্তভোগীরা সম্প্রতি এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত খামারীদের সরকার প্রাণিসম্পদ অফিসের মাধ্যমে আর্থিক প্রণোদনা দেয়। বিষয়টি তাদের জানা ছিলনা। জামালপুর ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত এলএসপি মাসুদ ওই ইউনিয়ন এলাকার অন্ততঃ ৩০ জন খামারীর কাছ থেকে মোবাইল সীম সংগ্রহ করে টাকা তুলে নিয়েছে। নানা কৌশলে মাসুদ তাদের কাছ থেকে সীম সংগ্রহ করে। কাউকে বলেছে সীম দিলেই প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে টাকা দেবে, আবার বিকাশে একজন তাকে টাকা পাঠাবে বলে সীম সংগ্রহ করেছে।

বাধুলি খালকুলা এলাকার বাসিন্দা অহিদ শেখ জানান, মাসুদ তার কাছে এসে মোবাইল নাম্বারটি বিকাশ করা কীনা জানতে চায়। তিনি হ্যাঁ সূচক জবাব দিলে মাসুদ বলে, তাকে (মাসুদ) একজন বিকাশে টাকা পাঠাবে এজন্য সীমটি প্রয়োজন। টাকা তুলে সীমটি ফেরত দিয়ে যাবেন। তিনি সরল বিশ^াসে সীমটি দেন। কিন্তু সীমটি আর ফেরত দেয়নি। কয়েকদিন পার হওয়ার পরও না দেওয়ায় তিনি সংশ্লিষ্ট মোবাইল কোম্পানীর অফিসে গিয়ে সীমটি তুলে চালু করেন। এরপর মেসেজে দেখেন ২২ হাজার টাকা তার নামে এসেছিল। ওই টাকা চাইতে গেলে সে মামলা করার হুমকি দেয়।

একই এলাকার জসীম শেখ জানান, মাসুদ তার একটি সীম নিয়েছিল গরুর খামারীদের টাকা দেবে বলে। কিন্তু সীমটি আর ফেরত দেয়নি। সীম চাইলে বলে হারিয়ে গেছে। পরে সাংবাদিকের কাছে জানানো হবে বললে সীমটি ফেরত দেয়।

শহিদুল শেখ জানান, তার সীমটিও নিয়েছিল। তবে জানাজানি হওয়ার পর আমাকে কিছু টাকা দিয়ে হাত ধরে ক্ষমা চায়।

বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আম্বিয়া সুলতানা বলেন, এব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ পাওয়ার পরই বিষয়টি তদন্তের জন্য প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তদন্ত রিপোর্ট হাতে এসে পৌছায়নি।

এব্যাপারে বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ভেটেরনারী সার্জন মো. শাহীনুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত একটি  অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টির তদন্ত এখনও চলছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা সময়  চেয়েছিলেন একারণে সময়সীমা বর্ধিত করা হয়েছে।

অভিযুক্ত মাসুদ আহমেদের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে কল করে তিনি মাসুদ কীনা জানতে চাইলে অস্বীকার করেন। তবে তার বাড়ি বাধুলি খালকুলা বলে জানান। নাম জানতে চাইলে তা জানাতে অস্বীকৃতি জানান।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিিিডপি) আওতায় মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য এলএসপি নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।