Dhaka ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোয়ালন্দে ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৮:১৮:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০১৯
  • / ১৬০৯ জন সংবাদটি পড়েছেন


জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে প্রবাসীর স্ত্রী’র ধর্ষণকারী মোহন শেখের (৪২) ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন করেছেন ধর্ষিত গৃহবধুর স্বজন ও এলাকাবাসী। সোমবার বেলা ১২টায় ঘটনাস্থল গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের দুর্গম চর মহিদাপুর গ্রামে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়।
মানববন্ধনে বিক্ষুব্ধ শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশুরা অংশ নিয়ে ধর্ষক মোহনের ফাঁসির দাবী জানান। সেই সাথে সে যাতে এ মামলায় জামিন না পায় সে বিষয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। কেন না গ্রেফতার হওয়ার আগে সে ধর্ষিতার পরিবার ও এলাকার লোকজনকে হুমকি দিয়ে যায়।
গত ২১ মে মঙ্গলবার ধর্ষিত গৃহবধু বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মোহন শেখের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সে উজানচর ইউনিয়নের চর মহিদাপুর গ্রামে মৃত আ. করিম শেখের ছেলে। মামলা দায়েরের পর পুলিশ ওই দিন রাতেই অভিযুক্ত মোহন শেখকে গ্রেফতার করে।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া নারীরা বলেন, ‘আমরা চরাঞ্চলের গরীব মানুষ। আমাদের ক্ষেতে-খামারে কাজ না করলে চলে না। মোহনের মত লম্পট যদি ছাড়া পায়, তবে আমাদের মত নারীদের মাঠে-ঘাটে কাজ করাই কঠিন হয়ে পড়েবে।’
ধর্ষিত গৃহবধুর শ্বাশুরী জানান, আমরা গরীব মানুষ। ধন-সম্পদ নেই। আমাদের ইজ্জতই আমাদের সম্পদ। তাও ওই লম্পট মোহন নষ্ট করলো। আমি আমার ছেলের বউয়ের উপর এই অত্যাচারের কঠিন শাস্তি মোহনের ফাঁসি চাই।
গৃহবধুর ভাসুর জানান, আমাদের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। জমিতে তিল পেকেছে। কিন্তু কামলা নিয়ে তিল কাটার সামর্থ্য নেই। যে কারণে নিজেরাই কাটছি। ঘটনার দিন গত ১৮ মে বেলা ১১টার দিকে তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী তিল ক্ষেতে একাই তিল কাটছিল। সে সময় মোহন শেখ তাকে ফাঁকা পেয়ে জোরপুর্বক ধর্ষণ করে।
তিনি আরো জানান, প্রায় ২ বছর আগে ধার দেনা করে সাড়ে ৫ লাখ টাকা খরচ করে দালালের মাধ্যমে তার ভাই কুয়েত যায়। কাগজপত্র না থাকায় সেখানে সে এক প্রকার পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ঠিকমতো আয় রোজগারও করতে পারে না। দেশে আমরা বহু কষ্টে দিন কাটাই। পাওনাদাররা সব সময়ে চাপ সৃষ্টি করছে। তাই বাধ্য হয়ে আমার ভাইয়ের স্ত্রীকে মাঠে কাজে যেতে হয়েছিল।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি এজাজ শফী জানান, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর ওই দিন রাতেই অভিযুক্ত ধর্ষক মোহন শেখকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ওই গৃহবধুকে মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তনাধীন আছে। তিনি আইনের প্রতি আস্থা রাখতে বিক্ষুদ্ধ স্বজন ও এলাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

গোয়ালন্দে ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশের সময় : ০৮:১৮:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০১৯


জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে প্রবাসীর স্ত্রী’র ধর্ষণকারী মোহন শেখের (৪২) ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন করেছেন ধর্ষিত গৃহবধুর স্বজন ও এলাকাবাসী। সোমবার বেলা ১২টায় ঘটনাস্থল গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের দুর্গম চর মহিদাপুর গ্রামে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়।
মানববন্ধনে বিক্ষুব্ধ শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশুরা অংশ নিয়ে ধর্ষক মোহনের ফাঁসির দাবী জানান। সেই সাথে সে যাতে এ মামলায় জামিন না পায় সে বিষয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। কেন না গ্রেফতার হওয়ার আগে সে ধর্ষিতার পরিবার ও এলাকার লোকজনকে হুমকি দিয়ে যায়।
গত ২১ মে মঙ্গলবার ধর্ষিত গৃহবধু বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মোহন শেখের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সে উজানচর ইউনিয়নের চর মহিদাপুর গ্রামে মৃত আ. করিম শেখের ছেলে। মামলা দায়েরের পর পুলিশ ওই দিন রাতেই অভিযুক্ত মোহন শেখকে গ্রেফতার করে।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া নারীরা বলেন, ‘আমরা চরাঞ্চলের গরীব মানুষ। আমাদের ক্ষেতে-খামারে কাজ না করলে চলে না। মোহনের মত লম্পট যদি ছাড়া পায়, তবে আমাদের মত নারীদের মাঠে-ঘাটে কাজ করাই কঠিন হয়ে পড়েবে।’
ধর্ষিত গৃহবধুর শ্বাশুরী জানান, আমরা গরীব মানুষ। ধন-সম্পদ নেই। আমাদের ইজ্জতই আমাদের সম্পদ। তাও ওই লম্পট মোহন নষ্ট করলো। আমি আমার ছেলের বউয়ের উপর এই অত্যাচারের কঠিন শাস্তি মোহনের ফাঁসি চাই।
গৃহবধুর ভাসুর জানান, আমাদের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। জমিতে তিল পেকেছে। কিন্তু কামলা নিয়ে তিল কাটার সামর্থ্য নেই। যে কারণে নিজেরাই কাটছি। ঘটনার দিন গত ১৮ মে বেলা ১১টার দিকে তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী তিল ক্ষেতে একাই তিল কাটছিল। সে সময় মোহন শেখ তাকে ফাঁকা পেয়ে জোরপুর্বক ধর্ষণ করে।
তিনি আরো জানান, প্রায় ২ বছর আগে ধার দেনা করে সাড়ে ৫ লাখ টাকা খরচ করে দালালের মাধ্যমে তার ভাই কুয়েত যায়। কাগজপত্র না থাকায় সেখানে সে এক প্রকার পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ঠিকমতো আয় রোজগারও করতে পারে না। দেশে আমরা বহু কষ্টে দিন কাটাই। পাওনাদাররা সব সময়ে চাপ সৃষ্টি করছে। তাই বাধ্য হয়ে আমার ভাইয়ের স্ত্রীকে মাঠে কাজে যেতে হয়েছিল।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি এজাজ শফী জানান, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর ওই দিন রাতেই অভিযুক্ত ধর্ষক মোহন শেখকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ওই গৃহবধুকে মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তনাধীন আছে। তিনি আইনের প্রতি আস্থা রাখতে বিক্ষুদ্ধ স্বজন ও এলাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।