Dhaka ০৮:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ধরে নেওয়ার অভিযোগে থানায় জিডি হয়েছিল

ঋণের চাপে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫৯:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩
  • / ১০৯৬ জন সংবাদটি পড়েছেন

 

 ঋণের চাপে অতিষ্ঠ হয়ে নিজেকে আত্মগোপন করেছিলেন ব্যবসায়ী ছিদ্দিক মিজি সোহেল। শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে তাকে রাজবাড়ী থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তিনি রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের নয়নদিয়া গ্রামের হাশেম মিজির ছেলে। গত ৬ জুন মঙ্গলবার রাতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিদ্দিককে ধরে নিয়ে গেছে এমন অভিযোগে ৭ জুন বুধবার রাজবাড়ী থানায় জিডি করেছিলেন তার বাবা হাশেম মিজি।

রাজবাড়ী সদর থানা সূত্র জানায়, থানায় জিডি হওয়ার পুলিশ দেশের বিভিন্ন থানায় বার্তা পাঠানো হয়। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে এক পর্যায়ে জানা যায় সে চট্টগ্রামেদ অবস্থান করছে।

সিদ্দিক মিজির বাবা হাশেম মিজি শুক্রবার বিকেলে জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে তার ছেলে ফোন করে জানায় সে চট্টগ্রামে আছে। কী কারণে সে চট্টগ্রামে গেছে সে সম্পর্কে কিছু বলেনি।

সিদ্দিক মিজি জানান, সূর্যনগর রেলগেটে তার পার্টসের ব্যবসা আছে। সংসারে তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন এনজিও থেকে তিনি ৩০/৩২ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন ব্যবসা করার জন্য। কিন্তু ব্যবসায় লোকসান হওয়ায় আর্থিকভাবে প্রচন্ডভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ঋণের চাপে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি আত্মগোপন করেছিলেন। এখন আস্তে আস্তে ঋণের টাকা কীভাবে শোধ করা যায় সে চেষ্টা করবেন।

রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মো. শাহাদত হোসেন জানান, ব্যবসায়ী ছিদ্দিক মিজি নিখোঁজের ব্যাপারে থানায় জিডি হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন থানায় ম্যাসেজ দেওয়া হয়। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে চট্টগ্রামের বহাদ্দারহাট এলাকায় তাকে শনাক্ত করা হয়। রাজবাড়ী সদর থানার পুলিশ সেখান থেকে উদ্ধার করে শুক্রবার রাতে থানায় নিয়ে আসে। মুচলেকা নিয়ে রাতেই তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

 

 

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ধরে নেওয়ার অভিযোগে থানায় জিডি হয়েছিল

ঋণের চাপে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৯:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩

 

 ঋণের চাপে অতিষ্ঠ হয়ে নিজেকে আত্মগোপন করেছিলেন ব্যবসায়ী ছিদ্দিক মিজি সোহেল। শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে তাকে রাজবাড়ী থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তিনি রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের নয়নদিয়া গ্রামের হাশেম মিজির ছেলে। গত ৬ জুন মঙ্গলবার রাতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিদ্দিককে ধরে নিয়ে গেছে এমন অভিযোগে ৭ জুন বুধবার রাজবাড়ী থানায় জিডি করেছিলেন তার বাবা হাশেম মিজি।

রাজবাড়ী সদর থানা সূত্র জানায়, থানায় জিডি হওয়ার পুলিশ দেশের বিভিন্ন থানায় বার্তা পাঠানো হয়। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে এক পর্যায়ে জানা যায় সে চট্টগ্রামেদ অবস্থান করছে।

সিদ্দিক মিজির বাবা হাশেম মিজি শুক্রবার বিকেলে জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে তার ছেলে ফোন করে জানায় সে চট্টগ্রামে আছে। কী কারণে সে চট্টগ্রামে গেছে সে সম্পর্কে কিছু বলেনি।

সিদ্দিক মিজি জানান, সূর্যনগর রেলগেটে তার পার্টসের ব্যবসা আছে। সংসারে তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন এনজিও থেকে তিনি ৩০/৩২ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন ব্যবসা করার জন্য। কিন্তু ব্যবসায় লোকসান হওয়ায় আর্থিকভাবে প্রচন্ডভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ঋণের চাপে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি আত্মগোপন করেছিলেন। এখন আস্তে আস্তে ঋণের টাকা কীভাবে শোধ করা যায় সে চেষ্টা করবেন।

রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মো. শাহাদত হোসেন জানান, ব্যবসায়ী ছিদ্দিক মিজি নিখোঁজের ব্যাপারে থানায় জিডি হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন থানায় ম্যাসেজ দেওয়া হয়। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে চট্টগ্রামের বহাদ্দারহাট এলাকায় তাকে শনাক্ত করা হয়। রাজবাড়ী সদর থানার পুলিশ সেখান থেকে উদ্ধার করে শুক্রবার রাতে থানায় নিয়ে আসে। মুচলেকা নিয়ে রাতেই তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।