জনতার আদালত অনলাইন॥  রাজবাড়ী জেলা জজ আদালতের মার্কেট নির্মাণ কাজ  বন্ধের দাবিতে সোমবার আদালত বর্জন করে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন  আইনজীবীরা। এসময়  আদালতের কর্মচারীদের সাথে আইনজীবীদের সংঘর্ষ  হয়। আহত হন চার আইনজীবী।

আহতরা হলেন রাজবাড়ী জেলা বার এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এটিএম মোস্তফা মিঠু, আইনজীবী মেহেদী হাসান ও শিক্ষাণবীশ আইনজীবী মো. স¤্রাট।

 জেলা জজ আদালতের উদ্যোগে চলমান মার্কেট নির্মাণ কাজ বন্ধের দাবিতে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজবাড়ী জেলা বার এর আইনজীবীরা আদালত বর্জন করে আদালত চত্ত্বরে বিক্ষোভ শেষে বার এসোসিয়েশনের সামনে সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তৃতা করেন রাজবাড়ী জেলা বার এসোসিয়েশনের সভাপতি প্রবীণ আইনজীবী স্বপন কুমার সোম, অ্যড. মাহবুব রহমান প্রমুখ। জেলা বার এর সভাপতি অ্যড. স্বপন সোম সমাবেশে বলেন, সম্পূর্ণ অবৈধভাবে রাজবাড়ী বার এর জমিতে জেলা ও দায়রা জজ মার্কেট নির্মাণ করছেন। আমরা রাজবাড়ীর আদালতে মামলা করেছি।  কিন্তু  সে মামলা গ্রহণ বা রিজেক্ট কোনোটিই করেনি। একারণে আমরা রাজবাড়ীর যুগ্ম জেলা জজ আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

সমাবেশ শেষে আইনজীবীরা পুনরায় মিছিল নিয়ে নির্মাণাধীন মার্কেটের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় জেলা জজ আদালতের কর্মচারীদের সাথে বাকবিতন্ডা ও কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। সংঘর্ষে জেলা বার এর তিন আইনজীবী আহত হয়েছেন।

রাজবাড়ী সদর থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার জানান, আদালত চত্ত্বরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হাতাহাতি হয়েছে। পুলিশ দুই পক্ষকে নিবৃত্ত করে।

এব্যাপারে কথা বলতে রাজবাড়ী জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শওকত আলীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এসএমএস পাঠিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, গত কয়েক মাস আগে থেকেই রাজবাড়ী আদালত চত্ত্বরে জেলা জজ আদালত মার্কেট নির্মাণ কাজ শুরু করেছে।

এদিকে ঘটনার পর জেলা বার এসোসিয়েশনের উদ্যোগে সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। ব্রিফিংয়ে আইজনজীবীরা দাবি করেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলাকালে জেলা জজ আদালতের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা তাদের উপর পরিকািল্পতভাবে হামলা করেছে। তারা এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার এবং অবৈধ মার্কেট নির্মাণ কাজ বন্ধ না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে ঘোষণা করেন।

এরপর বার এসোসিয়েশনের জরুরী সভা করেন আইনজীবীরা। এ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এবং যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতের বিচারককে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত এ দুটি আদালত তারা বর্জন করবেন।