Dhaka ১০:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুন্দরবন ও বেনাপোল ট্রেনের স্টপেজ চায় কালুখালীবাসী

আশিক হাসান, কালুখালী
  • প্রকাশের সময় : ০১:১৮:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 24

রাজবাড়ী জেলাকে রেলের শহর বলা হয়ে থাকে। এ জেলায় সর্বমোট ১৫টি রেলস্টেশন রয়েছে। এরমধ্যে কালুখালী জংশন একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশন। ১৮৭১ সালের ১ জানুয়ারী জগতি থেকে গোয়ালন্দঘাট পর্যন্ত রেললাইন উদ্বোধন করলে কালুখালী রেলস্টেশন স্থাপিত হয়। পরবর্তী সময়ে ১৯৩২ সালে গোপালগঞ্জ জেলার মধুমতি নদীর তীরবর্তী ভাটিয়াপাড়াঘাট পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন করলে কালুখালী জংশন স্টেশনে রূপান্তরিত হয়। কালুখালী জংশন স্টেশন হলেও বেনাপোল ও সুন্দরবন ট্রেনের বিরতি নেই। সে আক্ষেপে পুড়ছে কালুখালীবাসী। তারা ট্রেন দুটির স্টপেজ দাবি করেছে।

জানা গেছে, এ স্টেশন দিয়ে চলাচলকারী সকল ট্রেনের স্টপেজ কালুখালীতে ছিলো। ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু হলে কালুখালী জংশনে স্টপেজ দেওয়া হয়নি। তৎকালীন সরকারের রেলপথমন্ত্রী হন রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম। সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি পাংশা স্টেশনের স্টপেজ পেলেও কালুখালী জংশনের কোনো ট্রেনেরই স্টপেজ দেওয়া হয়নি।

গার্মেন্টস ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর সরদার বলেন, আমি প্রতিনিয়ত ঢাকা মালামাল ক্রয় করতে যাই। বেশিরভাগ সময়ে স্টেশনে গেলে মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট পাই না। এই রুটে চলাচলকারী সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ থাকলে ঢাকা যাতায়াত সুবিধা হতো।

খুলনায় একটি বেসরকারী কোম্পানীর চাকুরীজিবী রাজেশ সরকার বলেন, চাকুরির সুবাদে আমি খুলনা যাতায়াত করি। কালুখালী জংশনে স্টপেজ না থাকায় প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে পাংশা স্টেশনে এসে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে যাতায়াত করতে হয়।

ভারতে চিকিৎসা গ্রহণকারী ইমরান হোসেন বলেন, আমি বেনাপোল বর্ডার হয়ে ভারতে চিকিৎসার জন্য যাতায়াত করি। বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের কালুখালী জংশনে যাত্রাবিরতী থাকলে আমার মত শত শত মানুষের উপকার হতো।

এ ব্যপারে কালুখালী জংশন স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাষ্টার রতন সেন বলেন, স্টপেজের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত আমরা কোনো নিদের্শনা পাইনি। পেলে আপনাদের জানাতে পারবো।

বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাঃ মেহেদী হাসান এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, স্টপেজের ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যদি নতুন স্টপেজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় তখন বিবেচনা করা হবে। অগ্রিম আমি কিছু জানাতে পারছি না।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

সুন্দরবন ও বেনাপোল ট্রেনের স্টপেজ চায় কালুখালীবাসী

প্রকাশের সময় : ০১:১৮:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫

রাজবাড়ী জেলাকে রেলের শহর বলা হয়ে থাকে। এ জেলায় সর্বমোট ১৫টি রেলস্টেশন রয়েছে। এরমধ্যে কালুখালী জংশন একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশন। ১৮৭১ সালের ১ জানুয়ারী জগতি থেকে গোয়ালন্দঘাট পর্যন্ত রেললাইন উদ্বোধন করলে কালুখালী রেলস্টেশন স্থাপিত হয়। পরবর্তী সময়ে ১৯৩২ সালে গোপালগঞ্জ জেলার মধুমতি নদীর তীরবর্তী ভাটিয়াপাড়াঘাট পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন করলে কালুখালী জংশন স্টেশনে রূপান্তরিত হয়। কালুখালী জংশন স্টেশন হলেও বেনাপোল ও সুন্দরবন ট্রেনের বিরতি নেই। সে আক্ষেপে পুড়ছে কালুখালীবাসী। তারা ট্রেন দুটির স্টপেজ দাবি করেছে।

জানা গেছে, এ স্টেশন দিয়ে চলাচলকারী সকল ট্রেনের স্টপেজ কালুখালীতে ছিলো। ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু হলে কালুখালী জংশনে স্টপেজ দেওয়া হয়নি। তৎকালীন সরকারের রেলপথমন্ত্রী হন রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম। সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি পাংশা স্টেশনের স্টপেজ পেলেও কালুখালী জংশনের কোনো ট্রেনেরই স্টপেজ দেওয়া হয়নি।

গার্মেন্টস ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর সরদার বলেন, আমি প্রতিনিয়ত ঢাকা মালামাল ক্রয় করতে যাই। বেশিরভাগ সময়ে স্টেশনে গেলে মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট পাই না। এই রুটে চলাচলকারী সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ থাকলে ঢাকা যাতায়াত সুবিধা হতো।

খুলনায় একটি বেসরকারী কোম্পানীর চাকুরীজিবী রাজেশ সরকার বলেন, চাকুরির সুবাদে আমি খুলনা যাতায়াত করি। কালুখালী জংশনে স্টপেজ না থাকায় প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে পাংশা স্টেশনে এসে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে যাতায়াত করতে হয়।

ভারতে চিকিৎসা গ্রহণকারী ইমরান হোসেন বলেন, আমি বেনাপোল বর্ডার হয়ে ভারতে চিকিৎসার জন্য যাতায়াত করি। বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের কালুখালী জংশনে যাত্রাবিরতী থাকলে আমার মত শত শত মানুষের উপকার হতো।

এ ব্যপারে কালুখালী জংশন স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাষ্টার রতন সেন বলেন, স্টপেজের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত আমরা কোনো নিদের্শনা পাইনি। পেলে আপনাদের জানাতে পারবো।

বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাঃ মেহেদী হাসান এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, স্টপেজের ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যদি নতুন স্টপেজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় তখন বিবেচনা করা হবে। অগ্রিম আমি কিছু জানাতে পারছি না।