Dhaka ১১:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে পানি বৃদ্ধির সাথে বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগ

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৮:২৪:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অগাস্ট ২০২১
  • / ১৩২৪ জন সংবাদটি পড়েছেন

পীযুষ কুমার বিশ্বাস ॥ রাজবাড়ীতে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগও। জেলার চারটি উপজেলায় পদ্মা নদী তীরবর্তী নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। জেলার অপর উপজেলা বালিয়াকান্দিতে গড়াই নদীর পানির বৃদ্ধি পেয়ে দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ দুটি গ্রামের ৩৫টি পরিবারের বসতঘরে এখন বন্যার পানি। যারা পরিবারের শিশু বৃদ্ধ, গবাদি পশু ও হাঁস মুরগী নিয়ে পড়েছে চরম বিপাকে। জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলার পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা প্রায় ২৩ হাজার।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার সেনগ্রাম পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ৭৮ সে.মি, সদর উপজেলার মহেন্দ্রপুর পয়েন্টে পাঁচ সে.মি এবং গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পয়েন্টে ৫১ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত  হচ্ছে।

রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর, খানগঞ্জ, বরাট, কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া, কালিকাপুর, পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে ঢুকে পড়েছে বন্যার পানি।

কালুখালী উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের সিকদার পাড়ার বাসিন্দা শুকুর আলী জানান, তাদের বসতঘরে বন্যার পানি উঠেছে। খুবই সমস্যায় আছেন। রাস্তা ঘাট ডুবে যাওয়ায় চলাফেরা অসুবিধা হচ্ছে। হাট বাজারেও যেতে পারছেন না। চলাচলের নৌকার সংখ্যাও খুব কম। প্রয়োজনের সময় নৌকা পাওয়া যায় না। গোয়ালঘরে পানি উঠে যাওয়ায় গবাদিপশু নিয়েও পড়েছেন বিপাকে। গো-খাদ্যেরও সংকট দেখা দিয়েছে।

পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের মালেকা বেগম জানান, এবারের বন্যায় তাদের দুর্দশার শেষ নাই। বাড়ির পুরুষ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। ঘরে খাবার নেই। খুবই সমস্যায় আছেন তারা। কালাম হোসেন জানান, সবেমাত্র রোপণ করা ধানক্ষেত, শস্যচারা, বীজতলা সব বন্যায় শেষ হয়ে গেছে। চরের কৃষকদের মাথায় হাত।

রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাহাবুর রহমান শেখ বলেন, জেলায় ছয় হাজার পরিবার এবং ২৩ হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। আমাদের হাতে যথেষ্ঠ  পরিমাণ ত্রাণ আছে। তবে বিতরণ কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি। এছাড়া কভিডের কারণে প্রত্যেক উপজেলায়  ত্রাণ মজুদ রয়েছে। কেউ যদি খাদ্য সংকটে ভোগে এমন তথ্য পেলে তাকে তাৎক্ষণিক সহায়তা করা হবে। পানিবন্দী মানুষের তালিকা করার প্রস্তুতি চলছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাজবাড়ীতে পানি বৃদ্ধির সাথে বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগ

প্রকাশের সময় : ০৮:২৪:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অগাস্ট ২০২১

পীযুষ কুমার বিশ্বাস ॥ রাজবাড়ীতে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগও। জেলার চারটি উপজেলায় পদ্মা নদী তীরবর্তী নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। জেলার অপর উপজেলা বালিয়াকান্দিতে গড়াই নদীর পানির বৃদ্ধি পেয়ে দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ দুটি গ্রামের ৩৫টি পরিবারের বসতঘরে এখন বন্যার পানি। যারা পরিবারের শিশু বৃদ্ধ, গবাদি পশু ও হাঁস মুরগী নিয়ে পড়েছে চরম বিপাকে। জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলার পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা প্রায় ২৩ হাজার।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার সেনগ্রাম পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ৭৮ সে.মি, সদর উপজেলার মহেন্দ্রপুর পয়েন্টে পাঁচ সে.মি এবং গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পয়েন্টে ৫১ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত  হচ্ছে।

রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর, খানগঞ্জ, বরাট, কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া, কালিকাপুর, পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে ঢুকে পড়েছে বন্যার পানি।

কালুখালী উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের সিকদার পাড়ার বাসিন্দা শুকুর আলী জানান, তাদের বসতঘরে বন্যার পানি উঠেছে। খুবই সমস্যায় আছেন। রাস্তা ঘাট ডুবে যাওয়ায় চলাফেরা অসুবিধা হচ্ছে। হাট বাজারেও যেতে পারছেন না। চলাচলের নৌকার সংখ্যাও খুব কম। প্রয়োজনের সময় নৌকা পাওয়া যায় না। গোয়ালঘরে পানি উঠে যাওয়ায় গবাদিপশু নিয়েও পড়েছেন বিপাকে। গো-খাদ্যেরও সংকট দেখা দিয়েছে।

পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের মালেকা বেগম জানান, এবারের বন্যায় তাদের দুর্দশার শেষ নাই। বাড়ির পুরুষ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। ঘরে খাবার নেই। খুবই সমস্যায় আছেন তারা। কালাম হোসেন জানান, সবেমাত্র রোপণ করা ধানক্ষেত, শস্যচারা, বীজতলা সব বন্যায় শেষ হয়ে গেছে। চরের কৃষকদের মাথায় হাত।

রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাহাবুর রহমান শেখ বলেন, জেলায় ছয় হাজার পরিবার এবং ২৩ হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। আমাদের হাতে যথেষ্ঠ  পরিমাণ ত্রাণ আছে। তবে বিতরণ কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি। এছাড়া কভিডের কারণে প্রত্যেক উপজেলায়  ত্রাণ মজুদ রয়েছে। কেউ যদি খাদ্য সংকটে ভোগে এমন তথ্য পেলে তাকে তাৎক্ষণিক সহায়তা করা হবে। পানিবন্দী মানুষের তালিকা করার প্রস্তুতি চলছে।