Dhaka ০৫:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মরণে আলোচনা সভা

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৪৩:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০২৩
  • / ১১০৭ জন সংবাদটি পড়েছেন

রাজবাড়ীতে  শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে একাত্তরের ঘাতক দালান নির্মূল কমিটি রাজবাড়ী শাখার আয়োজনে উদীচী কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার শুরুতে জাহানারা ইমাম স্মরণে এক মিনিট নিরাবতা পালন করা হয়।
ঘাতক দালান নির্মূল কমিটি রাজবাড়ী শাখার সভাপতি ডাঃ সুনীল কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও রাজবাড়ী জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আব্দুল জব্বার,  কমিউনিস্ট পার্টি রাজবাড়ী জেলা সভাপতি আব্দুস সামাদ মিয়া, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা বাকাউল আবুল হাশেম, সিনিয়র আইনজীবী মাহবুব রহমান, মহিলা পরিষদ রাজবাড়ী শাখার সাধারণ সম্পাদক রেখা দাস, কৃষক সমিতির সভাপতি আব্দুস ছাত্তার,  ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক সুমন বিশ্বাস ।
বক্তারা বলেন, শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৯৪ সালের ২৬ জুন মৃত্যু বরণ করেন। ১৯৯১ সালের ২৯ ডিসেম্বর গোলাম আযমকে জামাতে ইসলাম তাদের দলের আমীর ঘোষণা করলে বাংলাদেশে জনবিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। বিক্ষোভের অংশ হিসাবে ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি ১০১ সদস্যবিশিষ্ট একাত্তরের ঘাতক দালান নির্মূল কমিটি গঠিত হয় জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে। তিনি হন এর আহ্বায়ক। এর পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী প্রতিরোধ মঞ্চ, ১৪টি ছাত্র সংগঠন, প্রধান প্রধান রাজনৈতিক জোট, শ্রমিক-কৃষক-নারী এবং সাংস্কৃতিক জোটসহ ৭০টি সংগঠনের সমন্বয়ে পরবর্তীতে ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি’ গঠিত হয়। সারা দেশে তিনি ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গড়ে তোলেন। অসুস্থ অবস্থায় তিনি সংগঠনটির নেতৃত্ব দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ঘাকতদের বিচার হয়েছে বলে জানান বক্তারা।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাজবাড়ীতে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মরণে আলোচনা সভা

প্রকাশের সময় : ০৫:৪৩:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০২৩

রাজবাড়ীতে  শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে একাত্তরের ঘাতক দালান নির্মূল কমিটি রাজবাড়ী শাখার আয়োজনে উদীচী কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার শুরুতে জাহানারা ইমাম স্মরণে এক মিনিট নিরাবতা পালন করা হয়।
ঘাতক দালান নির্মূল কমিটি রাজবাড়ী শাখার সভাপতি ডাঃ সুনীল কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও রাজবাড়ী জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আব্দুল জব্বার,  কমিউনিস্ট পার্টি রাজবাড়ী জেলা সভাপতি আব্দুস সামাদ মিয়া, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা বাকাউল আবুল হাশেম, সিনিয়র আইনজীবী মাহবুব রহমান, মহিলা পরিষদ রাজবাড়ী শাখার সাধারণ সম্পাদক রেখা দাস, কৃষক সমিতির সভাপতি আব্দুস ছাত্তার,  ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক সুমন বিশ্বাস ।
বক্তারা বলেন, শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৯৪ সালের ২৬ জুন মৃত্যু বরণ করেন। ১৯৯১ সালের ২৯ ডিসেম্বর গোলাম আযমকে জামাতে ইসলাম তাদের দলের আমীর ঘোষণা করলে বাংলাদেশে জনবিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। বিক্ষোভের অংশ হিসাবে ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি ১০১ সদস্যবিশিষ্ট একাত্তরের ঘাতক দালান নির্মূল কমিটি গঠিত হয় জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে। তিনি হন এর আহ্বায়ক। এর পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী প্রতিরোধ মঞ্চ, ১৪টি ছাত্র সংগঠন, প্রধান প্রধান রাজনৈতিক জোট, শ্রমিক-কৃষক-নারী এবং সাংস্কৃতিক জোটসহ ৭০টি সংগঠনের সমন্বয়ে পরবর্তীতে ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি’ গঠিত হয়। সারা দেশে তিনি ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গড়ে তোলেন। অসুস্থ অবস্থায় তিনি সংগঠনটির নেতৃত্ব দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ঘাকতদের বিচার হয়েছে বলে জানান বক্তারা।