Dhaka ১০:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিয়ের প্রলোভনে নারীকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুদন্ড

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৪২:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১০৩৪ জন সংবাদটি পড়েছেন

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফাহিমা আক্তার (৪০) নামে এক নারীকে শ^াসরোধে হত্যার দায়ে আব্দুর রহিম মন্ডলকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভীন এ রায় দেন। একই সাথে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। দন্ডপ্রাপ্ত আব্দুর রহিম পাংশা উপজেলার জাগীর কয়া গ্রামের বাসিন্দা। মৃত ফাহিমা ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর গ্রামের সেকেন ফকিরের মেয়ে।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ফাহিমা আক্তার ও রহিম মন্ডল কাতারে থাকতেন। সেখানেই তাদের পরিচয়। কাতার থাকাকালে ফাহিমা রহিমের কাছ থেকে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা ধার নেন।  তার কিছুদিন পর রহিম দেশে চলে আসেন। করোনার সময় ফাহিমাও দেশে চলে আসেন। দেশে আসার পরও ফাহিমা ধারের টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন না। টাকা চাইলে নানা রকম টালবাহানা করতেন। এ ঘটনায় ফাহিমার ওপর ক্ষুব্ধ হন আব্দুর রহিম। যেকারণে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ফাহিমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন রহিম। তাঁকে বিয়ের প্রলোভন দেখান। বিয়ে করলে পাওনা টাকা ফেরত দিতে হবে না শর্তে ফাহিমা রাজী হন। ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ফাহিমাকে ফরিদপুরের  ভাঙ্গা থেকে ডেকে এনে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে লাশ ধানক্ষেতে ফেলে রাখে। ৫ অক্টোবর তারিখে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার কাওয়াখোলা গ্রামের একটি ধান ক্ষেতে নারীর লাশ স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আবদুর রহিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালত সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ ও মামলার কাগজপত্র পর্যালোচনা করে এ রায় দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি আহম্মেদ আলী মৃধা বলেন, আসামী আদালতে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে। আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ রায়ে তিনি সন্তুষ্ট।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

বিয়ের প্রলোভনে নারীকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুদন্ড

প্রকাশের সময় : ০৮:৪২:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফাহিমা আক্তার (৪০) নামে এক নারীকে শ^াসরোধে হত্যার দায়ে আব্দুর রহিম মন্ডলকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভীন এ রায় দেন। একই সাথে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। দন্ডপ্রাপ্ত আব্দুর রহিম পাংশা উপজেলার জাগীর কয়া গ্রামের বাসিন্দা। মৃত ফাহিমা ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর গ্রামের সেকেন ফকিরের মেয়ে।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ফাহিমা আক্তার ও রহিম মন্ডল কাতারে থাকতেন। সেখানেই তাদের পরিচয়। কাতার থাকাকালে ফাহিমা রহিমের কাছ থেকে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা ধার নেন।  তার কিছুদিন পর রহিম দেশে চলে আসেন। করোনার সময় ফাহিমাও দেশে চলে আসেন। দেশে আসার পরও ফাহিমা ধারের টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন না। টাকা চাইলে নানা রকম টালবাহানা করতেন। এ ঘটনায় ফাহিমার ওপর ক্ষুব্ধ হন আব্দুর রহিম। যেকারণে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ফাহিমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন রহিম। তাঁকে বিয়ের প্রলোভন দেখান। বিয়ে করলে পাওনা টাকা ফেরত দিতে হবে না শর্তে ফাহিমা রাজী হন। ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ফাহিমাকে ফরিদপুরের  ভাঙ্গা থেকে ডেকে এনে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে লাশ ধানক্ষেতে ফেলে রাখে। ৫ অক্টোবর তারিখে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার কাওয়াখোলা গ্রামের একটি ধান ক্ষেতে নারীর লাশ স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আবদুর রহিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালত সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ ও মামলার কাগজপত্র পর্যালোচনা করে এ রায় দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি আহম্মেদ আলী মৃধা বলেন, আসামী আদালতে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে। আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ রায়ে তিনি সন্তুষ্ট।