Dhaka ১০:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কালুখালীর মদাপুর ইউনিয়ন

৫ তারিখের পর থেকে অনুপস্থিত চেয়ারম্যান \ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের রেজুলেশন নিয়ে নানামুখি বক্তব্য \ সত্যি বলছেন কে?

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৪৮:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১১০৬ জন সংবাদটি পড়েছেন

রাজবাড়ী সদর উপজেলার মদাপুর ইউনিয়ন পরিষদে ঘটেছে তুঘলকি ঘটনা। প্যানেল চেয়ারম্যান শাহ আলমকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয়েছে ইউপি সদস্যদের স্বাক্ষরযুক্ত এমন একটি রেজুলেশন নিয়ে ইউএনও কার্যালয়ে জমা দেন ইউপি সচিব রবিউল ইসলাম। তবে, সদস্যরা বলছেন, সেখানে তারা স্বাক্ষর করেননি। শাহ আলম বলছেন, সভা ডেকেছিলেন সচিব। আর সচিব বলছেন, সভার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।

জানা গেছে, ৫ আগস্টে দেশে পট পরিবর্তনের পর থেকে পরিষদে অনুপস্থিত রয়েছেন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনু। তিনি কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক। গত ১৬ আগস্ট তারিখে পরিষদের সচিব রবিউল ইসলাম ইউএনও কার্যালয়ে একটি রেজুলেশন জমা দেন। ১৫ আগস্ট সভার তারিখ দেখিয়ে রেজুলেশনে সর্ব সম্মতিক্রমে শাহ আলমকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে এবং ১২ জন ইউপি সদস্যের স্বাক্ষর রয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে ইউএনওর কাছে গিয়ে আপত্তি জানান সদস্যরা। তারা ইউএনওকে বলেন, এমন কোনো সভার কথা তাদের জানা নেই। রেজুলেশনে স্বাক্ষরও তাদের নয়।

মদাপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার জাহিদুল ইসলাম জানান, ১৪ আগস্ট তারিখে তারা বেতনের বিষয়ে বসেছিলেন। এছাড়া কোনো সভা হয়নি। শাহ আলমকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার যে রেজুলেশন ইউএনও অফিসে জমা দিয়েছে সেখানে তারা স্বাক্ষর করেননি। বিষয়টি জানার পর তারা প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

এবিষয়ে সচিব রবিউল ইসলাম জানান, বিধি অনুযায়ী পরিষদের প্রথম সভায় প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন করা হয়। চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকলে প্রথম প্যানেল চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। একজন সচিবকে অনেক সময় অনেক কাজ করানো হয়। ১৫ আগস্টের সভাটি  তত্ত¡াবধান করেছিলেন প্যানেল চেয়ারম্যান শাহ আলম। এখন তিনিই (প্যানেল চেয়ারম্যান) ভালো জানেন কোথায় কীভাবে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বলেন, প্যানেল চেয়ারম্যান শাহ আলম আমাকে রেজুলেশনের কাগজটা হাতে দিয়ে ইউএনও অফিসে জমা দিতে বলেছেন। আমি দিয়ে এসেছি। ওইদিন কোনো সভা হয়েছে কীনা তা তিনি জানেন না।

প্যানেল চেয়ারম্যান শাহ আলম জানান, গত ১৫ আগস্ট তারিখে ইউপি সচিব জরুরি সভা ডেকেছিলেন। সভায় পরিষদের সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সে সভায় তাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয়। সচিব সভা সম্পর্কে কিছু জানেন না। তাকে আপনি রেজুলেশন দিয়ে উপজেলায় জমা দিতে বলেছিলেন- এমন কথার জবাবে শাহ আলম বলেন, সচিব সরকারি চাকরি করেন। তিনি চাকরি বাঁচানোর তাগিদে এ কথা বলতে পারে। কয়েকজন সদস্যও তো বলছেন তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন না- এমন কথার জবাবে বলেন, দেশটা এতদিন এক তন্ত্রে চলেছে। এখন আরেক তন্ত্রে চলছে। যেকারণে ভেজাল করার চেষ্টা চলছে।

কালুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহুয়া আফরোজ জানান, মদাপুর ইউপি সচিব একটি রেজুলেশন জমা দিয়েছেন। কিন্তু পরিষদের সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তুলেছে। বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের সাথে কথা বলছেন। সদস্যরা জানিয়েছেন ওইদিন কোনো সভা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মদাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনুর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

কালুখালীর মদাপুর ইউনিয়ন

৫ তারিখের পর থেকে অনুপস্থিত চেয়ারম্যান \ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের রেজুলেশন নিয়ে নানামুখি বক্তব্য \ সত্যি বলছেন কে?

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৮:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪

রাজবাড়ী সদর উপজেলার মদাপুর ইউনিয়ন পরিষদে ঘটেছে তুঘলকি ঘটনা। প্যানেল চেয়ারম্যান শাহ আলমকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয়েছে ইউপি সদস্যদের স্বাক্ষরযুক্ত এমন একটি রেজুলেশন নিয়ে ইউএনও কার্যালয়ে জমা দেন ইউপি সচিব রবিউল ইসলাম। তবে, সদস্যরা বলছেন, সেখানে তারা স্বাক্ষর করেননি। শাহ আলম বলছেন, সভা ডেকেছিলেন সচিব। আর সচিব বলছেন, সভার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।

জানা গেছে, ৫ আগস্টে দেশে পট পরিবর্তনের পর থেকে পরিষদে অনুপস্থিত রয়েছেন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনু। তিনি কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক। গত ১৬ আগস্ট তারিখে পরিষদের সচিব রবিউল ইসলাম ইউএনও কার্যালয়ে একটি রেজুলেশন জমা দেন। ১৫ আগস্ট সভার তারিখ দেখিয়ে রেজুলেশনে সর্ব সম্মতিক্রমে শাহ আলমকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে এবং ১২ জন ইউপি সদস্যের স্বাক্ষর রয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে ইউএনওর কাছে গিয়ে আপত্তি জানান সদস্যরা। তারা ইউএনওকে বলেন, এমন কোনো সভার কথা তাদের জানা নেই। রেজুলেশনে স্বাক্ষরও তাদের নয়।

মদাপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার জাহিদুল ইসলাম জানান, ১৪ আগস্ট তারিখে তারা বেতনের বিষয়ে বসেছিলেন। এছাড়া কোনো সভা হয়নি। শাহ আলমকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার যে রেজুলেশন ইউএনও অফিসে জমা দিয়েছে সেখানে তারা স্বাক্ষর করেননি। বিষয়টি জানার পর তারা প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

এবিষয়ে সচিব রবিউল ইসলাম জানান, বিধি অনুযায়ী পরিষদের প্রথম সভায় প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন করা হয়। চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকলে প্রথম প্যানেল চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। একজন সচিবকে অনেক সময় অনেক কাজ করানো হয়। ১৫ আগস্টের সভাটি  তত্ত¡াবধান করেছিলেন প্যানেল চেয়ারম্যান শাহ আলম। এখন তিনিই (প্যানেল চেয়ারম্যান) ভালো জানেন কোথায় কীভাবে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বলেন, প্যানেল চেয়ারম্যান শাহ আলম আমাকে রেজুলেশনের কাগজটা হাতে দিয়ে ইউএনও অফিসে জমা দিতে বলেছেন। আমি দিয়ে এসেছি। ওইদিন কোনো সভা হয়েছে কীনা তা তিনি জানেন না।

প্যানেল চেয়ারম্যান শাহ আলম জানান, গত ১৫ আগস্ট তারিখে ইউপি সচিব জরুরি সভা ডেকেছিলেন। সভায় পরিষদের সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সে সভায় তাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয়। সচিব সভা সম্পর্কে কিছু জানেন না। তাকে আপনি রেজুলেশন দিয়ে উপজেলায় জমা দিতে বলেছিলেন- এমন কথার জবাবে শাহ আলম বলেন, সচিব সরকারি চাকরি করেন। তিনি চাকরি বাঁচানোর তাগিদে এ কথা বলতে পারে। কয়েকজন সদস্যও তো বলছেন তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন না- এমন কথার জবাবে বলেন, দেশটা এতদিন এক তন্ত্রে চলেছে। এখন আরেক তন্ত্রে চলছে। যেকারণে ভেজাল করার চেষ্টা চলছে।

কালুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহুয়া আফরোজ জানান, মদাপুর ইউপি সচিব একটি রেজুলেশন জমা দিয়েছেন। কিন্তু পরিষদের সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তুলেছে। বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের সাথে কথা বলছেন। সদস্যরা জানিয়েছেন ওইদিন কোনো সভা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মদাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনুর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।