Dhaka ১১:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিভোর্সের জন্য কৃষক খরচ করলেন ৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা

ডেস্ক নিউজ
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৫৬:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১০২৯ জন সংবাদটি পড়েছেন

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ৭০ বছর বয়সী এক কৃষক দীর্ঘ ৪৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনে স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিচ্ছেদের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে তাঁদের মামলা চলছিল।

পেশায় কৃষক হলেও স্ত্রীর সঙ্গে এই বিচ্ছেদে তাঁকে গুনতে হবে ৩ কোটি ৭ লাখ রুপি (বাংলাদেশি টাকায় ৪ কোটি ৩১ লাখ ৬৩ হাজার প্রায়)।

এই দম্পতি ১৯৮০ সালে সংসার শুরু করেছিলেন। বর্তমানে তাঁদের তিন সন্তান রয়েছে। ২০০৬ সাল থেকে এই দম্পতি আলাদাভাবে বসবাস করছিলেন। ২০১৩ সালে এসে স্বামী বিচ্ছেদের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, মানসিক নৃশংসতা এই বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ। অবশ্য হরিয়ানার কারনালের পারিবারিক আদালতে তাঁর বিচ্ছেদের আবেদন নাকচ হয়ে যায়।

পাঞ্জাব ও হরিয়ানার আদালতে কৃষকের বিচ্ছেদের মামলা প্রায় ১১ বছর স্থবির অবস্থায় ছিল। পরে ২০২৪ সালের নভেম্বরে আদালত মামলাটি মেডিয়েশন অ্যান্ড কনসিলেশন সেন্টারের (সালিস ও আপসরফা কেন্দ্র) কাছে পাঠান। সেখানে মধ্যস্থতার সময় কৃষকের স্ত্রী, প্রাপ্তবয়স্ক তিন সন্তানসহ দুই পক্ষের সবাই উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সবাই বিচ্ছেদের বিষয়ে সম্মত হন।

বিচ্ছেদের পর স্ত্রী ও সন্তানদের খোরপোশ বাবদ অর্থের জোগান দিতে স্বামীকে তাঁর নিজের কৃষিজমি বিক্রি করতে হয়েছে। জমি বিক্রি করে তিনি ২ কোটি ১৬ লাখ রুপি পরিশোধ করেছেন। আর ফসল বিক্রি করে পরিশোধ করেছেন আরও ৫০ লাখ রুপি। এ ছাড়া তিনি ৪০ লাখ রুপি মূল্যের সোনা ও রুপা দিয়েছেন স্ত্রীকে।

দীর্ঘ আইনি লড়াই আর নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পর অবশেষে এই কৃষক স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটালেন। আর এই বিচ্ছেদ দুজনের জন্য আরেকটি বিষয়কে সামনে নিয়ে এল। স্ত্রী ও তাঁদের সন্তানেরা পেলেন আর্থিক নিরাপত্তা। অন্যদিকে স্বামীও পেলেন তাঁর নিজের মতো জীবনকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ।

সূত্র: গালফ নিউজ

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

ডিভোর্সের জন্য কৃষক খরচ করলেন ৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা

প্রকাশের সময় : ০৫:৫৬:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ৭০ বছর বয়সী এক কৃষক দীর্ঘ ৪৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনে স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিচ্ছেদের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে তাঁদের মামলা চলছিল।

পেশায় কৃষক হলেও স্ত্রীর সঙ্গে এই বিচ্ছেদে তাঁকে গুনতে হবে ৩ কোটি ৭ লাখ রুপি (বাংলাদেশি টাকায় ৪ কোটি ৩১ লাখ ৬৩ হাজার প্রায়)।

এই দম্পতি ১৯৮০ সালে সংসার শুরু করেছিলেন। বর্তমানে তাঁদের তিন সন্তান রয়েছে। ২০০৬ সাল থেকে এই দম্পতি আলাদাভাবে বসবাস করছিলেন। ২০১৩ সালে এসে স্বামী বিচ্ছেদের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, মানসিক নৃশংসতা এই বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ। অবশ্য হরিয়ানার কারনালের পারিবারিক আদালতে তাঁর বিচ্ছেদের আবেদন নাকচ হয়ে যায়।

পাঞ্জাব ও হরিয়ানার আদালতে কৃষকের বিচ্ছেদের মামলা প্রায় ১১ বছর স্থবির অবস্থায় ছিল। পরে ২০২৪ সালের নভেম্বরে আদালত মামলাটি মেডিয়েশন অ্যান্ড কনসিলেশন সেন্টারের (সালিস ও আপসরফা কেন্দ্র) কাছে পাঠান। সেখানে মধ্যস্থতার সময় কৃষকের স্ত্রী, প্রাপ্তবয়স্ক তিন সন্তানসহ দুই পক্ষের সবাই উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সবাই বিচ্ছেদের বিষয়ে সম্মত হন।

বিচ্ছেদের পর স্ত্রী ও সন্তানদের খোরপোশ বাবদ অর্থের জোগান দিতে স্বামীকে তাঁর নিজের কৃষিজমি বিক্রি করতে হয়েছে। জমি বিক্রি করে তিনি ২ কোটি ১৬ লাখ রুপি পরিশোধ করেছেন। আর ফসল বিক্রি করে পরিশোধ করেছেন আরও ৫০ লাখ রুপি। এ ছাড়া তিনি ৪০ লাখ রুপি মূল্যের সোনা ও রুপা দিয়েছেন স্ত্রীকে।

দীর্ঘ আইনি লড়াই আর নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পর অবশেষে এই কৃষক স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটালেন। আর এই বিচ্ছেদ দুজনের জন্য আরেকটি বিষয়কে সামনে নিয়ে এল। স্ত্রী ও তাঁদের সন্তানেরা পেলেন আর্থিক নিরাপত্তা। অন্যদিকে স্বামীও পেলেন তাঁর নিজের মতো জীবনকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ।

সূত্র: গালফ নিউজ