স্বস্তি ফিরছে না পেঁয়াজ-আলুর বাজারে
- প্রকাশের সময় : ০১:৪৫:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪
- / ১০২৮ জন সংবাদটি পড়েছেন
সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে আসছে না পেঁয়াজ ও আলুর দাম। যদিও এরইমধ্যে আমদানি করা পেঁয়াজে কাস্টমস শুল্ক ও রেগুলেটরি শুল্ক অব্যাহতি এবং আলুর আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার পাশাপাশি ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক তুলে দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এরপরও খুচরা বাজারে চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই দুই পণ্য। তবে শীতকালীন বিভিন্ন সবজির সরবরাহ বাজারে বাড়ার কারণে কিছুটা কমেছে সবজির দাম।
বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকার বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা দোকানগুলোতে পুরাতন আলু ৭০-৭৫ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। আবার আকারে ছোট সাইজের কিছু আলু ৬৫ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ মানভেদে সর্বনিম্ন ১৩০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজ সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজারদর রিপোর্ট বলছে, শুল্ক কমানো ও প্রত্যাহারের কোনো সুফল বাজারে মেলেনি। এক মাসের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজে ২১ দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং আমদানিকৃত পেঁয়াজে ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ দাম বেড়েছে।
সবজির বাজারে ফুলকপি, পাতাকপি, টমেটো, গোল বেগুন, লম্বা বেগুন, করলা, পটল, লাউ, কাঁচা পেঁপে, শসা, গাজর, ফুলকপি, বরবটি, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙ্গা, কচুর লতি, ঢেঁড়শসহ অন্যান্য সবজির প্রচুর সরবরাহ রয়েছে। এসবের মধ্যে ফুলকপি ও পাতাকপি আকারভেদে প্রতিটি ৫০-৭০ টাকা এবং লাউ প্রতিটি আকারভেদে ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পেঁপে ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০-৬৫ টাকা, ঝিঙা ৬০-৭০ টাকা, শিম ১০০-১২০, উসতা ৬০-৮০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, বরবটি ৬০-৭০ টাকা, পটল ৬০-৭০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৭০ টাকা, শশা ৬০ টাকা, কচুর ছড়া ৮০ টাকা এবং কাঁচা টমেটো ১৫০-১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে শীতের সবজি সরবরাহ বাড়ছে। আগামী মাস থেকে সরবরাহ দ্বিগুণ বাড়বে। এর ফলে সবজির দাম আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।