Dhaka ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যৌনকর্মীকে বর্বর নির্যাতনের অভিযোগ

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:০৬:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১
  • / 631

জনতার আদালত অনলাইন ॥ গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লির বাসিন্দা এক যৌনকর্মীকে বর্বরোচিত নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে যৌনকর্মীদের সংগঠন ‘অসহায় নারী ঐক্য কল্যাণ সমিতির সভাপতি সভানেত্রী ঝুমুর বেগমের বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় তিনি গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।

এ ঘটনায় ‘অসহায় নারী ঐক্য কল্যাণ সমিতির সভাপতি ঝুমুর বেগম, লিলি বাড়ীওয়ালী, আলেয়া বাড়ীওয়ালী, দুলালী ও পারভিনসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে সোমবার দিনগত রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আহত রেহেনা বেগম।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যৌনকর্মী জানান, রবিবার দিনগত রাত ১১ টার দিকে তাকে তার ঘর থেকে তুলে নিয়ে যায় ঝুমুর বেগমের লোকজন। তারা তাকে অসহায় নারী ঐক্য কল্যাণ সমিতির কক্ষে আটকে উলঙ্গ করে লাঠি দিয়ে বেধরক মারপিট করে। এতে তিনি রক্তাক্ত হয়ে গেলে জখমের স্থানসহ তার গোপনাঙ্গে শুকনো মরিচের গুড়ো ছিটিয়ে দেয়। শুধু তাই নয় আমার উপর নির্মম নির্যাতন ও আর্ত চিৎকারের পুরো দৃশ্য ঝুমুর তার মোবাইলে ভিডিও ধারন করে রাখে। বেশ কয়েক ঘন্টা পর তারা আমাকে ছেড়ে দিয়ে এক প্রকার গৃহবন্দী করে রাখে। সোমবার প্রায় সারাদিন ঘরে বন্দী থেকে সন্ধ্যার পর সুযোগ বুঝে পালিয়ে থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দেই। পরে মঙ্গলবার দুপুরে  হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।

কি করণে হাতে নির্যাতন করা হয়েছে প্রশ্ন করলে আহত রেহেনা জানান, নেত্রী ঝুমুর বেগমের স্বামী আব্দুল জলিল ফকির দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার। ঝুমর বেগমের সন্দেহ তার স্বামীর সাথে আমার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। এ কারণে ঝুমুর বেগমকে আমি তাবিজ-কবজ করেছি বলে সন্দেহ করে তারা আমাকে এভাবে নির্যাতন করে।

হাসপাতালের ইনডোরে কর্তব্যরত সিনিয়র নার্স মুক্তা সরকার বলেন, আহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম রয়েছে। চিকিৎসকের নির্দেশনা মতো তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।

তবে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে ঝুমুর বেগম বলেন, ওই যৌনকর্মী একই সাথে ঢাকার সাভারের এক লোক ও স্থানীয় আরেকজন লোকের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে। এ নিয়ে স্থানীয় লোকের সাথে প্রায়ই তার ঝামেলা হয়। সোমবার রাতেও তাদের মধ্যে মারামারি হয়। এতে সে কিছুটা আহত হয়ে থাকতে পারে।

এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, রেহেনা বেগমের দেয়া লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

যৌনকর্মীকে বর্বর নির্যাতনের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০৭:০৬:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১

জনতার আদালত অনলাইন ॥ গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লির বাসিন্দা এক যৌনকর্মীকে বর্বরোচিত নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে যৌনকর্মীদের সংগঠন ‘অসহায় নারী ঐক্য কল্যাণ সমিতির সভাপতি সভানেত্রী ঝুমুর বেগমের বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় তিনি গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।

এ ঘটনায় ‘অসহায় নারী ঐক্য কল্যাণ সমিতির সভাপতি ঝুমুর বেগম, লিলি বাড়ীওয়ালী, আলেয়া বাড়ীওয়ালী, দুলালী ও পারভিনসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে সোমবার দিনগত রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আহত রেহেনা বেগম।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যৌনকর্মী জানান, রবিবার দিনগত রাত ১১ টার দিকে তাকে তার ঘর থেকে তুলে নিয়ে যায় ঝুমুর বেগমের লোকজন। তারা তাকে অসহায় নারী ঐক্য কল্যাণ সমিতির কক্ষে আটকে উলঙ্গ করে লাঠি দিয়ে বেধরক মারপিট করে। এতে তিনি রক্তাক্ত হয়ে গেলে জখমের স্থানসহ তার গোপনাঙ্গে শুকনো মরিচের গুড়ো ছিটিয়ে দেয়। শুধু তাই নয় আমার উপর নির্মম নির্যাতন ও আর্ত চিৎকারের পুরো দৃশ্য ঝুমুর তার মোবাইলে ভিডিও ধারন করে রাখে। বেশ কয়েক ঘন্টা পর তারা আমাকে ছেড়ে দিয়ে এক প্রকার গৃহবন্দী করে রাখে। সোমবার প্রায় সারাদিন ঘরে বন্দী থেকে সন্ধ্যার পর সুযোগ বুঝে পালিয়ে থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দেই। পরে মঙ্গলবার দুপুরে  হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।

কি করণে হাতে নির্যাতন করা হয়েছে প্রশ্ন করলে আহত রেহেনা জানান, নেত্রী ঝুমুর বেগমের স্বামী আব্দুল জলিল ফকির দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার। ঝুমর বেগমের সন্দেহ তার স্বামীর সাথে আমার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। এ কারণে ঝুমুর বেগমকে আমি তাবিজ-কবজ করেছি বলে সন্দেহ করে তারা আমাকে এভাবে নির্যাতন করে।

হাসপাতালের ইনডোরে কর্তব্যরত সিনিয়র নার্স মুক্তা সরকার বলেন, আহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম রয়েছে। চিকিৎসকের নির্দেশনা মতো তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।

তবে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে ঝুমুর বেগম বলেন, ওই যৌনকর্মী একই সাথে ঢাকার সাভারের এক লোক ও স্থানীয় আরেকজন লোকের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে। এ নিয়ে স্থানীয় লোকের সাথে প্রায়ই তার ঝামেলা হয়। সোমবার রাতেও তাদের মধ্যে মারামারি হয়। এতে সে কিছুটা আহত হয়ে থাকতে পারে।

এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, রেহেনা বেগমের দেয়া লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।