Dhaka ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পদ্মায় ঝাপ দিয়ে প্রাণ বাঁচালেন বাস চালক

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ১১:২১:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুন ২০২০
  • / ১৪৫২ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন : রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায়  ছিনতাইকারীদের পিস্তলের নিশানা থেকে নিজেকে রক্ষা ফেরি হতে পদ্মা নদীতে ঝাপ দেন মো. সোহেল (৩৯) নামের এক পরিবহন চালক। প্রায় ২ কিমি. ভাটিতে মাঝ পদ্মা থেকে জেলে নৌকার সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করা হয়। রবিবার দুপুরের দিকে এ ঘটনার ঘটে।

বাস চালক সোহেল ঢাকার ডেমরা থানার সারুলিয়া এলাকার মো. বছির মিয়ার ছেলে। তিনি রাজধানী সুপার ডিলাক্স নামক পরিবহনের একজন চালক।

সরেজমিন আলাপকালে উদ্ধার হওয়া সোহেল জানান, তিনি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় বোনের বাড়ী হতে কোহিনুর পরিবহনের একটি বাস যোগে ঢাকায় ফিরছিলেন। রবিবার বেলা ২টার দিকে তাদের বাসটি নদী পারের জন্য দৌলতদিয়ার ৫নং ফেরিঘাটে এসে ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানে ওঠে। এ সময় তিনি বাস থেকে নেমে ফেরির পন্টুনের এক কোণায় এসে দাঁড়ালে তিন দিক থেকে ৩ জন ব্যক্তি তাকে ঘিরে ধরে। তারা কোমর থেকে পিস্তল বের করে তাকে গুলি করতে উদ্যত হলে তিনি কোন কিছু না বুঝে প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাপ দেন। মুহুর্তেই তীব্র ¯্রােত তাকে মাঝ নদীতে নিয়ে যায়। তবে আমার সাথে কারো কোন শত্রুতা নেই এমনকি আমি ওই ৩ ব্যক্তিকে চিনিওনা বলে তিনি জানান।

এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় যুবক মো. জমির মন্ডল (২৫) জানান, লোকটি নদীতে ঝাপ দেয়ার পর কাছে থাকা ফেরি আমানত শাহ ও ভাষা শহীদ বরকত নামের দুটি ফেরি তাকে তোলার চেষ্টা করে। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় আমি নদীর তীর দিয়ে প্রায় ২ কিমি দৌড়ে গিয়ে একটি জেলে নৌকা পাই। পরে ইঞ্জিন চালিত ওই নৌকাটি নিয়ে দ্রুত মাঝ পদ্মা থেকে জেলেদের সহযোগিতায় সোহেলকে উদ্ধার করি। তিনি ছিনতাইকারীদের খপ্পরে পড়েছিলেন বলে মনে হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে দৌলতদিয়া নৌ-থানার ইনচার্জ মো. আব্দুল মুন্নাফ জানান, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তি কাউকে চিনতে পারেননি। তবে তার বিবরণ মোতাবেক একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। আমরা তাকে বাসায় পৌছাতে ঢাকার একটি পরিবহনে তুলে দিয়েছি।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

পদ্মায় ঝাপ দিয়ে প্রাণ বাঁচালেন বাস চালক

প্রকাশের সময় : ১১:২১:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুন ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন : রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায়  ছিনতাইকারীদের পিস্তলের নিশানা থেকে নিজেকে রক্ষা ফেরি হতে পদ্মা নদীতে ঝাপ দেন মো. সোহেল (৩৯) নামের এক পরিবহন চালক। প্রায় ২ কিমি. ভাটিতে মাঝ পদ্মা থেকে জেলে নৌকার সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করা হয়। রবিবার দুপুরের দিকে এ ঘটনার ঘটে।

বাস চালক সোহেল ঢাকার ডেমরা থানার সারুলিয়া এলাকার মো. বছির মিয়ার ছেলে। তিনি রাজধানী সুপার ডিলাক্স নামক পরিবহনের একজন চালক।

সরেজমিন আলাপকালে উদ্ধার হওয়া সোহেল জানান, তিনি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় বোনের বাড়ী হতে কোহিনুর পরিবহনের একটি বাস যোগে ঢাকায় ফিরছিলেন। রবিবার বেলা ২টার দিকে তাদের বাসটি নদী পারের জন্য দৌলতদিয়ার ৫নং ফেরিঘাটে এসে ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানে ওঠে। এ সময় তিনি বাস থেকে নেমে ফেরির পন্টুনের এক কোণায় এসে দাঁড়ালে তিন দিক থেকে ৩ জন ব্যক্তি তাকে ঘিরে ধরে। তারা কোমর থেকে পিস্তল বের করে তাকে গুলি করতে উদ্যত হলে তিনি কোন কিছু না বুঝে প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাপ দেন। মুহুর্তেই তীব্র ¯্রােত তাকে মাঝ নদীতে নিয়ে যায়। তবে আমার সাথে কারো কোন শত্রুতা নেই এমনকি আমি ওই ৩ ব্যক্তিকে চিনিওনা বলে তিনি জানান।

এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় যুবক মো. জমির মন্ডল (২৫) জানান, লোকটি নদীতে ঝাপ দেয়ার পর কাছে থাকা ফেরি আমানত শাহ ও ভাষা শহীদ বরকত নামের দুটি ফেরি তাকে তোলার চেষ্টা করে। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় আমি নদীর তীর দিয়ে প্রায় ২ কিমি দৌড়ে গিয়ে একটি জেলে নৌকা পাই। পরে ইঞ্জিন চালিত ওই নৌকাটি নিয়ে দ্রুত মাঝ পদ্মা থেকে জেলেদের সহযোগিতায় সোহেলকে উদ্ধার করি। তিনি ছিনতাইকারীদের খপ্পরে পড়েছিলেন বলে মনে হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে দৌলতদিয়া নৌ-থানার ইনচার্জ মো. আব্দুল মুন্নাফ জানান, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তি কাউকে চিনতে পারেননি। তবে তার বিবরণ মোতাবেক একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। আমরা তাকে বাসায় পৌছাতে ঢাকার একটি পরিবহনে তুলে দিয়েছি।