সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম ও স্ত্রী–সন্তানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
- প্রকাশের সময় : ১০:৩৪:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
- / 1
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম, তাঁর স্ত্রী সাঈদা হাকিমের ও ছেলে আশিক মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।
তিনি বলেন, জিল্লুল হাকিম ২৪ কোটি ২৯ লাখ ৭২ হাজার ৮০৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১৯টি ব্যাংক হিসাবে ২৭৮ কোটি ৮১ লাখ ৭ হাজার ৮৮৮ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে।
আক্তার হোসেন আরও বলেন, সাবেক রেলমন্ত্রীর স্ত্রী একজন গৃহিণী হয়ে ৪ কোটি ২৭ লাখ ৭২ হাজার ১০৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তাঁর ছয়টি ব্যাংক হিসাবে ২০ কোটি ২৪ লাখ ৩১ হাজার ৯৮৬ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে।
জানা যায়, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনসহ আওয়ামী লীগের টিকিটে ৫ বার রাজবাড়ী-২ আসনের এমপি হিসেবে জয়ী হন মো. জিল্লুল হাকিম। গত বছরের শুরুতে রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব পান রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজবাড়ী-২ আসনের এই সংসদ সদস্য। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ২৯ আগস্ট জিল্লুল হাকিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে দুদক।
মো. জিল্লুল হাকিম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে পৃথক তিনটি মামলা।
প্রথম মামলায় সাবেক রেলমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ২৪ কোটি ২৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ১৯টি ব্যাংক হিসাবে ২৭৮ কোটি ৮১ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে সংস্থাটি।
দ্বিতীয় মামলায় মো. জিল্লুল হাকিমের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে তার স্ত্রী সাঈদা হাকিমকে। তার বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৭ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৬টি ব্যাংক হিসাবে ২০ কোটি ২৪ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুদক।
তৃতীয় মামলায় মো. জিল্লুল হাকিমের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে তার ছেলে আশিক মাহমুদ মিতুলকে।
ওই মামলায় মিতুলের একটি অ্যাকাউন্টে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ২ কোটি ৬২ লাখ ৩২ হাজার ৬শত ৭১ টাকা অর্জন করেছেন। একইসঙ্গে এই অ্যাকাউন্ট থেকে তার মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ১৫ কোটি ৫০ লাখ ৮৬ হাজার ৫শত টাকা লেনদেন করা হয়েছে।