Dhaka ১০:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চালু হতেই মানুষের ঢল

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৫৯:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০
  • / ১৫০৫ জন সংবাদটি পড়েছেন

 

 

জনতার আদালত অনলাইন : করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে দেশের ব্যস্ততম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে মাত্র দু’টি ফেরি দিয়ে জরুরী যানবাহন ও এম্বুলেন্স পারাপার করা হচ্ছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের যাত্রী ওঠা নিয়ন্ত্রণের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে ওই ফেরিতেই মানুষের ঢল নেমেছে। কোন ভাবেই নিশ্চিত করা যাচ্ছে না সামাজিক দুরত্ব।

জানা যায়, গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও বিকল্প উপায়ে ব্যক্তিগত গাড়ী, এ্যাম্বুলেন্স, পণ্যবাহী যানবাহন ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ছোট যানবাহনে করে করোনা ঝুঁকি মাথায় নিয়ে এই ঈদে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দক্ষিণ-পশ্চিশাঞ্চলের ঘরমূখো মানুষ ফিরতে শুরু করেছে। বিভিন্ন জেলার মানুষগুলো মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় এসে গাদাগাদি করে নৌপথ দিয়ে ফেরি ও ট্রলারে করে নদী পার হয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে নামছে। কোন ভাবেই মানা সম্ভব হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি। আইনশৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

সরেজমিনে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে দেখা যায়, ঢাকা থেকে পাটুরিয়া হয়ে কেটাইপ ফেরি ঢাকা ও ইউটিলিটি ফেরি সন্ধ্যা মালতিতে দৌলতদিয়া ঘাটে অসংখ্য যাত্রী নামছে। এরপর বাইপাস সড়ক থেকে ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা, থ্রিহুইলার, মাহেন্দ্র, পিকআপভ্যান ও মোটরসাইকেলে করে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাগুরা, যশোর, সাতক্ষিরা, খুলনাসহ বিভিন্ন জেলার মানুষ গন্তব্যের পথে ছুটছেন। এতে করে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতো থাকছেই পাশাপাশি চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ঘরমূখো মানুষগুলো।

এসময় একাধিক যাত্রী বলেন, অফিস আদালত, কল-কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। বেতনের টাকাও ঠিক মতো পাইনি, যা পেয়েছি তা দিয়ে ঢাকায় ঈদ করা সম্ভব না।  তাই এই করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহ সময়ে খাই বা না খাই, ঢাকায় বসে থাকার চেয়ে বাড়িতে গিয়ে মা-বাবা, ভাইবোন, আত্মীয় স্বজনদের সাথে ঈদ করব।

দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুন্নাফ বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া থেকে কোন যাত্রী যাতে কোন নৌযানে পারাপার হতে না পাড়ে আমরা সর্বদা সেই চেষ্টা করছি। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে ঘরমূখো যাত্রীদের চাপ পড়ায় আমাদের লোকবল কম থাকায়  যাত্রী পারাপার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তার পরেও আমরা সর্বদা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

বিআইডব্লিটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সীমিত আকারে ছোট দু’টি ফেরি দিয়ে শুধুমাত্র এ্যাম্বুলেন্স ও জরুরী পন্যবাহি যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ফেরি সচল থাকায়  ঘরমূখী মানুষ পারাপার হচ্ছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চালু হতেই মানুষের ঢল

প্রকাশের সময় : ০৫:৫৯:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০

 

 

জনতার আদালত অনলাইন : করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে দেশের ব্যস্ততম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে মাত্র দু’টি ফেরি দিয়ে জরুরী যানবাহন ও এম্বুলেন্স পারাপার করা হচ্ছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের যাত্রী ওঠা নিয়ন্ত্রণের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে ওই ফেরিতেই মানুষের ঢল নেমেছে। কোন ভাবেই নিশ্চিত করা যাচ্ছে না সামাজিক দুরত্ব।

জানা যায়, গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও বিকল্প উপায়ে ব্যক্তিগত গাড়ী, এ্যাম্বুলেন্স, পণ্যবাহী যানবাহন ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ছোট যানবাহনে করে করোনা ঝুঁকি মাথায় নিয়ে এই ঈদে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দক্ষিণ-পশ্চিশাঞ্চলের ঘরমূখো মানুষ ফিরতে শুরু করেছে। বিভিন্ন জেলার মানুষগুলো মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় এসে গাদাগাদি করে নৌপথ দিয়ে ফেরি ও ট্রলারে করে নদী পার হয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে নামছে। কোন ভাবেই মানা সম্ভব হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি। আইনশৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

সরেজমিনে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে দেখা যায়, ঢাকা থেকে পাটুরিয়া হয়ে কেটাইপ ফেরি ঢাকা ও ইউটিলিটি ফেরি সন্ধ্যা মালতিতে দৌলতদিয়া ঘাটে অসংখ্য যাত্রী নামছে। এরপর বাইপাস সড়ক থেকে ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা, থ্রিহুইলার, মাহেন্দ্র, পিকআপভ্যান ও মোটরসাইকেলে করে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাগুরা, যশোর, সাতক্ষিরা, খুলনাসহ বিভিন্ন জেলার মানুষ গন্তব্যের পথে ছুটছেন। এতে করে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতো থাকছেই পাশাপাশি চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ঘরমূখো মানুষগুলো।

এসময় একাধিক যাত্রী বলেন, অফিস আদালত, কল-কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। বেতনের টাকাও ঠিক মতো পাইনি, যা পেয়েছি তা দিয়ে ঢাকায় ঈদ করা সম্ভব না।  তাই এই করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহ সময়ে খাই বা না খাই, ঢাকায় বসে থাকার চেয়ে বাড়িতে গিয়ে মা-বাবা, ভাইবোন, আত্মীয় স্বজনদের সাথে ঈদ করব।

দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুন্নাফ বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া থেকে কোন যাত্রী যাতে কোন নৌযানে পারাপার হতে না পাড়ে আমরা সর্বদা সেই চেষ্টা করছি। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে ঘরমূখো যাত্রীদের চাপ পড়ায় আমাদের লোকবল কম থাকায়  যাত্রী পারাপার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তার পরেও আমরা সর্বদা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

বিআইডব্লিটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সীমিত আকারে ছোট দু’টি ফেরি দিয়ে শুধুমাত্র এ্যাম্বুলেন্স ও জরুরী পন্যবাহি যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ফেরি সচল থাকায়  ঘরমূখী মানুষ পারাপার হচ্ছে।